×

অর্থনীতি

দেশে করযোগ্য মানুষ তিন কোটি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩৩ পিএম

দেশে করযোগ্য মানুষ তিন কোটি
দেশে করযোগ্য আরো তিন কোটি মানুষ রয়েছেন। এরা সবাই কর দিলে করদাতার সংখ্যা হতো চার কোটি। কিন্তু বর্তমানে এক কোটি মানুষ কর দেয়। সবাই কর দিলে দেশ থেকে দারিদ্র্র্য নির্মূল করা সহজ হতো। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়কর মেলা-২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, মেলার সমন্বয়ক জিয়া উদ্দিন মাহমুদসহ এনবিআরের কর্মকর্তারা। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমাদের উন্নয়ন যেভাবে ধাবিত হচ্ছে তাতে এক কোটি করাদাতা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। এই এক কোটির সঙ্গে আরো কয়েক কোটি মানুষ এখানে যুক্ত হওয়া উচিত। অন্তত চার কোটি মানুষের কর দেয়া উচিত। ধরেন চার কোটি মানুষ কর দেয়। তাহলে আমাদের যে সুবিধাটা হবে সরকার যে বিভিন্ন ধরনের সেবা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করে তা নানাভাবে ব্যাপ্ত হবে। একটা সময় ছিল যখন কর দিতে আমাদের খুব অনীহা ছিল। সবাই মনে করত আজ কর দিলাম, সারা জীবন একটি ফাঁদে পড়ে গেলাম। তবে এখন আর সে অবস্থা নেই। এখন অসংখ্য যুকক এসে লাইন ধরে কর দেয়। আগে আমরা ৭ লাখ করদাতার কাছে কর আদায় করতাম। তখন ১৫ লাখের বেশি করদাতা ছিল না। এখন করদাতার সংখ্যা ৩০ লাখের চেয়ে বেশি হয়ে গেছে এবং বিভিন্নভাবে এখন এক কোটি মানুষ কর দেয়। অনেক ধরনের কর আছে, সেগুলোকে ধরলে এক কোটি মানুষ আজকে কর দেয়। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে এক কোটি করাদাতা। অর্থমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় শহর গ্রামে মানুষ এখন একই ধরনের সেবা পায়। সারাদেশে একটা একক অর্থনীতির সৃষ্টি হয়েছে। একক অর্থনীতির সৃষ্টি হওয়ার ফলে অর্থনীতির গতি এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেই অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য তা ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। হ্যাঁ বৈষম্য এখনো আছে। কিন্তু সেটা ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। আমাদের যখন জন্ম হয় তখন আমাদের দেশে প্রায় ৭০ শতাংশ লোক গরিব ছিল। এখন আমরা বলি গরিবের সংখ্যা ২২ শতাংশ। এই ৭০ থেকে নামিয়ে আমরা ২২ শতাংশে নিয়ে এসেছি। অর্থাৎ সবার জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ২২ শতাংশ কম নয়। আমাদের দেশে ২২ শতাংশ মানে ৩ কোটি মানুষ। এই ৩ কোটি মানুষকে এখন আমাদের উপরে উঠাতে হবে। সেটাই হলো আমাদের সরকারের লক্ষ্যমাত্রা। সেটাই আমাদের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই নেতৃত্বটা একান্তভাবে জনকল্যাণে নিবেদিত। জনকল্যাণে নিবেদিত নেতৃত্ব আছে বলেই আমরা দ্রæত গতিতে এগিয়ে যেতে পারছি। এই যে দ্রæত গতিতে আমাদের বিকাশ হচ্ছে, সেই বিকাশটা যাতে আরো সুন্দর হতে পারে, আরো উজ্জ্বল হতে পারে, সেটাই আমার আশা। যারা এখানে কর দিতে এসেছে তাদের বিশেষভাবে অভিনন্দন। আপনারা মেলাটাকে সার্থক করে তুলেছেন। মেলাটা সত্যিকার অর্থেই মেলাতে পরিণত হয়েছে। আজকে যখন ঢুকলাম তখন দেখি মানুষের লম্বা লাইন, যাতে তারা এই মেলাতে আসতে পারে। অর্থাৎ এই মেলাতে কোনো ধরনের অবস্থান নেই যাতে আপনি অখুশি হবেন। খুশি হওয়ার জন্য এসেছেন, উৎসব করার জন্য এসেছেন। উৎসবের পরিবেশে আমরা থাকব, সেটাই আমি আশা করি। এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁঁইয়া বলেন, মেলায় এসে সাধারণ জনগণ যেসব সুবিধা পায়, সহজে যেমন সেবা পায়, কর অফিসগুলোতেও একই রকম সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ১৩ নভেম্বর শুরু হওয়া এ মেলা শেষ হবে আগামী ১৯ নভেম্বর। এদিকে, প্রথম দিনেই সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশ মেলা প্রাঙ্গণে। মূল ফটক থেকে ভেতরে প্রবেশ করতে সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। হেল্প ডেস্ক ও তথ্য কেন্দ্রে করদাতাদের উপচেপড়া ভিড়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App