×

জাতীয়

পদ্মার সঙ্গে আড়িয়াল খাঁ নদেও ব্যাপক ভাঙন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:৪৯ পিএম

পদ্মার সঙ্গে আড়িয়াল খাঁ নদেও ব্যাপক ভাঙন
পদ্মা নদী ও আড়িয়াল খাঁ নদের মাদারীপুরের শিবচর অংশে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পদ্মা নদীর পর এবার আড়িয়াল খাঁ নদের শিবচর অংশে ভাঙনের বিস্তৃতি ঘটেছে। আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে ৩০টি ঘরবাড়ি ও একটি পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এদিকে, পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন অব্যাহত থাকায় একই উপজেলার চরাঞ্চলের ৩ ইউনিয়নে এ পর্যন্ত ৪টি স্কুল, একটি ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ৭ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর শিবচর অংশে ৬ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়ে স্রোতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। একই সঙ্গে আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তীব্র স্রোত দেখা দিয়ে উপজেলার সন্ন্যাসীর চরে ব্যাপক নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন আক্রান্ত হয়ে পাঁচ্চর-সন্ন্যাসীরচর-বন্দরখোলা সড়কের একাংশ নদীতে বিলীন হয়েছে। ৩০টির মতো ঘরবাড়ি আক্রান্ত হয়ে অন্যত্র সরে গেছে। হুমকিতে রয়েছে বাজার, ব্রিজ, সড়কসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি। ভাঙন প্রতিরোধে এ অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেললেও প্রয়োজনের তুলনায় তা সামান্য। এদিকে, পদ্মা নদীতেও ভাঙন অব্যাহত থেকে এ পর্যন্ত একই উপজেলার চরজানাজাত, বন্দরখোলা ও কাঠালবাড়ির চারটি স্কুল, একটি ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ৭ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙনকবলিত সন্ন্যাসীরচর এলাকার হারুন মাদবর বলেন, ‘এ বছর ভাবছিলাম নদী ভাঙব না। কিন্তু গত ২-৩ দিন ধইরা এমন ভাঙন শুরু হইছে যে আমরা ঘরবাড়ি সরানোর সময়ও পাইতাছি না।’ আরেক ভাঙনকবলিত ধলু মিয়া বলেন, ‘গত কয়েক দিনের ভাঙনে আমাদের অনেক ঘরবাড়ি, রাস্তা ভেঙে গেছে। আমরা ঘরবাড়ি, গাছপালা কেটে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছি। সন্ন্যাসীরচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আ. রউফ হাওলাদার বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনের গতি এত বেশি যে দু-তিন দিনে কমপক্ষে ত্রিশটি ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। রাস্তার একাংশ ভেঙে গেছে। ব্রিজ, স্কুল, হাট-বাজার যে কোনো সময় বিলীন হওয়ার মুখে রয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ জরুরি। সন্ন্যাসীরচর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল বেপারী বলেন, প্রতি বছরই আড়িয়াল খাঁ নদে ব্যাপক ভাঙে। এ বছর আগে না ভাঙলেও গত কয়েক দিন ধরে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ি, রাস্তা ভেঙে গেছে। বালুর বস্তা ফেলা হলেও ভাঙন থামছে না। দ্রুত ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App