×

পুরনো খবর

উদীচীর সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান শেষ হলো

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৫৫ পিএম

উদীচীর সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান শেষ হলো
দেশে ও বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উদীচীর সাড়ে তিন শতাধিক জেলা ও শাখা সংসদে একযোগে জাতীয় পতাকা, সংগঠন পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও সংগঠন সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে শেষ হলো লড়াই-সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন উদীচী প্রতিষ্ঠার গৌরবের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠান। গতকাল সোমবার ছিল উদীচীর মূল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন এবং সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে তিন দিনব্যাপী উৎসবের সমাপনী দিন। এদিন বিকেলে রাজধানীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় ও সংগঠন সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ এবং সংগঠন পতাকা উত্তোলন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন। এরপর শুরু হয় উদীচীর বর্তমান ও পুরনো কর্মী-সংগঠকদের স্মৃতিচারণ পর্ব। এ পর্বে বিভিন্ন সময়ে উদীচীর সংগঠক ও কর্মীর ভ‚মিকা পালন করা ব্যক্তিরা নানা সময়ে উদীচীর সঙ্গে সম্পৃক্ত সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরেন। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় এ পর্বে আলোচনা করেন উদীচীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ সেলিম, রেজাউল করিম সিদ্দিক রানা, গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির সিরাজ প্রমুখ। এরপর শুরু হয় শুভেচ্ছা জ্ঞাপন পর্ব। এতে বক্তব্য রাখেন উদীচীর সাবেক সভাপতি কামাল লোহানী, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী, সাংস্কৃতিক পর্ষদের আহবায়ক হায়দার আনোয়ার খান জুনো, সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি তপন মাহমুদ, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমÐলীর সদস্য প্রণয় সাহা প্রমুখ। আলোচনা করেন আমন্ত্রিত অতিথি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার, ত্রিপুরার শিল্পী বিভু ভট্টাচার্য্য এবং ফ্রান্সের উবারভ্যালিয়ে টাউন হলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তা কার্লোস সেমেদু। সন্ধ্যায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পর্বে সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী এবং এফ মাইনর। এ ছাড়া, একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার ও বিমল দে, বিশিষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী সোহানা আহমেদ, তানভীর আলম সজীব, লিজু বাউলা, অংশুমান দত্ত অঞ্জন, উদীচী জামালপুরের তরুণ শিল্পী ইউনুস আলী প্রমুখ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী কাজী মদিনা এবং জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। এর আগে, ‘আঁধারবৃন্তে আগুন জ্বালো, আমরা যুদ্ধ আমরা আলো’ এই স্লোগান নিয়ে শুরু হয় উদীচীর সুবর্ণজয়ন্তী সমাপনী অনুষ্ঠানমালা। ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর শিল্পী-সংগ্রামী-কৃষক নেতা সত্যেন সেনের নেতৃত্বে প্রগতিশীল চিন্তাচেতনাসমৃদ্ধ একদল তরুণ সাংস্কৃতিক সংগঠকের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় উদীচী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি ন্যায়সম্মত, প্রগতিশীল আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রেখেছে উদীচী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ একটি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, মৌলবাদমুক্ত, সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App