×

জাতীয়

এখনো গ্রেপ্তার নেই মামলা দায়ের

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:১৫ পিএম

নগরীর পাঠানটুলী এলাকায় মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পারিবারিক কলহের জের ধরে নিহত মেয়ে পারভিন আক্তারের স্বামী রিকশাচালক মো. আবদুল মতিনই তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। এদিকে নিহত মা হোসনে আরার আরেক মেয়ে রেশমি আকতার বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ভগ্নিপতি আবদুল মতিনকে আসামি করে ডবলমুরিং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে মতিন পলাতক রয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন বলেন, মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় নিহত হোসনে আরার মেয়ে রেশমি আকতার বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তার ভগ্নিপতি মতিনকে আসামি করা হয়েছে। আমরাও ধারণা করছি পারিবারিক কলহের জেরে মতিনই শ্বাসরোধ করে তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যা করেছে। সোমবার রাতের কোনো এক সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মতিনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার বাদী রেশমি আকতার বলেন, দেড় বছর আগে আবদুল মতিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় পারভিন আকতারের। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। সোমবারও মতিন পারভিনের সঙ্গে ঝগড়া করেছে। আমার মা প্রতিবাদ করায় তিনি মাকেও গালিগালাজ করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে পাঠানটুলী পশ্চিম মগপুকুর পাড়ের একটি দোতলা বাড়ির নিচতলায় পাশাপাশি দুটি ঘর থেকে হোসনে আরা (৫০) ও তার মেয়ে পারভীন আক্তারের (২২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হোসনে আরা কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ধনপতি গ্রামের মৃত বারো মিয়ার স্ত্রী। তার তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলে সোহেলকে নিয়ে হোসনে আরা আব্দুল আলীর কলোনির একটি সেমিপাকা ঘরে ভাড়া থাকতেন। পাশের ঘরে মেয়ে পারভিন তার স্বামী মতিনের সঙ্গে থাকতেন। মতিন রিকশাচালক ও পারভিন পোশাক কারখানার কর্মী। সোহেলের স্ত্রী থাকেন কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতে। মেজ মেয়ে রেশমি আক্তারও একই এলাকায় স্বামীসহ থাকেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App