×

মুক্তচিন্তা

স্থায়ী সমাধানের পদক্ষেপ নিতে হবে

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৭:৩৩ পিএম

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় অপসারিত পলি পরবর্তী সময় আবার নদীতেই ফিরে আসে! অপসারিত পলি যেন আর কখনোই নদীতে ফিরে না আসে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে। দায়সারা গোছের কাজ না করে সমন্বিত ও পরিকল্পিত উপায়ে ড্রেজিং তথা ক্যাপিটাল ড্রেজিং (গভীর খনন) করতে হবে।

পদ্মায় নাব্য সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে নৌচলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে প্রায় এই রুটে দুর্ভোগের সংবাদ পাই। নাব্য সংকট নিরসনে কমবেশি ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু ড্রেজিং করলেও কোনো উপকারই হচ্ছে না। ব্যস্ত এই রুটে পরিকল্পিত ড্রেজিং করা জরুরি।

নদীতে পলি জমে নাব্য সংকট সৃষ্টি হয় মূলত প্রাকৃতিক কারণে। নিয়মিত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্য স্বাভাবিক রাখতে হয়। কিন্তু শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে টানা ড্রেজিং করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ। কারণ প্রতি মুহূর্তে পাল্টে যাচ্ছে নদীর গতিপথ। তীব্র স্রোতের কারণে পদ্মা নদী সংলগ্ন শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিলেও নৌরুটে ফেরি চলাচলে বিপরীত অবস্থা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের বিভিন্ন স্থানে ডুবোচরে একের পর এক ফেরি আটকে পড়ায় বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। গত রোজার ঈদের আগে থেকেই কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে নাব্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। তখনো উভয় দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। গত সপ্তাহ থেকে এ সংকট চরম আকার ধারণ করে। এ সময় লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের বিভিন্ন স্থানে ডুবোচরে কয়েকটি ফেরি আটকে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল কমিয়ে দেয়। বড় ফেরিগুলো চলাচল বন্ধ রাখে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় দক্ষিণাঞ্চল-রাজধানীমুখী যাতায়াতকারী যাত্রীদের। জানা যায়, একটি ফেরি চলতে অন্তত ৭ ফুট গভীরতা দরকার। কিন্তু শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে কোথাও কোথাও গভীরতা ৫ ফুটের কাছাকাছি। বিআইডব্লিউটিএর তথ্যানুযায়ী, এবার পদ্মায় মাত্রাতিরিক্ত পলির কারণে নাব্য সংকট নিরসনে ৩২ লাখ ঘনমিটার পলি মাটি অপসারণ করতে হবে। কিন্তু জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত পলি অপসারণ করা হয়েছে মাত্র ৯ লাখ ঘনমিটার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় অপসারিত পলি পরবর্তী সময় আবার নদীতেই ফিরে আসে! অপসারিত পলি যেন আর কখনোই নদীতে ফিরে না আসে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে। দায়সারা গোছের কাজ না করে সমন্বিত ও পরিকল্পিত উপায়ে ড্রেজিং তথা ক্যাপিটাল ড্রেজিং (গভীর খনন) করতে হবে। মানুষের দুর্ভোগ রোধে এবং অর্থনীতির স্বার্থে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে নাব্য সংকটের স্থায়ী সমাধানের বিকল্প নেই। সরকার অবিলম্বে এদিকে দৃষ্টি দেবে- এটাই কাম্য।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App