হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

আগের সংবাদ

তিনশ আসনে ‘জোটবদ্ধ’ নির্বাচনের ছকে এরশাদ

পরের সংবাদ

মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নই মূল উদ্দেশ্য

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০১৮ , ১২:৫৯ অপরাহ্ণ আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০১৮ , ১:১৬ অপরাহ্ণ

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। সে হিসেবে এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত তিনি। হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর এই একান্ত সচিব। মনোনয়ন পেলে নিজ এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নসহ দেশের অর্থনীতি নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। এ নিয়েই কথা হয় ভোরের কাগজের সঙ্গেÑ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে ফরাসউদ্দিন বলেন, জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করতে চাই।
ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করাই হবে আমার মূল উদ্দেশ্য। বঙ্গবন্ধু এ রাষ্ট্রকে তৈরি করেছিলেন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে।

আর বাংলাদেশের অসাধারণ অর্জনটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে প্রচণ্ড অগ্রগতি হচ্ছে। কিন্তু যে পরিমাণ হওয়ার কথা ছিল, অর্থাৎ সম্ভাবনা যা তার পরিপূর্ণতা আসেনি। তাই আমি নির্বাচিত হলে ২০ বছরের একটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করার চেষ্টা করব। অর্থনীতিতে কী কী কর্মসূচি ও প্রকল্প নিলে অনেক বেশি ফল পাওয়া যাবে, তা খুঁজে বের করব। প্রথমেই দেখব আমরা কী কী সম্পদ পাচ্ছি, কীভাবে বিনিয়োগ করলে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রবৃদ্ধি পাওয়া যাবে এবং খুব জোরদার শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান করা যাবে। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সহজে দারিদ্র্য কমবে, বৈষম্য কমবে, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে। সুতরাং দেশে যদি দারিদ্র্য কমে যায়, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায় তবেই বাংলাদেশ ঠিক ঠিক সোনার বাংলায় পরিণত হবে, স্বপ্ন পূরণ হবে জাতির জনকের।
রাজনীতিতে আসা নিয়ে নিজ এলাকার মানুষের অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, আমি মনে করি নমিনেশন পাওয়ার আগে বেশি বাড়াবাড়ি করা ঠিক না। অথচ আমার এলাকার সাধারণ মানুষ এত বেশি উচ্ছ¡সিত, আনন্দিত। তারা দীর্ঘদিন থেকে এমনটিই প্রত্যাশা করছিলেন। এখন প্রতিনিয়ত অসংখ্য টেলিফোন আসে, ধন্যবাদ জানায়, শুভেচ্ছা জানাতে ঢাকা আসছে। সত্যিই আমি অভিভূত। তারা ভাবে, আমি এই বয়সে, এই সম্মান নিয়ে রাজনীতিতে এসেছি। এটা তাদের গর্বের, আনন্দের যা আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায়, উৎসাহিত করে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মনোনয়ন ঘোষণার এক-দুদিনের মধ্যেই এলাকায় যাব। প্রথমে চুনারুঘাট যাব, এরপর মাধবপুর।
জাতির জনকের একটি কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় মাটি ও মানুষের কথা বলতেন। গ্রামের কিষান-কিষানির সঙ্গে দেখা করার কথা বলতেন। তারাই তার সবচেয়ে বড় বন্ধু বলে জানাতেন। আমি বঙ্গবন্ধুর এ রকম হাজারো দৃষ্টান্ত ও মহানুভবতার সাক্ষী। বঙ্গবন্ধুর এত কাছাকাছি থেকে আমি তার আদর্শের একজন নির্ভীক সৈনিক হিসেবে গড়ে উঠেছি।
এলাকার মানুষ আপনার কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। তাই এমপি নির্বাচিত হলে আপনার এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য কী করবেন জানতে চাইলে ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, চার লাখ ২৭ হাজার ভোটার সংবলিত হবিগঞ্জ-৪ আসন। এখানে আমি এমপি নির্বাচিত হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য হালকা, মাঝারি ও ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই। আগামী ৫ বছরে কোন কাজকে বেশি প্রাধান্য দিলে এলাকার বেকারত্ব দূর হবে, উন্নয়ন সফলতা পাবে সে কাজটিই অগ্রাধিকার দিতে চাই। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করব কৃষি উৎপাদন ও বিপণন সমবায় গড়ে তুলতে। বঙ্গবন্ধুরও চেষ্টা ছিল এই সমবায় প্রক্রিয়া। সমবায়ের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত মূল্য পাবে। সেটা আমরা করতে পারিনি। আমি জনপ্রতিনিধি হতে পারলে সেটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়