×

মুক্তচিন্তা

রাজনীতিতে সঙ রাজনীতির সঙ

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৩২ পিএম

প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার কারণে সংবিধানের ভিত্তিতে সংলাপে ফলাফল যদি বের হয়ে আসে এবং সব দলের অংশগ্রহণে যদি নির্বাচন হয়, তবে এই যাত্রায় হয়তো পার পেয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। অবশ্য এই সম্ভাবনা আপাতত বাস্তবায়িত হলেও এতে গণতন্ত্র অগ্রযাত্রার জট সব খুলে যাবে এর সম্ভাবনা শূন্য। কেননা অভিজ্ঞতা বলে যতদিন না জাতিসত্তা, জাতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তথা জাতীয় চারনীতির একনীতি জাতীয়তাবাদ প্রশ্নে সমাধান হবে, ততদিন অপর নীতি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার প্রশ্নটিরও সমাধান হবে না এবং রাজনীতিতে ‘সঙ’ সাজাও বন্ধ হবে না।

দেশবাসী সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চায়। আর তাই এখন সংলাপের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে। সংলাপের ফলাফল কি হবে- এটাই আজ দেশবাসীর সামনে বড় প্রশ্ন। কয়েকদিন আগেও কল্পনা করা যেত না যে, নির্বাচন সামনে রেখে সংলাপ হবে। রাজনীতিতে সময়ে অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনাই যে ঘটে, এবারের সংলাপ এর প্রমাণ। এটা তো ঠিক যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট চেয়েছিল সংলাপ যেন কেবল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও ড. কামাল বা বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যেই সীমিত থাকে। কিন্তু অন্যান্য দল- জোট যেমন তা চায়নি, তেমনি সরকারের পক্ষেও সবাইকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই বিভিন্ন দল- জোটের সঙ্গে এখনো সংলাপ চলছে। ৭ নভেম্বর পর্যন্ত তা চলবে।

এভাবে সংলাপ চলার কারণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ভীষণ ক্ষেপেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, ‘সংলাপটা কী, সঙ-এর সঙ্গে আলাপ।.. এই সংলাপকে যতভাবে ফালতু বানিয়ে দেয়া যায়, তার জন্য একটার পর একটা কাকে কাকে ডেকে কথা বলছেন আর তাকে সংলাপ বলছেন।.. সমস্ত রং তামাশা করার জন্য ক্ষমতায় বসে আছেন। আর মনে করছেন এই রং তামাশা করে খুবই একটা বুদ্ধিমান কাজ করছেন। দেশের মানুষ আপনাকে বুঝতে পারছে। আপনার ওজন কতখানি।’ কথা বলার ভঙ্গি ও ভাষা পাঠকরা লক্ষ করুন! এমন সব কথা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ নয়। গণতন্ত্রবিরোধী। সংলাপে ভালো কিছু বের হওয়ার সঙ্গে তা সাংঘর্ষিক।

এটা তো ঠিক যে, বিরোধীদের আন্দোলনের চাপ না থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের সুযোগ করে দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাইছেন। তার বিরুদ্ধে বিশ্রী সব শব্দ উচ্চারণ করা হচ্ছে। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে যেসব রাজনৈতিক দল নেই, তাদের বলা হচ্ছে ‘সঙ’। বিএনপির চেহারা গণতন্ত্রের বিষয়ে কি রকম তা দেশবাসীর জানা আছে। আর এখন বিএনপির চারপাশে ক্ষুদ্র-অতি ক্ষুদ্র যারা একত্রিত হয়েছে, তাদের আসল চেহারা এই যাত্রায় বের হয়ে আসছে। প্রশ্নটা হলো, বিএনপি ছাড়া এসব দলইবা কি আর নেতাদেরইবা ‘ওজন’ কতটুকু! পরোক্ষ সামরিক শাসনের ছত্রছায়ার মধ্যে এক সময়ের ছাত্রনেতা মান্না আওয়ামী লীগে যোগদান করে ‘কি হনু রে’ ভাব দেখাতে গিয়ে সেখানে তিষ্টিতে পারেননি। ২০১৪ সালে একই ভাব দেখিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ‘আগুন সন্ত্রাস’-এর পক্ষে দাঁড়িয়ে লাশ ফেলার পক্ষে ওকালতি করতে গিয়ে জেলের ভাত খেয়েছেন। এখন বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করে সেই একই ভাব দেখাতে চাইছেন। ফলে প্রথমেই হারিয়েছেন জাতীয় যুক্তফ্রন্টের মুখপত্রের পদ। যুক্তফ্রন্টের নেতা কে তা এখনো ঠিক করা সম্ভব হয়নি। নির্বাচনে যোগ দিলে আসন ভাগাভাগি পর্ব রয়েছে সামনে। ড. কামালকে সামনে রেখে নির্বাচনে যোগদান বিষয়ে ফয়সালা করে বিএনপি যদি তাকে ছেড়ে ডিগবাজি দিয়ে নিবন্ধনবিহীন জামায়াতের কোলে ফিরে যায়, তবে কোন নাটক হবে কে জানে! কে যে কীভাবে রাজনীতির অঙ্গনে ‘সঙ’ হচ্ছেন বা হবেন, তা বাস্তবের আয়নায় মুখ দেখলে অবশ্য নিজেরাই বলতে পারবেন।

