লক্ষ্মীপুরে যৌতুকের দাবিতে লামিয়া আক্তার ঐশী (২০) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। আজ রবিবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এরআগে গতকাল শনিবার রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে লামিয়াকে হত্যা করে মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঐশী জেলার রায়পুর উপজেলার মধ্য কাঞ্চনপুর এলাকার গ্রামের মো. হাছানের মেয়ে। নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, ঐশী সদর উপজেলার হামছাদী ইউনিয়নের হাসন্দি গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতো। পরে একই উপজেলার শেরপুর গ্রামের আরিফের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় এক বছর হয়ে তাদের বিয়ে হয়। এরপর থেকেই ঐশীকে তার স্বামী আরিফ ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। এনিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করা হতো। গত শুক্রবার রাতে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। পুলিশ জানায় আরো জানায়, প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রাতেই ঐশির মাকে মোবাইলফোনে বলা হয়, তার মেয়ে অসুস্থ। পরে বাড়িতে তার মরদেহ রেখে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। নিহতের মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।