×

বিনোদন

‘ইন্ডিয়ান আইডল’ থেকে আনু মালিক বাদ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৪৮ পিএম

‘ইন্ডিয়ান আইডল’ থেকে আনু মালিক বাদ
‘ইন্ডিয়ান আইডল’ থেকে আনু মালিক বাদ

সম্প্রতি বলিউডে যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে #মিটু আন্দোলন। রাজনীতি, বিনোদন জগতসহ দেশটির বিভিন্ন অঙ্গনে ওলটপালট চলছে এই আন্দোলনের প্রভাবে। তার জেরেই এবার জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ থেকে বাদ পড়লেন আনু মালিক।

রোববার আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, যে চ্যানেলে গানের ওই রিয়্যালিটি শো চলত, ওই বেসরকারি চ্যানেলের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে আনু মালিককে বাদ দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়ান আইডল-এর বিচারকদের প্যানেলে আনু মালিককে আর রাখা হচ্ছে না। তবে শো যথাসময়েই চলবে।’

একদম শুরু থেকেই এই রিয়্যালিটি শো-এর বিচারকের আসনে ছিলেন আনু। অন্য বিচারক পরিবর্তন হলেও সিজন-১০-এ এসেও তার জায়গা বদল হয়নি। এই সিজনে আনু মালিকের সঙ্গে এই শোয়ের বিচারক ছিলেন বিশাল দাদলানি ও নেহা কক্কর।

ওই বেসরকারি টিভি চ্যানেলের বিবৃতিতে অবশ্য আনু মালিককে বাদ দেওয়ার কোনও কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট মহল জানায়, এই সঙ্গীত পরিচালকের বিরুদ্ধে পর পর যৌন হেনস্থা তথা #মিটু অভিযোগের জেরেই তাকে বাদ দেওয়া হলো।

আনু মালিকের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে প্রথম যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন সোনা মহাপাত্র। তারপর পণ্ডিত যশরাজের নাতনি শ্বেতা পণ্ডিত তাকে শিশুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত বলে উল্লেখ করেন। মুম্বাইয়ের একটি স্টুডিওতে আনু মালিক তাকে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ তোলেন শ্বেতা।

এরপর শনিবারই আরও দুই মহিলা আনুকে #মিটু-র কাঠগড়ায় তোলেন। প্রথম মহিলার অভিযোগ, আনু নিজের বাড়িতে ডেকে জোর করে জড়িয়ে ধরে স্কার্ট টেনে নামিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর নিজের প্যান্টের চেন খুলে তাকে চেপে ধরেছিলেন।

অন্য মহিলার অভিযোগ ছিল, আনু মালিক তাকে একটি শিফন শাড়ি পরে স্টুডিওতে যেতে বলেছিলেন। সেই স্টুডিওর ফ্লোরে তাকে চেপে ধরেন আনু মালিক। মহিলার দাবি, লাগাতার আপত্তির পর অবশ্য নিজেকে সামলে নেন আনু মালিক।

তবে অভিযোগ ওঠার পর থেকে আনু মালিক সোনা মহাপাত্রকে চেনেন না বলে দাবি করে আসছেন। শ্বেতার অভিযোগও ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

কিন্তু, শেষ দুই মহিলার অভিযোগ নিয়ে অবশ্য এখনও তার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তার এক আইনজীবী জুলফিকার মেমন দাবি করেছেন, ‘আমার মক্কেল #মিটু আন্দোলন সম্মান করেন। তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। এই আন্দোলনকে কারও চরিত্রহননের জন্য ব্যবহার করা হলে তা অত্যন্ত নোংরা মানসিকতার পরিচয়।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App