×

মুক্তচিন্তা

জিরো প্লাস জিরো প্লাস জিরো প্লাস জিরো = জিরো

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৭:৩৯ পিএম

উল্লিখিত হেডিংটি বেশ আগ্রহ-উদ্দীপক ও চিত্তাকর্ষক। তবে এটি আমার মাথা থেকে আসেনি। জানার ঔৎসুক্য থাকা আর লেখালেখির কারণে ‘দৈনিক ইনকিলাব’ পত্রিকাটি পড়তে হয়। ওই পত্রিকা বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রচারে পূর্বাপর তৎপর। হালে যুক্তফ্রন্ট-গণফোরাম ঐক্য নিয়ে এই পত্রিকাটি বেশ উৎসাহী সংবাদ পরিবেশন করছে এবং বিএনপি, গণফোরাম ও যুক্তফ্রন্ট মিলে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’ নিয়ে আশাবাদ ছড়াচ্ছে। প্রথম পাতায় বক্স করে ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখের ইন্টারভিউ ছাপাচ্ছে। সেই ইন্টারভিউগুলোতে দেখলাম সাংবাদিক প্রশ্ন কর্তা ‘...এ জোটের রেজাল্ট হলো ০+০+০+০=০’ বলে প্রশ্ন করেছেন, ‘আপনার অভিমত কি?’

অভিমত দিতে গিয়ে ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘এখনো যে সময় বাকি আছে জনগণের কাছে আমরা পৌঁছাব এবং একটি সন্ত্রাসমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত উদার গণতন্ত্রের বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকারের সঙ্গে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পারব।’ মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘আসলে এ জোটের যদি কোনো গুরুত্ব না-ই থাকবে তাহলে এত আলোচনা-সমালোচনা কেন? তার মানে এর কিছু না কিছু গুরুত্ব তো ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। আশাকরি সময়মতো এর গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে।’

এই দুটো উত্তর পড়ে মনে হচ্ছে, ‘গুরুত্ব’ পেতে ‘সময়’-এর দিকে তারা যেন চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে। নির্বাচন সামনে এলে বড় দুদলের দিকে এভাবে চাতক পাখির মতো চেয়ে বসে থাকা ছাড়া জনসমর্থনের দিক থেকে এই সব ‘জিরো’ দলগুলোর উপায় থাকে না। প্রসঙ্গত, দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং তুলনায় ছোট হলেও দুটো মাঝারি দল জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ছাড়া ছোট ছোট অসংখ্য দল রয়েছে দেশে। এর মধ্যে কোনো কোনো দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত, কোনো কোনোটি অনিবন্ধিত। কোনো দল বা নেতার নাম কমবেশি পরিচিত আবার কোনো দল বা নেতার নাম কেউ জানে না। এই দলগুলোর মধ্যে ডান-মধ্য-বাম বৈশিষ্ট্যের দল যেমন রয়েছে, তেমনি কোনো বৈশিষ্ট্য খুঁজে না পাওয়ার মতো দলও রয়েছে। কোনো কোনোটি অবশ্য সারা বছর কমবেশি কাজ করে আর কোনো কোনোটি মৌসুমি, কেবল নির্বাচন এলে ছোটাছুটি বাড়ে। এসব দল থাকার কারণে ভক্স ওয়াগান গাড়ি এখন দেখা না গেলেও রাজনীতিতে ‘ভক্স ওয়াগন পার্টি’ শব্দটা খুবই জনপ্রিয় এবং কখনোবা হাসির খোরাক জোগায়। তা ছাড়া ‘সাইনবোর্ড সর্বস্ব পার্টি’, ‘ভুঁইফোড় পার্টি’, ‘বনসাই পার্টি’ প্রভৃতি শব্দও টিকাটিপ্পনি কাটতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বলাই বাহুল্য, মৌসুমে যেমন গাছে ফল ফুল আসে এবং গুরুত্ব বাড়ে, ঠিক তেমনি নির্বাচনী মৌসুমে এসব দল ও নেতাদের বড় দলগুলোর কাছে গুরুত্ব বাড়ে। আর ওই গুরুত্ব বাড়লে মিডিয়াতেও তারা প্রচার পায়। উল্লেখ্য, ছোট দলের যত বড় চার নেতাই হোন, যুক্তফ্রন্ট-গণফোরাম ঐক্যকে প্রচারে আনত কোন মিডিয়া, যদি বিএনপির তালে তারা না পড়ত! অবস্থা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, যত বড় নেতা, ততই নির্বাচন এলে আলোচনায় আসে। বড় দলগুলোর কাছে গুরুত্ব বাড়াতে এরা নিজেরা কখনোবা জোটবদ্ধ হয় এবং বড় দলগুলোর সঙ্গে কেবল সিট নয়, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বার্গেনিংয়ে নামে। শুধু এমপি কেন, মন্ত্রী পদ পর্যন্ত পেয়ে যায়। এদের ‘গুরুত্ব’ দুদিক থেকে। বড় দলগুলো নিজেদের আরো বড় ও প্রভাবশালী দেখাতে কখনো জোট বাঁধে আবার কখনো জোটের বাইরে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে তৎপর থাকে। তৃণমূলে একটা কথা খুবই প্রচলিত আছে যে, নির্বাচন মৌসুমে নানামুখী টানাটানি ও সমীকরণে এদের ‘কদর বাড়ে’ এবং পয়সাপাতির ‘অভাব থাকে না’।

