×

খেলা

সত্যিকারের প্রেমিক হরভজন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:৩৪ পিএম

সত্যিকারের প্রেমিক হরভজন
সম্পর্ক ভাঙা-গড়াটা নাকি ক্রীড়া তারকাদের জীবনে অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি বিষয়। তারা কখন কার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় এবং সে সম্পর্ক কখন আবার ভেঙে যায় তা নিয়ে আগাম কিছু বলার সাধ্য কারোরই নেই। এ জন্যই অনেকে বলেন, ক্রীড়া তারকারা হয়তো অনেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ঠিকই, তবে সত্যিকারের প্রেম বলতে যা বোঝায় সেটা তারা কখনোই উপলব্ধি করতে পারেন না। কথাটা কারো কারো ক্ষেত্রে হয়তো সত্যি, তবে সবার ক্ষেত্রে নেই। যাদের জন্য কথাটা প্রযোজ্য নয়, তাদের কাতারেই রয়েছের ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিং। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বাজ্জি নামে পরিচিত এই ক্রিকেটার এমন কিছু তথ্য দিয়েছেন যেগুলো শোনার পর যে কেউই বলবে নিজের প্রিয়তমা স্ত্রী গীতা বাসরাকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন হরভজন। হরভজন সিংয়ের স্ত্রী গীতা বাসরা একজন বলিউড অভিনেত্রী। তার জন্ম ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারে হলেও বেড়ে উঠা ভারতে। ‘দিল দিয়া হ্যায়’, ‘দ্য ট্রেন’ ও ‘সেকেন্ড হ্যান্ড হাসবেন্ড’-সহ আরো বেশ কয়েকটি আলোচিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এই বলিউড সুন্দরী হরভজনের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে জড়ান ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর। বিয়ের এক বছর পার না হতেই হরভজন-গীতার ঘরে জন্ম নেয় প্রথম সন্তান। ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই জন্ম নেয়া এই কন্যা-সন্তানের নাম হেনায়া হের প্লাহা। বেশির ভাগ ভারতীয় ক্রিকেটারের মতো হরভজন সিংও ভালোবেসেই বিয়ে করেছেন গীতা বাসরাকে এ কথা এতদিনে নিশ্চয় সবারই জানা। তবে কয়েক দিন আগে এক অনুষ্ঠানে এই স্পিনার যে তথ্য দিয়েছেন তা এতদিন ধরে সবার কাছেই অজানা ছিল। ‘নো ফিল্টার নেহা’ নামের সাক্ষাৎকারভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সঞ্চালক গীতার সঙ্গে প্রেমের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে হরভজন বলেন, তাকে আমি প্রথম দেখেছিলাম একটি পোস্টারে। আর তার ছবি দেখেই আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি যুবরাজ সিংয়ের কাছে তাকে চেনে কিনা জানতে চেয়েছিলাম। যুবরাজ বলেন, সে তাকে চেনে না। কিন্তু আমি তাতে হাল ছেড়ে না দিয়ে যুবরাজকে অনুরোধ করেছিলাম সে যেন মেয়েটির ব্যাপারে খোঁজ নেয়। এরপর হরভজন যোগ করেন, সুবেধ লোহিয়া নামে আমার এবং যুবরাজের এক বন্ধু রয়েছে যে গীতাকে চিনত। আমার কথা শোনে সে গীতার মুঠোফোনে একটি বার্তা পাঠায়। এর পরের গল্পটা ২০১১ সালের বিশ^কাপের পরের। হরভজন বলেন, ২০১১ সালের বিশ^কাপের পর কফি খাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আমি গীতাকে একটি বার্তা পাঠাই। কিন্তু সে কোনো জবাব দেয়নি। এরপর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ম্যাচের টিকেট চেয়ে গীতা আমাকে একটি বার্তা পাঠায়। এর বেশ কয়েক দিন পর আমাদের দেখা হয়। তারপর থেকে আমাদের নিয়মিত দেখা হতে থাকে। একপর্যায়ে আমি গীতাকে তার প্রতি আমার ভালোলাগার কথা জানাই। কিন্তু সে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে রাজি হয়নি। কারণ হিসেবে বলেছিল, সে ক্যারিয়ারের দিকেই সবটুকু মনোযোগ দিতে চায়। তবে আমিও নাছোরবান্দা। পিছু ছাড়িনি তার এবং প্রায় ৯ মাস পর গীতা আমার প্রস্তাবে রাজি হয়। পরের গল্পটা তো সবারই জানা। এখন বেশ সুখেই চলছে হরভজন ও গীতার বৈবাহিক জীবন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App