×

পুরনো খবর

কোটি টাকার ওপরে উপার্জন ৫ প্রার্থীর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:১৯ পিএম

কোটি টাকার ওপরে উপার্জন ৫ প্রার্থীর
বরিশালের ৬টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ৫১ জন প্রার্থীর বেশির ভাগই সম্পদশালী। এর মধ্যে কোটি টাকার ওপরে বছরে উপার্জন করেন পাঁচ প্রার্থী। আবার অনেকের বার্ষিক আয় কম থাকলেও রয়েছে গাড়ি-বাড়ির মতো মূল্যবান সম্পদ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশালের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামায় প্রার্থীদের উল্লেখ করা তথ্যানুযায়ী বছরে সবচেয়ে বেশি উপার্জনশীল প্রার্থী হলেন বরিশাল-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু। তিনি একজন ব্যবসায়ী হয়ে বছরে মোট আয় দেখিয়েছেন ৬ কোটি ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৪৬৪ টাকা, যা বরিশালের ৬ আসনের ৫১ প্রার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ। তার রয়েছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার ৪৫৩ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি। স্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ২২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৭ টাকার। দায়ের ক্ষেত্রে তার ব্যাংক লোন রয়েছে ৭৩ লাখ ৩১ হাজার ৭৩৮ টাকা। সম্পদশালী প্রার্থীর তালিকায় বরিশাল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম মোয়াজ্জেম হোসেন পেশায় ব্যবসায়ী। তার বছরে আয় ১ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪৯৫ টাকা হলেও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৮ টাকার এবং ২০ তোলা অলঙ্কার রয়েছে। তার স্ত্রীর ৬ কোটি ৬১ লাখ ১৪ হাজার ৩৫১ টাকার সম্পত্তি ও ৩০ তোলা অলঙ্কার রয়েছে। স্থাবর সম্পদ রয়েছে তার ২৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৭৪ ও স্ত্রীর ২ কোটি ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৫২৫ টাকার, যা সবার চেয়ে বেশি। তবে তার মোট দায় রয়েছে ৯ কোটি ৯ লাখ ৭৩ হাজার ৩২ টাকার। বরিশাল-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ একজন ব্যবসায়ী। কৃষি খাত, বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান ও অন্যান্য ভাড়া এবং ব্যবসা থেকে তার বছরে আয় ২ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ১৩৭ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তার ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৫১ হাজার ২২২ টাকার ও তার স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ২৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৪ টাকার। স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তার ২ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪৮ টাকার ও তার স্ত্রীর ৩০ হাজার টাকার। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত যৌথ মালিকানার দুটি পুরনো বাড়ির একাংশ রয়েছে। এর আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ টাকা হবে। বরিশাল-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী তালুকদার (ফারুক) পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার বছরে আয় ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭২ টাকা এবং তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ টাকা। তার ৩২ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। প্রার্থীর নিজের এবং স্ত্রীর নামে ১ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার ৬১০ টাকা রয়েছে। প্রার্থীর নিজের ২৬ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৫৭ টাকার ও স্ত্রীর নামে ১ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। দায়ের খাতায় ১৮ কোটি ৯২ লাখ ৩০ হাজার ৪৬ টাকার লোন রয়েছে। বরিশাল-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতিকুর রহমান পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাত থেকে বছরে মোট আয় দেখিয়েছেন ২ কোটি ২৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬৪৩ টাকা। অস্থাবর সম্পদ রয়েছে তার ১৫ কোটি ৯৫ লাখ ৬৫ হাজার ৪৯৮ টাকার ও তার স্ত্রীর ৩০ ভরি অলঙ্কার। স্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার। দায়ের ক্ষেত্রে চারটি লোন দেখিয়েছেন মোট ১৭ কোটি ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ৪১৩ টাকার। কোটি টাকার ওপরে সম্পদের মালিক রয়েছেন বরিশাল-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী এডভোকেট মো. মজিবর রহমান সরওয়ার। পেশায় ব্যবসায়ী হয়ে তিনি বছরে মোট ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ৯৮৮ টাকা আয় দেখিয়েছেন। তার ২ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকার অস্থাবর সম্পদ ও ৫০ তোলা স্বর্ণ এবং ৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৪২৬ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। বরিশাল-১ আসনে বিএনপির জহির উদ্দিন স্বপন পেশায় ব্যবসায়ী হয়ে বছরে আয় দেখিয়েছেন ১৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে তার। বরিশাল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহে আলম পেশায় ব্যবসায়ী। শাহে আলমের বছরে আয় ৪৬ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৭ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পদ আছে তার। একই আসনে বিএনপির আরেক প্রার্থী সৈয়দ শহিদুল হক জামাল পেশায় পরামর্শদাতা। তার বছরে আয় ৬ লাখ ৭৫ হাজার ২০০ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে প্রায় সোয়া ১ কোটি টাকার সম্পদ আছে তার। এ আসনে বিএনপির অন্য প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদের প্রায় দেড় কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। বরিশাল-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী বেগম সেলিমা রহমান পেশায় নিজেকে ব্যবসায়ী উল্লেখ করে বছরে মোট আয় দেখিয়েছেন ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৫০ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে সাড়ে ৪ কোটি টাকার ওপরে সম্পদ রয়েছে তার। এ আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী জয়নুল আবেদীন নিজেকে আইনজীবী উল্লেখ করে বছরে মোট আয় দেখিয়েছেন ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৩ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে তার। বিকল্পধারার প্রার্থী এনায়েত কবির পেশায় ব্যবসায়ী। তার বছরে আয় ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। স্থাবর-অস্থাব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে তার। এর মধ্যে ৩ কোটি টাকার তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের পঙ্কজ দেবনাথ পেশায় নিজেকে ব্যবসায়ী উল্লেখ করে বছরে মোট আয় দেখিয়েছেন ৩৫ লাখ ৫০ হাজার ১৭ টাকা ও তার ওপর নির্ভরশীলদের বছরে আয় ৬ লাখ ১৩ হাজার ৬০৬ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার দেড় কোটি টাকার ওপরে সম্পদ রয়েছে। বরিশাল-৬ আসনে জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রত্না পেশায় ব্যবসায়ী। তার বছরে আয় ৫৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯৬ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে তার। এ ছাড়া ১০০ ভরি অলঙ্কার এবং পৈতৃক সূত্রে পাওয়া একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার। বরিশাল-৬ আসনে বিএনপির আবুল হোসেন খানের ব্যবসা থেকে তার বছরে আয় ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে তার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App