×

জাতীয়

সড়কে নৈরাজ্য ঠেকাতে ‘জিরো টলারেন্স’ পুলিশের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৫১ এএম

সড়কে নৈরাজ্য ঠেকাতে ‘জিরো টলারেন্স’ পুলিশের
রাজধানীর সড়কে নৈরাজ্য ঠেকাতে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী সব ধরনের যানবাহনের চালক ও পথচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। শুধুমাত্র মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের ওপর ভরসা না করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও রাস্তায় নেমে সার্বিক কার্যক্রম তদারকির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সড়কে নৈরাজ্য শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে এসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন ছাড়া রাস্তায় গাড়ি না চালানো, রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি না থামানো, গণপরিবহনের গেট বন্ধ রাখা, ফুটপাতে উঠে মোটরসাইকেল না চালানো, মাথায় হেলমেট পরা, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা না বলার নির্দেশনা যথাযথভাবে পালিত না হওয়ায় সড়কের শৃঙ্খলা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় যানবাহন চালক ও পথচারীদের সড়ক আইন মানতে বাধ্য করাতে পুলিশ ও বিআরটিএর পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি স্কাউট ও গার্লস গাইড সদস্যদের রাস্তায় নামানো হয়। এতে সড়কে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এলেও নৈরাজ্য পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবার আরো কঠোর হচ্ছে। ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, রাজধানীর সড়কে যানবাহন চালকদের আইন মানতে বাধ্য করা এবং পথচারীদের ট্রাফিক আইনের ব্যাপারে সচেতন করতে পুলিশকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুলিশের চলমান অভিযান আগামী মাস থেকে আরো জোরদার করা হবে। কেউ সড়ক আইন ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, গত দেড় বছরে রাজধানীর সড়কে ট্রাফিক আইন অমান্য করার অপরাধে সোয়া ৬ লাখ মামলা হয়েছে। এবার ফুটপাতে অবৈধভাবে গাড়ি পাকিং করলেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা আগে কখনো হয়নি। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গত ৫ আগস্ট থেকে ১০ দিন সড়কে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। পরবর্তী সময়ে পুরো সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে পুলিশ সড়কে আগের চেয়ে বেশি সক্রিয় হয়। এতে সড়কে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরেছে। এটা এখন আরো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ না করলে ফের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এবার ‘জিরো টলারেন্সে’ সড়ক নিয়ন্ত্রণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ডিএমপির পক্ষ থেকে রাজধানীতে ১২১টি বাস স্টপেজের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলোর সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ চলছে। চলতি মাসের মধ্যেই সাইনবোর্ড লাগানো শেষ হবে। তখন নিদিষ্ট স্থান ছাড়া বাস থামালে মামলার পাশাপাশি বড় ধরনের জরিমানা আদায় করা হবে। কোনো যানবাহনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলে সেটি জব্দ এবং চালকের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরো জানান, নৈরাজ্য ফেরাতে আগামী মাস থেকে সড়কে অভিযান আরো জোরদার করা হবে। এ সময় সড়কে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলুদ জ্যাকেটধারী ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এখনো যারা বিপজ্জনক গতিতে যানবাহন চালায়, বাসের সামনে ছবি, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফোন নম্বর টাঙিয়ে রাখেনি, মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট পরে না, ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং যাত্রীদের জন্য সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App