এদিকে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা লক্ষ করুন। পত্রিকা পাঠে জানা যায়, দেশের ৮৫টি দল বা জোট চিঠি দিয়ে সরকারি জোটের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। সরকার অবশ্য বলে দিয়েছে ৭ নভেম্বরের পর আর সংলাপ হবে না। তাই ধারণা করা যায়, ৬ নভেম্বর সরকারি জোট ও বিএনপি জোটের সংলাপই শেষ সংলাপ। এখন প্রশ্ন হলো সংলাপের ফলাফল কি হবে? ফলাফল কীভাবে নির্ধারিত হবে? ধরে নেয়া যাক, সরকার কিছু ছাড় দিল। তা বিএনপি জোট মানল না। তখন আরো ছাড় দিল। এতেও তো না মানার সম্ভাবনা থাকবে। কেউ বলবেন, এটা নির্ভর করবে, দুই পক্ষের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কোনো দল বা ব্যক্তির সদিচ্ছার ওপর কি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে ছেড়ে দেয়া যায়? গণতন্ত্র কি কেবল সদিচ্ছার বিষয়? সদিচ্ছার মাপকাঠি আসলে কি? কে ঠিক করবে তা? এসব প্রশ্নের কি কখনো মীমাংসা করা যাবে?

বাস্তবে সংলাপের এ ঘটনা গণতন্ত্রের একটি সত্যকে আবারো প্রমাণ করেছে। এটা হচ্ছে গণতন্ত্রকে অগ্রসর করতে হলে সংসদকে রাজনৈতিক সব কাজের কেন্দ্রবিন্দু করতে হবে। সংসদে সব বিষয়ে আলোচনা হবে এবং সংবিধানের নিয়মানুযায়ী মেজরিটি ও মাইনরিটি দিয়ে সব নির্ধারিত হবে। সংবিধানের ভিত্তিতে সংসদের ভেতরেই গণতান্ত্রিক নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির শেষ ফয়সালা নিহিত থাকে। কিন্তু আমাদের জাতির দুর্ভাগ্য এই যে, স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর হতে চললেও আমরা এখনো সংসদকে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হইনি। তবে একটু গভীরে গিয়ে বিবেচনায় নিলেই দেখা যাবে, আমাদের জাতীয় মূলধারা আন্দোলন সব সময়েই সংসদকে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু করতে প্রচেষ্টা নিয়েছে। কিন্তু মূলধারার বিরোধীরা তা কখনো করতে দেয়নি। কেননা যত অব্যবস্থা আর অনিয়ম, ততই পানি ঘোলা করা সম্ভব আর ঘোলা পানিতেই মাছ শিকারের সুযোগ পাওয়া যায়। যা অবৈধ পন্থায় অবৈধ শক্তির ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রশস্ত করা ছাড়া আর কিছুই করে না।

এটা কার না জানা যে, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরই ১৯৪৭ সালে শাসনতন্ত্র রচনার জন্য বাংলার নেতাদের প্রচেষ্টায় শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে গণপরিষদ গঠিত হয়। কিন্তু ১৯৫৪ সালে ৯২(ক) ধারা জারির করে ওই গণপরিষদ পাকিস্তানি শাসক শোষকরা বাতিল করে। পরে বাংলার নেতা সোহরাওয়ার্দীর প্রচেষ্টায় পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানি নেতাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় মারি চুক্তি। কিন্তু ওই চুক্তিরও বরখেলাপ করা হয়। পরিণতি আইয়ুব খানের সামরিক আইন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে গোলটেবিল বৈঠকে শাসনতান্ত্রিক সমস্যার সমাধান হয় না। আবারো আসে ইয়াহিয়ার সামরিক শাসন। মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে স্বাধীনতার পর জাতীয় মূলধারা আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতিকে প্রথম গণতান্ত্রিক সংবিধান উপহার দিয়েছিল। কিন্তু একদিকে রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে অতিউগ্র বাম ‘রাতের বাহিনী’ আর অপরদিকে সুবিধাবাদী ডানপন্থি ‘চাটার দল’ সেই গণতন্ত্রকে অগ্রসর করতে দেয় না। ফলে সংসদে সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদ রেখেই এক দল করা হয়।

