×

তথ্যপ্রযুক্তি

ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তায় পাঁচ সতর্কতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:১২ পিএম

ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তায় পাঁচ সতর্কতা
প্রয়োজনে হোক আর অপ্রয়োজনে, প্রতিদিন আমরা ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং নানা ওয়েবসাইট ব্যবহার করছি। তবে তথ্য আদান-প্রদানের এ মাধ্যমগুলো ব্যবহারে সামান্য অসাবধানতায় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সাইবার অপরাধীদের কাছে পাচার হয়ে যেতে পারে। সাধারণত তরুণেরা এ ধরনের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় মুঠোফোন বা ট্যাবের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত তো করবেনই, এই পাঁচটি কাজ থেকেও বিরত থাকবেন-
বিনামূল্যের ওয়াই-ফাই ব্যবহার সর্বসাধারণের জন্য বিনামূল্যে ব্যবহারের ওয়াই-ফাই সাধারণত নিরাপদ হয় না। হ্যাকার চাইলে এই নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদানের সময় আপনার তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। মনে করুন, কোনো পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে ব্রাউজ করা কোনো ওয়েবসাইটে দেয়া ই-মেইল, পাসওয়ার্ড কিংবা অন্য কোনো তথ্যে প্রবেশ করলেন। একই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে এমন তৃতীয় কোনো ব্যবহারকারীর কাছে ডেটা চলে যেতে পারে। এ জন্য খুব প্রয়োজন না হলে উন্মুক্ত ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং ব্যবহারের আগে নিশ্চিত হয়ে নিন নেটওয়ার্কটি নিরাপদ কি না। ই-মেইলে অতি ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করা যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর মধ্যে ই-মেইলের জনপ্রিয়তাও কম নয়। ই-মেইল পাঠানোর আগে নিশ্চিত হয়ে নিন ঠিকানা ঠিক আছে কি না। ব্যক্তিগত তথ্য পাঠানো কিংবা সংযুক্তি যোগ করার আগে তাই সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অবাধ ব্যবহার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আপনি আপনার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ভাগাভাগি করে থাকেন। আপনার গোপনীয়তা রক্ষার সেটিংস এবং নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা জোরদার হওয়ার পরও আপনার শেয়ার করা ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কারো হাতে যেতে পারে। ফলে সাইবার অপরাধীরা আপনার অনাকাঙিক্ষত তথ্য অনলাইনে ছড়িয়ে দিতে পারে, যা আপনার ভার্চ্যুয়াল পরিচিতি কিংবা ব্যক্তিগত জীবন বিপদের মুখে ফেলে দেবে। না বুঝে অনলাইন ফরম পূরণ করা আজকাল অনেক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হলে কিছু ব্যক্তিগত তথ্যে প্রবেশ করতে হয়। বেশির ভাগ তথ্য ওয়েবসাইটে ব্যবহারের প্রয়োজনে হলেও তথ্য দেয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো। ওয়েবসাইটে তথ্য প্রদান করার আগে তাদের গোপনীয়তার নীতি পড়ে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার দেয়া তথ্যগুলো কী কী কাজে ব্যবহার করা হবে! দুর্বল ও সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা জটিল পাসওয়ার্ড মনে রাখা কিছুটা কঠিন বলে অনেকেই সহজে অনুমান করা যায় এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। এতে আপনার তথ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। তাই বড় ও ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা ও চিহ্নের সমন্বয়ে তৈরি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে কিছুদিন পরপর পুরোনো পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন। সূত্র: ম্যাশেবল

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App