×

বিনোদন

নাট্যকার শান্তুনুর ১১ বছর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:২২ পিএম

নাট্যকার শান্তুনুর ১১ বছর
নাটক বিষয় নিয়েই পড়ালেখা, পরবর্তী সময়ে নাটক লেখাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ২০০৭ সালে চ্যানেল ওয়ানে প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক ডাংগুলি রচনার মাধ্যমে নাটক লেখার শুরু। দীর্ঘ ১১ বছরে ৩০টিরও অধিক ধারাবাহিক ও দেড়শর অধিক এক পর্ব ও টেলিফিল্ম লিখেছেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজের মেধা এবং সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে। এই মানুষটি বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় নাট্যকার শফিকুর রহমান শান্তনু। বর্তমান সময়ের কর্মব্যস্ততা নিয়ে তিনি বলেন, এখন ধারাবাহিক ও কিছু এক পর্বের নাটক লেখার কাজ চলছে। এই তো কিছুদিন আগে আমার ৫২ পর্বের একটি নাটকের শুটিং হয়েছে। নাটকের নাম ‘অফ দ্য রেকর্ড’। এর ডিরেক্টর ছিলেন সৈয়দ শাকিল ভাই। অপূর্ব, মম, নাঈম, নিলয়, রওনক হাসান, শবনম ফারিয়া, নাদিয়া নদী, এ্যানি, সাজু খাদেম, আরফান, নাবিলাসহ বাংলাদেশের অনেক তারকা শিল্পী অভিনয় করেছেন। এছাড়া নেপালে আরো তিনটা এক পর্বের নাটকের শুটিং হয়েছে। পূজা উপলক্ষে দুটো নাটক লিখেছিলাম। নাটক দুটি যথাক্রমে ‘যে বিকেল কখনো আসে না’ এবং ‘এবার পূজোয়’। এ মুহূর্তে সীমান্ত সজল, জাকিউল ইসলাম রিপন, এল আর সোহেল, দীপু হাজরা, চয়নিকা চৌধুরীসহ কয়েকজনের পরিচালনায় বেশকিছু খÐ নাটকের কাজ চলছে। নিজের লেখা উপন্যাস এবারের বইমেলা প্রকাশ হবে জানিয়ে শান্তনু বলেন, এবারের অমর একুশে বইমেলার জন্য ‘গবলিন’ নামের একটা উপন্যাস লিখছি। এটি মূলত একটি পিশাচ উপন্যাস। প্রথাগত পিশাচ কাহিনী বলা যাবে না। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই একটা পিশাচ বাস করে। কখনো সে পিশাচটা কারো থেকে বের হয়ে আসে; কখনো বা বের হয়ে আসে না। এরকম একটি প্রেক্ষাপটের গল্প নিয়েই ‘গবলিন’। টেলিভিশন নাটক লিখলেও মঞ্চের জন্য নাটক লিখেননি। তবে মঞ্চের জন্য নাটক লেখার ইচ্ছে আছে বলে জানান শান্তনু। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত¡ বিভাগ থেকে মাস্টার্সে স্ক্রিপ্ট রাইটিং বিষয়ে ফার্স্টক্লাস অর্জন করেছেন তিনি। নাটক লেখার পাশাপাশি জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিয়মিত নাটক রচনার ওপর ক্লাস নেন। বর্তমান সময়ে নাটকের অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের নাটকের বাজার যথেষ্ট ভালো। এখন তো টেলিভিশনের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজ হচ্ছে। আলাদাভাবে ইউটিউবের জন্যই নাটক তৈরি হচ্ছে। নাটকের ক্ষেত্রগুলো বাড়ছে। সেই হিসেবে আমাদের পেশাদারিত্ব ও কাজের প্রতি আন্তরিকতা আরো প্রবল হলে, ভালো কাজ হতে বাধ্য। তাই যারা বলেন, নাটকের স্বর্ণালী দিন আমরা পার করে এসেছি, তাদের সঙ্গে আমি একমত নই। প্রচুর বাজে কাজের সঙ্গে প্রচুর ভালো কাজ হচ্ছে। আমি মনে করি, কাজের একটা গন্ধ থাকে। দর্শক কিন্তু সে কাজের দুর্গন্ধ বা সুগন্ধ ঠিকই পায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App