×

জাতীয়

মহাজোটের মনোনয়ন পেতে শরিক দলের দৌড়ঝাঁপ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০২:৪৫ পিএম

মহাজোটের মনোনয়ন পেতে শরিক দলের দৌড়ঝাঁপ
মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর-সদরের আংশিক) আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক দলের ৪ মনোনয়নপ্রত্যাশী মহাজোটের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সম্ভাব্যপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে তারা জোটের হাইকমান্ডে লবিং করছেন। পাশাপাশি চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকা। শরিক দলের এ জোটের প্রার্থীরা হচ্ছেন- জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আবদুল মান্নান, বি. চৌধুরীর বিকল্পধারায় যোগদানকারী সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন, জাতীয় পার্টির ছাত্রবিষয়ক যুগ্মসম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের (বিটিএফ) লায়ন এডভোকেট ফেরদৌস আহমেদ আসিফ। প্রার্থীদের মধ্যে এস এম আবদুল মান্নান ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে মহাজোটের মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতাকে পরাজিত করে রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়ে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে দৃশ্যমান কাজগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ প্রশস্ত ও উন্নিতকরণ, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ তার আমলে পাস হওয়া বলে তিনি দাবি করেন। মহাজোট থেকে তার মনোনয়ন নিশ্চিত বলে দাবি করেন এস এম আবদুল মান্নান। শরিক দলের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী গোলাম সারোয়ার মিলন সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীর বিকল্পধারায় যোগ দিয়ে আবারো আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে এসেছেন। এ নিয়ে তিনি কয়েক দফায় বিভিন্ন দল পাল্টালেন। মিলন জাতীয় পার্টির শাসনামলে অধুনালুপ্ত মানিকগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী হন। তিনি কয়েক বার দল বদলের কারণে তার নিজস্ব ভোট ব্যাংকে ধস নামে। বিএনপির শাসনামলে প্রয়াত শিল্পমন্ত্রী সামসুল ইসলাম খান নয়া মিয়ার মৃত্যুর পর ক্ষমতাসীন ওই দলে যোগদানের চেষ্টায় ব্যর্থ হন মিলন। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তার ভোটের অঙ্ক দাঁড়ায় মাত্র ১০ হাজার। পুনরায় তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে মহাজোট থেকে মানিকগঞ্জ-২ আসনের মনোনয়ন পান। পরে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসলে গোলাম সারোয়ার মিলন জাতীয় পার্টি বাদ দিয়ে ফেরদৌস আহম্মেদ কোরেশীর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টিতে (পিডিপি) যোগ দেন। পরে জাতীয় পার্টি তথা মহাজোটের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন তিনি। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস এম আবদুল মান্নান জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে মহাজোটের কোটায় মনোনয়ন বাগিয়ে নেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এস এম আবদুল মান্নান সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গোলাম সারোয়ার মিলন বিভিন্ন সময় মহাজোটের প্রার্থিতা ঘোষণা দেন। জাতীয় পার্টির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের ছাত্রবিষয়ক যুগ্মসম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করছেন। এর আগে জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনিও দলের মনোনয়ন পেতে শতভাগ আশাবাদী। এ আসনে মহাজোটের শরিক দল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী লায়ন এডভোকেট ফেরদৌস আহমেদ আসিফ। ইতোমেধ্যে নির্বাচনী এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার দিয়ে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। শুরু করেছেন গণসংযোগ। অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আসিফ সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী। ডাবল এম এ পাস আসিফ বর্তমানে ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন মহাজেটের শরিক দল হিসেবে আমার দল বিটিএফ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। মহাজোট থাকলে এ আসনে আমার মনোনয়ন শতভাগ নিশ্চিত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App