×

অর্থনীতি

২৪ প্রকল্প অনুমোদনের নতুন রেকর্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:৫৪ পিএম

২৪ প্রকল্প অনুমোদনের নতুন রেকর্ড
নির্বাচনী বছরে ফের নতুন প্রকল্প অনুমোদনের রেকর্ড তৈরি হয়েছে। ১১তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ২১ প্রকল্প পাস হলেও ১২তম সভায় ২৪ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে হওয়া সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম প্রমুখ। একনেক সভাশেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় ২৪টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১৯ হাজার ৩৬১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩০৬ কোটি ৪ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৫ হাজার ৭২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, রোহিঙ্গারা যতদিন কক্সবাজারে থাকবেন ততদিন তাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের। আমরা তাদের ভালো থাকার ব্যবস্থা করছি। যখন তারা মিয়ানমারে ফেরত যাবেন তখন সেখানকার স্থানীয় বাংলাদেশিরা এসব অবকাঠামোর সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন। কেননা রোহিঙ্গাদের কারণে তারা অনেক কষ্ট ভোগ করছেন। বিশ্বব্যাংক ও এডিবিসহ অনেক সংস্থা ও দেশ অনুদান দিচ্ছে। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মাল্টি সেক্টর প্রকল্পটির প্রাক্কলিত খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে এক হাজার ৪৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এতে সাহায্যে করেছে বিশ্বব্যাংক। রোহিঙ্গাদের জন্য সুপেয় পানি, স্বাস্থ্য ও পয়ঃনিষ্কাষণ, আশ্রয় শিবিরের ভেতরে সড়ক, ফুটপাথ, বাতি, হাটবাজার উন্নয়ন, যোগাযোগকারী সড়ক, সেতু, সাইক্লোন সেল্টার, মাল্টিপারপাস কমিউনিটি কেন্দ্র, অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র ইত্যাদি কাজ অতি জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণ করা প্রয়োজন। ডিজিএফআই এনালগ পদ্ধতিতে চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের ডিজিটাল করতেই ডিজিএফআই শক্তিশালিকরণ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ফেসবুকে অনেক খারাপ অ্যাপসও আছে। কিভাবে আগামী প্রজন্ম এসব হজম করবে জানিনা। ফেসবুকে অনেক গুজব ছড়ানো হয়। এজন্য আইন করা হয়েছে। সেই আইন বাস্তবায়নে ডিজিএফআইকে শক্তিশালি করা হচ্ছে। এতে সাইবার অপরাধ ও জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম কমে আসবে বলে আশা করছি। একনেক সভায় পাস হওয়া প্রকল্পগুলো হলো- বগুড়া থেকে শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন এবং সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত নতুন ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা। ঈশ^রদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)। প্রকল্পটির বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ৫নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা ফুটপাত নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২১০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০২১ সালের মধ্যে সমাপ্ত করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া, মাদানী এভিনিউ থেকে বালু নদী পর্যন্ত মেজর রোড প্রশস্তকরণ ও বালু নদী থেকে শীতলক্ষ্যা নদী পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ (প্রথম পর্ব), রাজউক পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক থেকে মাদানী এভিনিউ, সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন; বঙ্গবন্ধু জাদুঘর নির্মাণ (সংশোধিত), কর্ণফুলী সেতু নির্মাণ প্রকল্প (তৃতীয় সংশোধিত), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ ও উন্নয়নসহ সড়কের নিরাপত্তা, ডিজিএফআইয়ের টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি অবকাঠামো, মানবসম্পদ ও কারিগরি সক্ষমতা উন্নয়ন প্রকল্প, ডাক অধিদপ্তরের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, সম্প্রসারণ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য বীর যোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন। এ ছাড়া, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার নির্মাণ, ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজ্যাবিলিটিজ (দ্বিতীয় সংশোধিত), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা, ২৩ জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন, পতেঙ্গায় বিএনএ বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ, স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচার কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোর কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ, ঢাকায় বিসিক কেমিক্যাল পল্লী স্থাপন, গাজী ওয়্যারস লিমিটেড শক্তিশালীকরণ এবং ৫০০-৬০০ মেগাওয়াট এলএনজি বেজড কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পাদন এবং গ্যাস সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্প।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App