×

আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশন : রোহিঙ্গা সমস্যাকেই গুরুত্ব দেবে বাংলাদেশ

Icon

শামীম আহমেদ

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩২ পিএম

জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশন : রোহিঙ্গা সমস্যাকেই গুরুত্ব দেবে বাংলাদেশ
জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশন : রোহিঙ্গা সমস্যাকেই গুরুত্ব দেবে বাংলাদেশ
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের বৈঠক সরকার  বা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কোন প্রভাব ফেলবে না বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দল ও নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং মতবিনিময়ের জন্য জাতিসংঘে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি আছে। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক তারই অংশ। এটাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখার কোন সুযোগ নেই। স্থায়ী প্রতিনিধি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটন সিটিতে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন কার্যালয়ে জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এবারের জাতিসংঘের অধিবেশনেও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশ্ব নেতাদের জোর সমর্থনের চেষ্টা চালাবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারন পরিষদে যে ভাষন দেবেন সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও কার্যকর সমাধানের উপায় গ্রহনের ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতাদের আরও আন্তরিক হবার আহ্বান জানাবেন। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ নিরাপত্তা পরিষদের সভায় আমরা যে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছি সেটা প্রশংসিত হয়েছে। ওআইসি এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন ইভেন্টের আলোচনায় ঘুরে ফিরে সবাই এখনো বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। এ নিয়ে বিশ্ব জনমত আমাদের পক্ষে আছে। এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই এবারের অধিবেশন থেকে আমরা এ বিষয়ে একটা ভালো ফল পাবো বলে বিশ্বাস করি। যা রোহিঙ্গাদের সসম্মানে তাদের দেশে ফিরে যেতে সাহায্য করবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও নারীর অধিকার, আন্তর্জাতিক শান্তি নিরাপত্তা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাসহ একাধিক সাউড ইভেন্ট যোগ দেবেন। এবং রোহিঙ্গা শরনার্থীদের প্রতি মানবিক সাহায্য প্রদান ও বিশ্ব শান্তি রক্ষায় নানা অবদানের জন্য একাধিক পুরস্কার গ্রহণ করবেন। রাষ্ট্রদূত জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আলাদা কোন বৈঠক নেই। তবে দেখা হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠক হতে পারে। তবে এখনো সময় চুড়ান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের কোন কর্মকর্তার বৈঠক এখানে হবেনা। তবে এটাই চুড়ান্ত কথা নয়। হঠাৎ করে হতেও পারে। আমরা কোন কিছুই আগে থেকে বলিনা এটা হবেই। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিউজার্সির ন্যুওয়ার্ক এয়ারপোর্টে নামবেন বলে জানান তিনি। তবে নিরাপত্তার জন্য সময় এবং কোন টার্মিনালে অবতরন করবেন তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। ২৪ তারিখ মাদক সমস্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আয়োজন রয়েছে যার সহ আয়োজক বাংলাদেশ। এখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উপস্থিত থাকলেও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোন বৈঠক নেই। তবে কথা হতে পারে। এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেত জয় এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানার আসার সম্ভাবনা রয়েছে জানান তিনি। মাসুদ বিন মোমেন জানান, ক্লাইমেট চেঞ্জে আমারদের অবস্থান এখনো পরিবর্তন হয়নি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট আমাদের ডেকেছেন। সেখানে আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরবো। এটা একটা চলমান যুদ্ধ। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটাতে সরকারের জিরো টলারেন্স এখানো আছে। যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গীবাদে বাংলাদেশকে ঝুকি মনে করে এটা একটা দেশের নিজস্ব ব্যাপার। থাকতে পারে। জঙ্গীবাদ দমনে সরকার অনেক উদ্যেগ গ্রহন করেছে। সবাইকে নিয়ে কাজ করলে ঠিক হয়ে যাবে। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশ গ্রহন সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী জাতিংঘে শান্তি রক্ষায় দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। এবারের অধিবেশনে একশন ফর পিস কিপিং নামে একটা ইভেন্ট আছে। দশটি দেশ নেয়ার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ তার একটি। প্রধানমন্ত্রী সেখানে বক্তব্য রাখবেন। তবে শান্তিরক্ষা বাহিনীতে জাতিসংঘ নারীদের আরও বাড়াতে চাইছে। তারা চাইছে নারী এবং পুরুষের অংশ গ্রহন ফিফটি ফিফটি হোক। তবে এক্ষেত্রে আমাদের নারী সৈনিক বা কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাষা দক্ষতা বাড়াতে হবে। তাদের ট্রেনিং দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ফাষ্ট সেক্রেটারী (প্রেস) নূর এলাহি মিনা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App