×

তথ্যপ্রযুক্তি

ভবিষ্যতের প্রযুক্তি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৫:০৭ পিএম

ভবিষ্যতের প্রযুক্তি
ভবিষ্যতের প্রযুক্তি
প্রযুক্তির ছোঁয়া আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। আবার প্রযুক্তিরই বিভিন্ন বিষয় আমাদের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষে দিন দিনই উন্নত হচ্ছে মানুষের জীবন। আবার এই প্রযুক্তি নিয়েই মানুষের রয়েছে বিভিন্ন ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি। ভবিষ্যৎ বা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নিয়েই আজকের আয়োজন। লিখেছেন নাজমুল হক ইমন
কুইটবিট লাইটার বোস্টনের গোফরানি এবং উজি নাগানো তৈরি করেছেন ‘কুইটবিট’ নামক স্মার্ট লাইটার। এই লাইটার সিগারেট খাওয়া কমাতে সাহায্য করবে। যেহেতু এটি কেটি স্মার্ট পণ্য, তাই এর কাজকারবারও স্মার্ট। লাইটারটি সিগারেট জ্বালানোর পাশাপাশি ব্যবহারকারী প্রতিদিন কতবার ধুমপান করেছেন সেই হিসাব লাইটারের ডিসপ্লেতে প্রদর্শন করবে। ফলে ধুমপান করার পরিমান কমেছে না বেড়েছে সেটি এই লাইটারটির মাধ্যমে জানা যাবে। এছাড়া ব্যবহারকারী সর্বশেষ কখন সিগারেট জ্বালিয়েছেন, কতবার বন্ধুর সঙ্গে সিগারেট শেয়ার করেছেন সেটিও জানাবে। লাইটারটিতে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি রয়েছে। ফলে অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্টফোনেও ধুমপানের যাবতীয় হিসাব পাওয়া যাবে। এমনকি সিগারেটের পেছনে কতটাকা খরচ হচ্ছে বা কমানোর ফলে কতটাকা সঞ্চয় হচ্ছে সে তথ্যও স্মার্টফোনে পাওয়া যাবে। তথ্য ফেসবুক এবং টুইটারে শেয়ারও করা যাবে। খুব শিগগিরি বিশ্বব্যাপী এই লাইটারটি বাজারজাত করা হবে বলে জানা গেছে। পি-সেল প্রযুক্তি বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪জি ইন্টারনেট সেবা চালু রয়েছে। কিন্তু এমন একটি প্রযুক্তি আসছে, যা দিয়ে স্মার্টফোনের সাহায্যে ফোর-জির চেয়ে এক হাজার গুণ বেশি দ্রুতগতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা সম্ভব। নতুন এই প্রযুক্তির নাম পি-সেল প্রযুক্তি। ২০২০ সালে মধ্যেই সারাবিশ্বের মানুষের এ সুবিধাটি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২০ থেকে ব্যাপকভাবে ভিজ্যুয়াল মার্কেটিং শুরু হবে। কম্পিউটিং সেবা কম্পিউটিং সেবা আগামী বছরগুলোয় আরো বেশি প্রসার হবে। মোবাইল ডিভাইস থেকে শুরু করে পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্যগুলোর মাধ্যমেও এখন এই সেবার ব্যবহার বাড়ছে। আর ক্রমবর্ধমান মোবাইল ডিভাইস বাজারসংশ্লিষ্ট সেবাকে আরো প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গে পরিণত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট সেবা ইন্টারনেট অব থিংকস নামে অধিক পরিচিত ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট সেবা পণ্যগুলোর ব্যবহার আগামী বছরগুলোয় বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এ ধরনের পণ্যের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এরই মধ্যে এ খাত নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি গবেষণা শুরু করেছে। তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা তথ্য সংরক্ষণে এরই মধ্যে উদ্ভাবন হয়েছে বেশকিছু নতুন প্রযুক্তি। বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট প্রসারের কারণে সাধারণ গ্রাহক এখন ইন্টারনেটে তাদের নিজেদের তথ্য সংরক্ষণের সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু এসব তথ্যের নিরাপত্তা দেয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরগুলোয় নিরাপদ তথ্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহার বাড়বে উল্লেখযোগ্য হারে। স্মার্ট হেডফোন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কিকস্টার্টার নিয়ে আসছে ‘স্ট্রিমজেড’ নামক স্মার্ট হেডফোন। এটি একই সঙ্গে হেডফোন এবং মিউজিক ডিভাইস হিসেবে কাজ করবে। এজন্য এতে বিল্ট-ইন ওয়াই-ফাই অ্যানড্রয়েড মিউজিক প্লেয়ার থাকবে। ফলে সরাসরি হেডফোন থেকেই গান বাজানো যাবে। স্মার্ট হেডফোনটি ব্যবহার করে ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে সরাসরি ক্লাউড স্টোরেজ থেকে গান শোনা যাবে। এ ছাড়াও প্যানডোরা ও স্পটিফাইয়ের মিউজিক স্টোর থেকেও গান শোনা যাবে। অতি দ্রæত এটি বাজারে আনা হবে বলে জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। সতর্ক করা সিটবেল্ট স্পেন ও যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক তৈরি করেছে সিটবেল্ট। ‘হারকেন’ নামক এই সিটবেল্ট গাড়িচালকের ঘুম ঘুম ভাব হলেই তাকে সতর্ক সংকেত দেবে। সিটবেল্টটি চালকের হৃৎপিন্ডের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে এবং তার ঘুম আসছে কি না তা শনাক্ত করতে পারবে। গাড়ি চালানো অবস্থায় চালক ঘুমিয়ে পড়লে সিটবেল্টটি জরুরি সংকেতেরমাধ্যমে চালককে জাগিয়ে তুলবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে গাড়ি থামানোর পরামর্শ দেবে। সিটবেল্টের পাশাপাশি চালকের শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখতে সক্ষম এমন ধরনের স্মার্ট সিট কভার তৈরিতেও গবেষকরা কাজ করছেন বলে জানা গেছে। ভিটেল বোতল বোতলজাত পানি প্রস্তুতকারক ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠান বাজারে নিয়ে আসতে যাচ্ছে ‘ভিটেল’ নামক স্মার্ট বোতল। ব্যবহারকারীকে এই বোতলটি প্রতি এক ঘণ্টা পর পর নিজে থেকেই পানি খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেবে। এজন্য বোতলটির ক্যাপে সংযুক্ত করা হয়েছে সময় গণনা যন্ত্র । প্রতিবার পানি খাওয়ার পর পানির বোতলের মুখটি আটকে রাখার সঙ্গে সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে বোতলের মাথায় থাকা সময় গণনা যন্ত্রটি। পানি খাওয়ার এক ঘণ্টা পার হলে, এই স্মার্ট বোতলটির ক্যাপটির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে লাল রঙের ছোট একটি ফ্ল্যাগ। ফলে বোতলের দিকে তাকালেই ব্যবহারকারীর পানি খাওয়ার কথা মনে পড়ে যাবে। মাই কোচ ফুটবল অ্যাডিডাস তৈরি করেছে ‘মাই কোচ স্মার্ট বল’ নামক স্মার্ট ফুটবল। এই স্মার্ট বলটির ব্যবহার করে নিজে নিজেই সহজে দক্ষ ফুটবলার হয়ে উঠা যাবে বলে অভিমত প্রতিষ্ঠানটির। কেননা বলটিতে বিশেষ সেন্সর এবং ব্লুটথ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে বলটিতে কত জোরে লাথি দেয়া হল এবং কোন দিকে বলটি উড়ে যাবে বা কতটা বাঁক নেবে এরকম যাবতীয় সব তথ্যে ব্লুটুথের মাধ্যমে বলটি আইফোনে সরবরাহ করবে। এজন্য আইফোনে ‘মাই কোচ’ নামক অ্যাপটি ব্যবহার করলেই চলবে। শর্ট পাস, লং পাস, গোলকিক, কর্নারকিক, ফ্রিকিক কিংবা স্ট্রাইকে দক্ষতা বাড়াতে বলটি ডিজিটাল কোচের দায়িত্ব পালন করবে। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডেইলি মেইল, দ্য গার্ডিয়ান, ম্যাশঅ্যাবল। হ ডটনেট ডেস্ক

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App