×

জাতীয়

চার জেলায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৫

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৪৯ এএম

দেশের তিন জেলায় র‌্যাব ও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৪ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বুধবার কক্সবাজারে ২ জন, মুন্সিগঞ্জ ও সিলেটে একজন করে নিহত হয়েছেন। এছাড়া খুলনা জেলায় এক সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : টেকনাফ থানা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে কুখ্যাত নজির আহমদ প্রকাশ ওরফে নজির ডাকাত (৩৮) ও আব্দুল আমিন (৩৮) নামের ইয়াবা কারবারী নিহত হয়েছে । এসময় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র, বুলেট ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ভোররাতে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়া খালীর ট্যুরিষ্টজোন সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় জিরো পয়েন্টে পুলিশ কুখ্যাত নজির ডাকাতের স্বীকারোক্তিতে তার আস্তানায় ইয়াবা বিরোধী অভিযানে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশী চালিয়ে ৪টি দেশীয় অস্ত্র, ২১ রাউন্ড গুলি, ১০ হাজার ১শ ৫০ পিস ইয়াবা ও রক্তাক্ত অবস্থায় নজির ডাকাত (৩৮) ও আব্দুল আমিন (৩৮) কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এসময় পুলিশের এসআই খাইরুল আলম (৩৮), কনস্টেবল রুমন (৩৪), মংছিং প্রু (৩৮) ও আব্দুস শুক্কুর (২২) আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নিহত নজির আহমদ প্রকাশ সাবরাং কচুনিয়ার আব্দুর রহিমের পুত্র এবং আব্দুল আমিন হ্নীলা জাদিমোরা নয়াপাড়ার আমির হামজার পুত্র । উভয়ে একাধিক ডাকাতি, মাদকসহ নানা একাধিক মামলার আসামী ছিল। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, আটক কুখ্যাত নজির ডাকাতকে নিয়ে অভিযানে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে ৪ পুলিশ আহত হয়। এময় অস্ত্র, বুলেট ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :  মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আবুল হোসেন (৫০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে উপজেলার সোনারং এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন, ৫০০ পিস ইয়াবা, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। নিহত আবুল হোসেন একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে বিভিন্ন থানায় ১৮টি মামলা রয়েছে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান। র‌্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক মেজর আশিক বিল্লাহ জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে বুধবার ভোর ৪টার দিকে টঙ্গীবাড়ির সোনারং এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাবের একটি দল। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি চালালে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। পরে তারা পালিয়ে গেলে আবুল হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে টঙ্গীবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শহিদ মিয়া নামে তালিকাভূক্ত এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। র‌্যাবের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত শহিদ মিয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক সম্রাট । তাকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুলিবিদ্ধ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। খুলনা প্রতিনিধি : খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও হত্যা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামি মিরাজুল ইসলাম ওরফে মারুফ হোসেন ওরফে গরু মারুফকে (৪৩) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর দৌলতপুরস্থ কার্তিককূল বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ১টি পাইপগান, ১ রাউন্ড গুলি ও ৫৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। নিহত মারুফ দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের আবদুল গফফার শেখের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ওসি কাজী মোস্তাক আহমেদ বলেন, গরু মারুফের বিরুদ্ধে দৌলতপুর ও দিঘলিয়া থানায় সেনহাটির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আবদুল হালিম ও হুজি শহীদসহ একাধিক হত্যা ও চাঁদাবাজির অসংখ্য মামলা রয়েছে ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App