×

বিনোদন

নির্মাতারা অন্তরালে থেকে যান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৪৮ পিএম

নির্মাতারা অন্তরালে থেকে যান
ঈশ্বরদীর স্থানীয় সংস্কৃতির ছায়াতলে বেড়ে উঠেছেন তুহিন হোসেন। বাংলাদেশের এই প্রজন্মের একজন তরুণ নির্মাতা। বিশেষ দিবস মানেই টেলিভিশনের পর্দায় তুহিন হোসেনের নাটক। এই পরিচালক স¤প্রতি টেলিভিশন নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আলাপচারিতায় মুখোমুখি হয়েছিলেন তুহিন হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাসান আলী
ডিরেক্টরস গিল্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাই? আমি কৃতজ্ঞ, যারা আমাকে ভোট দিয়ে এই পদটিতে নির্বাচিত করেছেন। ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের টেলিভিশন নাট্যনির্মাতাদের সম্মিলিত প্লাটফর্ম। এরকম একটি বড় সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক অনেক দায়িত্বপূর্ণ একটি জায়গা। আমার চেষ্টা থাকবে এই পদটির সম্মান বজায় রেখে নাট্যনির্মাতাদের সৃজনশীল যাত্রার পথটিকে আরো সুন্দর করে তোলা। নতুন কিছু করার স্বপ্ন নিয়েই এই পথ হাঁটা শুরু করেছি। আপনার পরিকল্পনা শুনতে চাই? পরিচালকদের জায়গাটা সৃজনশীল জায়গা। এখানে মেধা এবং মননের চর্চা করা হয়, শিল্পের চর্চা করা হয়। কিন্তু কেউ কেউ শুধু টাকার শক্তিতে পরিচালক বনে যান। তারা এসে শৌখিনভাবে পরিচালক হিসেবে কাজ করতে চান। যে কেউ পরিচালক হতেই পারেন। কিন্তু শৌখিন চর্চার জায়গা এটা না। আমরা চাই, সম্পূর্ণ পেশাদারিত্ব নিয়ে এখানে সৃজনশীলতার চর্চা করবেন। এটা শৌখিন কোনো বিনোদন মাধ্যম না, এখানে শ্রম-ঘাম দিয়েই শিল্পচর্চা করতে হয়। শিল্পচর্চার এই মাধ্যমটিকে সৃজনশীল মানুষের জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। পাশাপাশি সৃজনশীল পরিচালকদের প্রমোশনটাও দরকার। পরিচালকের প্রমোশন বলতে কি বোঝাতে চাইছেন? আমাদের গণমাধ্যম শুধু অভিনয়শিল্পীদেরই প্রচার করে। এতে করে অভিনয় শিল্পীরা মানুষের কাছে তারকা হন। অথচ নির্মাতারা অন্তরালে থেকে যান। কোনো সংবাদ মাধ্যম তো লিখে অমুক শিল্পীর নাটক, কিন্তু শিল্পী তো নাটকটিতে অভিনয় করেছেন। নাটকটি তো নির্মাণ করেছেন পরিচালক। তাই পরিচালকের ব্র্যান্ডিংটা দরকার। পরিচালক তো পুরো ইউনিটের ক্যাপ্টেন। দিবসকেন্দ্রিক নাট্যনির্মাতা হিসেবে আপনাকে আলাদাভাবে দেখা যায়। এর কারণ কি? এটা আমার ব্যক্তিগত ভালো লাগার জায়গা। পরিচালক হিসেবে আমার শুরু হয়েছিল একুশে ফেব্রæয়ারি উপলক্ষে শহীদ মিনার নামের একটি নাটক দিয়ে। এরপর থেকে প্রতি বছরই একুশে ফেব্রæয়ারিতে আমার নির্মিত নাটক প্রচার হয়। এ ছাড়া অন্যান্য বিশেষ দিবসে আমার পরিচালনায় বিশেষ নাটক প্রচার হয় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে। দেশীয় বিভিন্ন উৎসব আমাকে ভীষণভাবে টানে। সেই ভালো লাগা থেকেই দিবসকেন্দ্রিক নাটকগুলো নির্মাণের চেষ্টা করি। টেলিভিশনের অনেক নির্মাতা পরবর্তী সময় সিনেমা নির্মাণের দিকে ঝুঁকছেন। আপনার কি সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা আছে? নির্মাতা হিসেবে একটা আদর্শকে সামনে রেখে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করি। আমি আমার কাজের মাধ্যমে মানুষকে আনন্দ দিয়ে থাকি। পাশাপাশি দর্শকের রুচির বিকাশ যেন ঘটে, চিত্তের বিকাশ যেন ঘটে তার চেষ্টা করি। এখন নাটক নির্মাণ করছি, ভবিষ্যতে সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। তার জন্য নিজেকে আরো প্রস্তুত করতে চাই। সিনেমা অনেক বড় মাধ্যম। সেখানে আয়োজনটাও অনেক বড় থাকে। সব মিলিয়ে সিনেমা নির্মাণে স্বপ্নটা আছে, সেটা যখন করব পুরোপুরি নিজেকে প্রস্তুত করেই সেখানে যাব। নতুন কাজের খবর জানতে চাই? এখন ‘রৌদ্র করোটিতে’ নামে একটি খণ্ড নাটকের কাজ করছি। সারওয়ার রেজা জিমির লেখা নাটকটি আগামী ১৬ ডিসেম্বর প্রচার হবে। এছাড়া বেশ কয়েকটা নাটকের পরিকল্পনা হাতে রয়েছে। এবারের বিজয় দিবসে একাধিক নাটক প্রচার হতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App