×

জাতীয়

পিতা-পুত্র হত্যা মামলায় ৫ জনের ডাবল মৃত্যুদণ্ড

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৫:৩৯ পিএম

পিতা-পুত্র হত্যা মামলায় ৫ জনের ডাবল মৃত্যুদণ্ড

২৫ বছর আগে ঢাকার কেরানীগঞ্জে পিতা-পুত্র হত্যার ঘটনার মামলায় পাঁচ আসামির ডাবল মৃত্যুদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বজলুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে একই সঙ্গে শাহজাহান নামে আরেক জনকে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ড আনাদায়ে তাদের আরও এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. নজরুল ইসলাম নজু, মিস্টার ওরফে ছোট মিস্টার, শফিকুল ইসলাম, মো. আরিফ ও মো. মাসুদ। দণ্ডিতদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় প্রথম তিন জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দুই জন পলাতক রয়েছেন।

এ রায় সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলানাথ ও বাদীর আইনজীবী এম আবুল কালাম আজাদ জানান, এই মামলায় ২০০৪ সালের ২১ জুলাই ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রথম রায় ঘোষণা করেছিলেন। ওই রায়ে পঞ্চম আসামিদের ডাবল মৃত্যুদণ্ডের রায়ই দিয়েছিলেন আদালত। ওই রায় ঘোষণার সময় আসামি শফিকুল ইসলাম ছাড়া অপর আসামিরা পলাতক ছিলেন। পরে মামলাটি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য গেলে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতে বিচারের সময় পলাতক থাকা চার জন আসামির জন্য মাত্র একজন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ করে বিচার হওয়ায় মামলাটি পুনঃবিচারের জন্য নিম্ন আদালতে পাঠায়।

২০০৮ সালের মামলাটি হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালতে আসার পর পলাতক চার আসামির পক্ষে আদালত স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ করে বিচার শুরু করেন। পুনঃবিচারকালীন সময়ে আসামি নজরুল ইসলাম নজু ও মিস্টার ওরফে ছোট মিস্টার গ্রেপ্তার হয়।

এ আইনজীবীরা আরও জানান, প্রথম রায় হওয়ার আগে ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছিলেন আদালত। পুনঃবিচারের ওই সকল সাক্ষীকে রি-কল করে আদালতে আনা হলে পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেটডিফেন্স আইনজীবীরা জেরা করেন। পরে আত্মপক্ষ ও যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।

১৯৯৩ সালে ১৩ জুলাই কেরানীগঞ্জে পিতা শরীফ হোসেন ও তার সাত বছরের ছেলে খোকনকে কুপিয়ে হত্যা এবং ১২ বছর বয়সী অপর ছেলে শাহজাহানকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করার অভিযোগে কেরানীগঞ্জ থানায় এই মামলা হয়। নিহত শরীফ হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম এ মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়, নিহত শরীফ হোসেন কেরানীগঞ্জের গুদারাঘাট এলাকায় একটি মুদি দোকান পরিচালনা করতেন। ঘটনার দিন রাতে আসামিরা সিগারেট বাকিতে চায়। যা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা নিহত শরীফ হোসেনকে কোপাতে থাকে। পিতাকে বাঁচানোর জন্য শিশু শাহজাহান ও খোকন এগিয়ে আসলে আসামিরা তাদেরও কোপায়। ঘটনাস্থলেই পিতা শরীফ ও পুত্র খোকন নিহত হয় এবং শাহজাহান গুরুত্বর আহত হয়।

মামলাটি তদন্তের পর ১৯৯৪ সালের ২৬ আগস্ট কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল কবির চৌধুরী আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তকালে আসামি মো.আরিফ ও মো. মাসুদ হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App