×

পুরনো খবর

কটন ট্রাউজার রপ্তানি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০২:৩১ পিএম

কটন ট্রাউজার রপ্তানি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে
একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সর্ববৃহৎ বাজার যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির একটি সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ তৈরি পোশাক আমদানি করেছে তার ২৭ শতাংশই পুরুষদের কটন ট্রাউজার। এ সময় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যটির রপ্তানি বেড়েছে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অফিস অব টেক্সটাইলস এন্ড অ্যাপারেলসের (ওটিইএক্সএ) পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। ওটিইএক্সএর তথ্য অনুযায়ী, নয় মাসে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কটন ট্রাউজার রপ্তানি হয়েছে ১১৩ কোটি ৯৫ লাখ ২৭ হাজার ডলারের। ২০১৭ সালের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১০৪ কোটি ২৪ লাখ ৫৭ হাজার ডলার। সার্বিকভাবে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়েছে। উল্লেখিত সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র মোট ৪১৬ কোটি ৮০ লাখ ৮৩ হাজার ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। ২০১৭ সালের একই মেয়াদে আমদানির পরিমাণ ছিল ৩৯৩ কোটি ৮১ লাখ ৩১ হাজার ডলার। মার্কিন বাজারে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া উল্লেখযোগ্য পোশাক পণ্যের মধ্যে শার্ট ও ট্রাউজারের পাশাপাশি রয়েছে কটন ড্রেস, নিট ব্লাউজ, কটন আন্ডারওয়্যার ও সোয়েটার। আলোচ্য নয় মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে ট্রাউজার, শার্ট ও আন্ডারওয়্যার। রপ্তািন বেড়েছে, এমন পণ্যের মধ্যে রয়েছে স্ল্যাকস। নয় মাসে পণ্যটি রপ্তানি হয়েছে ৫৯ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার ডলারের। ২০১৭ সালের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৪ কোটি ৮৫ লাখ ৩ হাজার ডলার। এ হিসাবে রপ্তানি বেড়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। চলতি বছর কটন আন্ডারওয়্যারের রপ্তানিও কমেছে। নয় মাসে পণ্যটি রপ্তানি হয়েছে ১৭ কোটি ৪১ লাখ ৮ হাজার ডলারের। ২০১৭ সালের একই সময় রপ্তানির আকার ছিল ১৯ কোটি ৭ লাখ ৮৪ হাজার ডলার। এ হিসাবে রপ্তানি কমেছে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মান ভালো ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক কেনার বিষয়ে মার্কিন ক্রেতাদের আগ্রহ এখনো অটুট রয়েছে। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ ত্বরান্বিত হওয়ায় ভবিষ্যতে পোশাকের ক্রয়াদেশ আরো বেড়ে যাওয়ার আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন অনেকে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চীনসহ শীর্ষ সরবরাহকারী দেশগুলোর ওপর আরোপিত হয়েছে শাস্তিমূলক শুল্ক। ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতির প্রভাবে ‘ব্যয়চাপ বৃদ্ধি’কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মার্কিন ক্রেতা প্রতিনিধিরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App