×

মুক্তচিন্তা

সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৩৭ পিএম

অবশেষে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ উল্লেখযোগ্য সব রাজনৈতিক দল ও জোট। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করার প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি অনিশ্চয়তা ছিল সরকারবিরোধী প্রধান জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে। গত রবিবার ভোটে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলও নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আবহ তৈরি হলো। রাজপথের জ্বালাও-পোড়াও নয়, আগামী নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা সবার। বিষয়টি কেবল দেশের গণতন্ত্রের জন্যই নয়, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সার্বিক উন্নয়নের জন্যও ইতিবাচক। এখন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেয়া। রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা সংবলিত ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সাতদফা দাবি আদায়ে আন্দোলনের অংশ হিসেবেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের তফসিল সাতদিন পিছিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রি-শিডিউলে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন রাখা হয়েছে ২৮ নভেম্বর। এরই মধ্যে সব দলই পুরোদমে শুরু করেছে নির্বাচনের সার্বিক কার্যক্রম। মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে আসার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার নিজ দলের এক সভায় তিনি বলেছেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তিনি সবকিছুই করবেন। জনগণ যাকে চায় তাকে ভোট দেবে। কযেকদিন আগে বিভিন্ন জোটে অন্তর্ভুক্ত ৭০টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধানমন্ত্রী। এতে রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবাতাস বইতে শুরু করে। সাত দফা দাবি জানিয়ে সংলাপে অংশ নেয় ঐক্যফ্রন্ট। দুদফা তাদের মধ্যে সংলাপ হয়। প্রধান দাবিগুলো মেনে না নিলেও কয়েকটি দাবি মেনে নেয় সরকার। এ সংলাপের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলা বৈরিতার অবসান হতে থাকে। এখন সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে সবাইকে আস্থায় আনতে হবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এবার যদি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চিন্তা থেকে আমরা সরে আসতে পারব। আগামীতে কোনো দলই এ ব্যাপারে দাবি তুলবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App