কিন্তু হত্যা-খুন, ক্যু-পাল্টা ক্যু, অবৈধ ক্ষমতা দখল, সেনাকর্তাদের ক্ষমতার লোভ প্রভৃতি আবার রাজনীতিকে পাকিস্তানি আমলের মতো সংসদের বাইরে নিয়ে যায়। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, ওই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত এবং যে সংসদ গঠিত হয়, সেই নির্বাচন ‘হুকুমের’ হলেও এবং সংসদ ‘রাবার স্ট্যাম্প’ সংসদ হলেও সেইসব নির্বাচনেও সংসদে আওয়ামী লীগ তথা জাতীয় রাজনীতির মূলধারার আন্দোলন অংশ নেয়। বলাই বাহুল্য বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগ তো আর সংবিধান ও সংসদের তোয়াক্কা না করে ফরমান বলে সংবিধান থেকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দেয়নি। তাই বিএনপিও যদি ২০১৪ সালে পাকিস্তানের কথা শুনে ‘গৃহযুদ্ধ’ বাধানোর লাইনে না গিয়ে সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ নিত, তবে আজ সংসদের বাইরে গিয়ে ড. কামালকে সামনে রেখে সংলাপে বসে সমাধানের পথ খুঁজতে হতো না।

এ ঘটনা প্রবাহ ও অভিজ্ঞতা দেখিয়ে দেয়, পাকিস্তানি আমলে তো বটেই এমনকি বাংলাদেশ আমলে যখনই সংসদকে বাদ দিয়ে অথবা সাইডে রাখার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে, তখনই রাজনীতিতে সমস্যা ও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে এবং জট পাকিয়ে অসমাধানযোগ্য হয়েছে। যার পরিণতিতে অবৈধ শক্তি ক্ষমতা দখল করেছে এবং প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সামরিক আইনের শাসনে গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়েছে। রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু সংসদ থেকে ক্যান্টনমেন্ট গেলেই বেধেছে বিপত্তি আর অঘটন, হয়েছে রক্তপাত। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রয়োজনের কারণে আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সংবিধানে যুক্ত হলেও তা ছিল অনির্বাচিত আর সেই অর্থে সংসদের বাইরে গিয়ে গণতন্ত্র ও নির্বাচনের সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা। ওই প্রচেষ্টা রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিনের নেতৃত্বে কোন ধরনের ‘সঙ’ সরকার সৃষ্টি করেছিল, তা কারোই অজানা নয়। পরিণতিতে এসেছিল জরুরি আইনের আর্মি ও নিরপেক্ষ দাবিদার সুশীল ব্যাকড ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়। জাতি আর ওই পথে যাবে না।

তবে আশার কথা এবারে সংবিধান ও সংসদ নিয়ে সরকারের দৃঢ় অবস্থান এবং ‘বঙ্গবন্ধুর অনুসারী’ ড. কামাল ক্যান্টনমেন্টের দল বিএনপির কাণ্ডারি ও উদ্ধারকারী হওয়ায় এখনো রাজনীতি সংবিধান ও সংসদের বাইরে যায়নি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বলা হচ্ছে, সংবিধানের ভেতরে থেকেই সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ওই ফ্রন্ট সংবিধান ও সংসদের মধ্যে থেকে সমাধান খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে। আর সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যাও এ ক্ষেত্রে গণতন্ত্র সংবিধান ও সংসদকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে উদার ও সহনশীল হয়েছেন, যা বঙ্গবন্ধু উত্তর রাজনীতিতে ক্যান্টনমেন্টের সেনাশাসকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে জাতীয় রাজনীতিতে বিলীন হতে চলেছিল। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় দ্বিতীয়বার ছোট আকারে জাতীয় যুক্তফ্রন্টের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ এসেছে। সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি পেতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করতে পারবে। সরকার ও প্রধানমন্ত্রী যে কতটা আন্তরিক এটাই এর প্রমাণ।

গণতন্ত্র সংসদ ও নির্বাচনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার সবচেয়ে উল্লেখ করার মতো দিক হচ্ছে, যে দলের কার্যকরী প্রধান আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত এবং প্রবাসী হিসেবে পলাতক কিংবা যে দল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তাকে মারতে চেয়েছিল, উদারতার কারণে তাকে যে দল অপমান করে টোলফোন আহ্বান প্রত্যাখ্যান ও দরজা বন্ধ করে দিয়েছে, সেই দলের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার কারণে সংবিধানের ভিত্তিতে সংলাপে ফলাফল যদি বের হয়ে আসে এবং সব দলের অংশগ্রহণে যদি নির্বাচন হয়, তবে এই যাত্রায় হয়তো পার পেয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এর সম্ভাবনা কতটুকু তা কেবল ভবিষ্যৎই বলতে পারবে। অবশ্য এই সম্ভাবনা আপাতত বাস্তবায়িত হলেও এতে গণতন্ত্র অগ্রযাত্রার জট সব খুলে যাবে এর সম্ভাবনা শূন্য। কেননা অভিজ্ঞতা বলে যতদিন না জাতিসত্তা, জাতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তথা জাতীয় চারনীতির একনীতি জাতীয়তাবাদ প্রশ্নে সমাধান হবে, ততদিন অপর নীতি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার প্রশ্নটিরও সমাধান হবে না এবং রাজনীতিতে ‘সঙ’ সাজাও বন্ধ হবে না।

শেখর দত্ত : রাজনীতিক ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App