পাঠকরা লক্ষ করুন, বড় দলের দুই জোট আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় জোট ও বিএনপি-জামায়াতের ২০ দলীয় জোট ছাড়াও নির্বাচন সামনে রেখে বহু জোট গঠিত হচ্ছে এবং সক্রিয় হতে সচেষ্ট থাকছে। দেশের ইতিহাসে জোট রাজনীতি রেকর্ডের অধিকারী এক কালের সেনাশাসক এরশাদ। তিনি সরকার ও বিরোধী দল অর্থাৎ দুই নৌকায় পা রাখতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ‘মহাজোট’ রেখেও ৬০টি দল নিয়ে ঐক্য করেছেন। তারপর রয়েছে নাজমুল হুদার বিএনএফের নেতৃত্বে নয় দলীয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জোট। রয়েছে ডা. বদরুদ্দোজা-রব-মান্নার যুক্তফ্রন্ট আবার এই ফ্রন্টের রয়েছে ড. কামালের ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐক্যজোট। রয়েছে সিপিবি-বাসদের আট দল নিয়ে বাম জোট। জোট গঠনে এবার একটি নতুন ধারা সৃষ্টি হয়েছে, তা হলো আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে ১৫টি ইসলামপন্থি দল নিয়ে গড়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামী ভাবধারায় বিশ্বাসী ‘ইসলামিক ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স’। দেশে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪০টি আর অনিবন্ধিত কত যে আছে তা হাতেগোনা যাবে না। তবে আবেদন নাকি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে ৭৬টি দলের। পত্রিকা পাঠে জানা যায়, অক্টোবরের মধ্যে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি সমর্থন বা বিরুদ্ধে আরো ৫টি জোট গড়ে উঠতে পারে এবং ১৪ দলীয় জোট এবং বিএনপি-জামায়াত জোটের পরিধিও বাড়তে পারে। ধরে নেয়া যাচ্ছে বিএনপি নির্বাচন করলে একবারের নির্বাচন মৌসুমে জোটের আকাল থাকবে না, ফলন ভালো হবে।

এই অবস্থায় প্রশ্ন হলো এই যে এত দল আর জোট দাঁড়াচ্ছে এটা কি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার বহিঃপ্রকাশ? দল বা জোট এত থাকছে বা গজিয়ে উঠছে কেন? একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, বড় দলে থাকতে না পেরে বা কার্যত বহিষ্কৃত হয়ে ওই দলের বড়-ছোট দলছুট নেতারা নতুন নতুন দল গড়ে তোলে। দল ভাঙে বা বের হয়ে দলছুট দল হয় গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে। কিন্তু নিজে সর্বেসর্বা হন প্রতিষ্ঠিত দলে। গণতন্ত্রের চর্চা সেখানে থাকে আরো কম। তাই দলছুট দল আরো দলছুট দলের জন্ম দেয়। বড় দল থেকে বের হয়ে আসতে সময় লাগে বা বড় দলে কেউ থাকা-যাওয়া নিয়ে পাত্তাও দেয় না, কিন্তু ছোট দল এক নিমেষে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

