নির্বাচন নিয়ে কূটনীতিকদের কাছে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ বিএনপির
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০১৮, ১০:২৩ পিএম
ক্ষমতাসীন জোটের সাথে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত সংলাপের ফলাফল এবং আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার চেয়ারপার্সনের গুলশানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান দলের পক্ষে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ কূটনীতিকদের অবহিত করেন। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা বিদেশি কূটনীতিকদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিকাল ৪টায় শুরু হওয়া বৈঠক এক ঘণ্টাব্যাপী চলে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ, ইউএন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, চীন, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডসহ ৩৫টি দেশের কূটনীতিকরা বৈঠকে অংশ নেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রয় এবং নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ অন্যান্যদের মধ্যে বৈঠকে অংশ নেন।
শামা বলেন, বিএনপি নেতারা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন, নির্বাচন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের সাথে তাদের দুই দফা সংলাপ সম্পর্কে কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে। সরকারের ‘অনমনীয়’ মনোভাবের কারণে সংলাপ ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানানো হয়েছে। বিদেশি কূটনীতিকদের তারা আরো জানিয়েছেন, তাদের দল ও জোট গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনে যোগ দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিন্তু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সরকার ও নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিশ্চয়তার পরও ‘গায়েবি’ মামলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার চলমান রয়েছে বলেও কূটনীতিকদের জানিয়েছে বিএনপি নেতারা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল এবং পুনঃতফসিল ঘোষণায় নির্বাচন কমিশন যে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করেছে আমরা সে বিষয়টিও কূটনীতিকদের জানিয়েছি।’
বিএনপি নেতা জানান, তারা নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন উদ্বেগের কথাও তাদেরকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচনে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করেছে কূটনীতিকরা এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।