×

জাতীয়

দুই দিনের ভারি বর্ষণে আতঙ্কে রাঙ্গামাটিবাসী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৪৯ পিএম

গত দুই দিনের ভারি বর্ষণে আতঙ্কে দিন কাটছে রাঙ্গামাটিবাসীর। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া ভারি বর্ষণে রাঙ্গামাটির জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে থাকা পরিবারগুলো খুবই ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় অতীতের ভয়াবহ পরিণতির কথা ভেবে লোকজন নিজ তাগিদে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন। ২০১৭ সালের ১৩ জুনের পাহাড় ধসের দুঃস্বপ্ন রাঙ্গামাটির মানুষকে এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আকাশ একটু কালো দেখলে বা বৃষ্টি হলেই মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভারি বর্ষণে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাঙ্গামাটি শহরের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের কয়েকটি স্থানে ছোটখাটো পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে কাজ করছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৭টি টিম। খুলে দেয়া হয়েছে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র। এমনটাই জানালেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ। গতকাল বিকেল থেকে আবারো শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। বিকেলে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড় তিতলি সৃষ্ট সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় রাঙ্গামাটি জেলা সদরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার সরবরাহসহ স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য দমকল বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এ জরুরি সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, সিভিল সার্জন শহীদ তালুকদার, প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দীনসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, সমাজসেবক, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App