×

জাতীয়

১৭ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৪ পিএম

১৭ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার

কারাভোগ শেষে ১৭ জন বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার। মিয়ানমারের মংডুতে পতাকা বৈঠক শেষে বুধবার বেলা ১১টায় তাদেরকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।

বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুদ জামান চৌধুরী ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ১৭ বাংলাদেশিকে নিয়ে ট্রানজিট জেটি দিয়ে টেকনাফে ফেরেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, সাগরপথে মালয়েশিয়া গমন ও মৎস্য শিকার করতে গিয়ে মিয়ানমার জলসীমায় চলে গেলে তাদের আটক করে ওই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সাজার মেয়াদ শেষ হলে যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হয়।

এর আগে বিজিবি প্রতিনিধিদল মংডুতে সকাল সাড়ে ১০টা হতে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মিয়ানমারের মন্ডু অভ্যন্তরে ১নং এন্ট্রি-এক্সিট পয়েন্টে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে পতাকা বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে মিয়ানমার বিজিপির নেতৃত্বে ১২ সদস্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন টিং লিন।

বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ফিরে আসা ব্যক্তিরা হচ্ছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাশিরা বাড়ির লেদু মিয়ার ছেলে বদিউল আলম, টেকনাফের উত্তর শীলখালীর আব্দুস শুক্কুরের ছেলে রহিম উল্লাহ, নুরুল কবিরের ছেলে মুফিজুর রহমান, আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে আজিজুল ইসলাম, কক্সবাজারের রামু থানার দক্ষিণ কলাতলীর মো. শফিকের ছেলে মো. সামির, টেকনাফ সদরের গোদারবিলের মো. সাব্বিরের ছেলে মো. শাকের আহমদ, কক্সবাজার ঘোনার পাড়ার আসগর আলীর ছেলে মো. জালাল উদ্দিন, সাবরাং হারিয়াখালীর আব্দুল আমিনের ছেলে মিজানুর রহমান, লাফারঘোনার মৃত কালু মিয়ার ছেলে নুরুল আলম, হারিয়াখালীর আব্দুর রশিদের ছেলে আজিজ উল্লাহ, আবদুল মজিদের ছেলে আবদুস সালাম, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার নেংটা ফকির পাড়ার ওয়াশিউর রহমানের ছেলে মো. হেলাল, শাহপরীর দ্বীপের মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে মোহাম্মদ জালাল, মৃত সেতাব্বরের ছেলে আবু তাহের, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বড়লোনা কুঞ্জুরী পাড়ার অং জো মারমার ছেলে সে থো অং মারমা, মংপ্রু মারমার ছেলে ইউ সাথোই মারমা ও চট্টগ্রামের বাশঁখালী উপজেলার সরল বাজারের আইয়ুব আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন।

ফেরত আসা ১৭ জনের মধ্যে ৫ বছর ৯ মাস সাজাভোগী জামাল উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে একটি ফিশিং ট্রলারে ৫ মাঝিমাল্লা সাগরে মাছ শিকারে গিয়েই ওপারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হন।

এছাড়া খাগড়াছড়ির দুই যুবক অবৈধভাবে মিয়ানমারে আত্মীয়ের কাছে বেড়াতে গিয়ে সিট ওয়ে হতে আটক হন।

টেকনাফের শব্বির সহ ১২ জন ৬ মাস আগে দালালের মাধ্যমে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে আটক হয়ে হাজতবাসের পর অবশেষে দেশে ফিরলেন।

মিয়ানমার থেকে ফেরত আনা নাগরিকদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য দুপুরেই সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App