×

জাতীয়

নন্দীগ্রামে তিনশ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:৩২ পিএম

নন্দীগ্রামে তিনশ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ
উপজেলায় এবার মরিচের চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়নে কৃষি বিভাগ থেকে ১০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ইতোমধ্যে ৩০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। বর্ষায় মরিচ গাছ সুস্থ-সবল রাখতে চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। এ উপজেলার চাষিরা ধীরে ধীরে ধানের চেয়ে মরিচ চাষে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বাদালাশন গ্রামের মরিচ চাষি দুলাল হোসেন জানান, তার নিজস্ব ১২ বিঘা জমিতে বিজলী প্লাস উচ্চ ফলনশীন জাতের মরিচ চাষ করেছেন। আষাঢ় মাসের প্রথম সপ্তাহে মরিচ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করি। জমি প্রস্তুত করার সময় ব্যবহার করি ইউরিয়া সার। টিএসপি, পটাশ, জিপসাম ও জৈবসার নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করি। এরপর মরিচের চারাগুলো ধীরে-ধীরে জমির ভেতরে সারিবদ্ধভাবে রোপণ করি। মরিচের গাছগুলো বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটা গাছ বাঁশ দিয়ে বেঁধে দেই। এতে আমার জমি তৈরি, সার, চারা কেনা ও কৃষাণ খরচ সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। বর্তমানে পুরোদমে মরিচ ওঠা শুরু হয়েছে ক্ষেত থেকে। লাভ ভালোই হবে বলে মনে করেছেন তিনি। এ ছাড়াও নিয়মিত পোকামাকড় দমন কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। বর্তমানে বাজারে মরিচের দাম প্রতি মণ দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা। মরিচের বাজার যদি এভাবে থাকে তাহলে তার ১২ বিঘা জমিতে কয়েক লাখ টাকার মরিচ বিক্রয় হবে। এ ছাড়াও ধুন্দার গ্রামের আল মামুন, রিধইল গ্রামের আব্দুল মান্নান, আব্দুল জলিল, জয়নাল আবেদিন, লুৎফর রহমান, কাথম গ্রামের আব্দুল মতিন, মোশারফ হোসেন, আব্দুল হান্নানসহ অনেক কৃষক মরিচ চাষ করেছেন। আবার অনেক কৃষক তাদের ভিটায় মরিচ চাষ করেছেন। কয়েকজন মরিচ চাষি জানায়, ধান চাষের চেয়ে মরিচ চাষ করা অনেক ভালো পরিশ্রম কম, লাভও বেশি পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহা. মশিদুল হক জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের তৎপরতায় হারানো মরিচ আবার ফিরে এসেছে। মরিচ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। এছাড়াও উপজেলার মরিচ ক্ষেতগুলোতে যেন কোনোরকম সমস্যার সৃষ্টি না হয় সে জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও কৃষকদের এ আগ্রহ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি মনে করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App