×

অর্থনীতি

ঢাকায় হচ্ছে কেন্দ্রীয় ফুল বিপণন কেন্দ্র

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:১৫ পিএম

ঢাকায় হচ্ছে কেন্দ্রীয় ফুল বিপণন কেন্দ্র
দেশের প্রায় ২০ লাখ মানুষ বর্তমানে ফুলচাষের সঙ্গে জড়িত। এর অধিকাংশ ফুলই ঢাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিক্রি হয়। ঢাকার শাহবাগ ও আগারগাঁওয়ে পাইকারি ফুলের বাজার রয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা এসব জায়গা থেকে ফুল কিনে ঢাকা শহরে ছড়িয়ে পড়েন। তবে সবজি বিক্রির জন্য কারওয়ান বাজারে অবকাঠামোগত সুবিধা থাকলেও ফুল বিক্রির জন্য কোনো বাজার নেই। কেন্দ্রীয়ভাবে ফুলবাজার নির্মাণের দাবি বহু আগে থেকেই করে আসছেন ফুল বিক্রেতারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর গাবতলীতে ফুল চাষির স্থায়ী বাজার তৈরি হচ্ছে। প্রায় দেড় একর জমির ওপর দুইতলা ভবন নির্মাণ করা হবে। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বাজার হিসেবে নির্মাণ হবে ভবনটি। জানা গেছে, অবকাঠামো, সংরক্ষণ ও পরিবহন সুবিধার মাধ্যমে ফুল বিপণনে সহায়তা প্রদান প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৯ কোটি ২০ লাখ। চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের আওতায় গাবতলীতে একটি ফুলের পাইকারি বাজার নির্মিত হবে। ফুল উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত ৬ হাজার ৪০০ জন কৃষক, উদ্যোক্তা, বাজারজাতকারী এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ১৫০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। একশটি বিপণন দল গঠনের পাশাপাশি প্রসেসিং এবং প্যাকেজিং মেশিনারি কেনা হবে। ঢাকার কেন্দ্রীয় বাজারের পাশাপাশি ২২ জেলায় ছোট ছোট আধুনিক মার্কেট নির্মাণ করা হবে, যেখানে ফুলের উৎপাদন বেশি। ২২টি জেলার সঙ্গে ঢাকার কেন্দ্রীয় বাজারের সঙ্গে সংযোগ থাকবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে আগারগাঁও অন্যতম ফুলের পাইকারি বাজার। এছাড়া শাহবাগসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে ফুল বিক্রি হয়। কিন্তু ভালো পরিবেশে ফুল বিক্রি না হওয়ায় সংশ্লিষ্টরা ভালো দাম পান না। তাই আমরা একটা আধুনিক ফুল বিপণন কেন্দ্র নির্মাণ করব। এর পাশেই একটা প্যাকেজিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। ফুলের প্যাক হাউজ অনেক আধুনিক হবে। এখান থেকে ফুল প্যাক করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারব। প্যাক হাউসে এয়ার কুলিং ব্যবস্থা থাকবে, যাতে ফুল সতেজ থাকে। তবে পরবর্তীতে যশোর, মানিকগঞ্জ, সাভারেও আধুনিক বিপণন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি। জানা গেছে, যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার পানিছড়া গ্রামে ১৯৮৩ সালে বাণিজ্যিকভাবে ফুলচাষ শুরু হয়। পরবর্তীতে যশোর জেলার নিকটবর্তী পাঁচটি উপজেলায় ফুলচাষ দ্রæত স¤প্রসারিত হয়। বাংলাদেশের অন্য কিছু জেলায়ও ফুলচাষ বিস্তার লাভ করেছে। বর্তমানে যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, গাজীপুর, মেহেরপুর, ঢাকা, বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহীসহ ২২টি জেলায় ফুলচাষ হচ্ছে। এদিকে এই বাজার তৈরিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, বিপণন সেবা সম্প্রসারণ ও খামারের সঙ্গে সরাসরি বাজার সংযোগ সৃষ্টি করা হবে। যেন ফুলচাষি ন্যায্য দাম পেতে পারেন। ফুল প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্যাকেজিং কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ঢাকায় একটি প্রসেসিং সেন্টার নির্মাণ করা হবে। অধিক উৎপাদনশীল জেলায় ফুল বিক্রির জন্য দুটি অ্যাসেম্বল সেন্টার থাকবে। দেশে ফুলচাষ স¤প্রসারণের আরো সম্ভাবনা আছে। শুধুমাত্র যশোর জেলায় পাঁচ হাজার পরিবার ফুলচাষে জড়িত। এ জেলায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলচাষ হয়। দেশে প্রায় ছয়শ কোটি টাকা মূল্যের ফুল উৎপাদিত হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App