ক্ষুদ্র এই কলামে বেশি কথায় না গিয়ে উদাহরণ হিসেবে যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রধান চার নেতা এবং চার দলের গঠন, ভাঙন ইত্যাদি বিবেচনায় নেয়া যায়। কেবল দলছুট নেতারা নয়, নিরপেক্ষ দাবিদার সুশীলরাও অভিযোগ তোলেন যে, বড় দলে গণতন্ত্র চর্চা হয় না। কিন্তু ছোট দলের নেতারাও যে অগতান্ত্রিক বা স্বৈরমনোভাবাপন্ন তা কিন্তু আলোচনায় আসে না। ওই মনোভাবের কারণেই দল বাড়ে। তাই এসব ছোট ছোট দল, সেই দলের নেতারা যত গণতন্ত্রের কথাই বলুন না কেন, তারা আসলে গণতান্ত্রিক মনোভাবসম্পন্ন নয়। এই বিচারে ছোট ছোট দলগুলোর কার্যক্রম ও বহিঃপ্রকাশকে কোনোক্রমেই গণতন্ত্রের সহায়ক বলে বিবেচনা করা যায় না। মূলত ও প্রধানত জাতিসত্তা খণ্ডিত হওয়ার কারণে যে বড় দুই দল প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, সেই দুই দল যেসব ছোট ছোট দলকে ব্যবহার করতে পারে কিংবা যারা ব্যবহৃত হয়, তারা যেমন কখনো দলের ভিত্তি দাঁড় করাতে পারবে না, তেমনি কখনো গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার উদাহরণ বা সহায়ক শক্তি হতে পারবে না। যদি পারত তবে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে ওইসব দল দাঁড়াতো। তবে অবশ্যই মনে করি, এসব দল গণতন্ত্রের জন্য ‘প্রয়োজনীয়’ নাকি ‘অপ্রয়োজনীয়, গণতন্ত্রের ‘সৌন্দর্য’ নাকি ‘আগাছা’ এ নিয়ে গঠনমূলক বিতর্ক হতেই পারে।

তবে এ ক্ষেত্রে যে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক তা হলো, এসব ছোট ছোট দলের নেতারা কি কখনো এমন আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি হন কি না যে, কেন তাদের দল গণসমর্থন পাচ্ছে না, কেন কর্মী-সমর্থক তাদের দলে থাকছে না কিংবা ভিড়ছে না? কেন নির্বাচন এলে তাদের তৎপরতা বাড়ে? কেন বড় দুই দলের যে কোনো এক দলের মুখাপেক্ষি হতে হয় নিজেদের ‘গুরুত্ব’ বাড়াতে? কেন সব সময় ‘সময়’-এর মূল্য তাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়? কেন অপরের ঘাড়ে চেপে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করতে হয়? কেন তারা খণ্ডিত জাতিসত্তার দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মাঝে সময়-সুযোগ বুঝে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে? বিস্মিত হতে হয় এই ভেবে যে, বঙ্গবন্ধুর সহচর ও সংবিধান প্রণেতা, স্বাধীনতার আগে-পরে আওয়ামী লীগের থিংকট্রাকের অন্যতম ব্যক্তিত্ব, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন কিংবা জাতীয় মূলধারা পরিবারের সদস্য, বিশিষ্ট চিকিৎসক, সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ছোট ছোট দলগুলোর নেতারা কি কখন উল্লিখিত প্রশ্নগুলো সামনে রেখে আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি হন? নিজেদের আত্মজিজ্ঞাসার কাঠগড়ায় দাঁড় না করিয়ে জাতিকে আত্মজিজ্ঞাসার মধ্যে টেনে এনে জাতির আত্মসংযম আত্মশুদ্ধি ও আত্মশক্তিকে তারা জাগ্রত করবেন কীভাবে?

প্রসঙ্গত বলতেই হয়, পঞ্চাশের দশকে বাঙালির নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাঙালির ন্যায্য হিস্যা আদায় বিশেষত যুক্ত নির্বাচন প্রথা আদায় করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তিনি আমেরিকার সঙ্গে জোটে যেতে জিরো প্লাস জিরো সমান সমান জিরো (০+০=০) কথাটা রাজনীতিতে সামনে আনেন এবং তা পপুলার হয়। পাকিস্তান আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতার পাকিস্তানের কাঠামোর মধ্য থেকে দরকষাকষি করার জন্য আপস করে ক্ষমতায় যাওয়া এবং উপমহাদেশে পাকিস্তান-ভারত মুখোমুখি থাকার প্রেক্ষপটে আমেরিকার সঙ্গে সামরিক জোট করে গাঁটছড়া বাঁধতে যাওয়া অস্বাভাবিক ছিল না। তবে কালের গতিপথে ইতিহাস এই কৌশল গ্রহণের যথাযথ মূল্যায়ন করবে। তবে এটাই অদৃষ্টের পরিহাস, যে আমেরিকার সঙ্গে জিরো তত্ত্ব দিয়ে তিনি সামরিক জোট বাঁধতে গিয়েছিলেন, সেই আমেরিকা ছিল পুরো পাকিস্তানি আমলে আওয়ামী লীগ ও তার বিরুদ্ধে, আইয়ুব-ইয়াহিয়ার পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে ওই দেশ পাঠিয়েছিল সেভেন ফ্লিট। আর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ যখন বন্যা ও খাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত সত্ত্বেও বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়ানোর জন্য সংগ্রাম করছিল, তখন বলেছিল বাংলাদেশ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’। আর খুনী মোস্তাক তো পূর্বাপর আমেরিকাপন্থি বলেই সুপরিচিত ছিল।

অর্থাৎ জিরোর (পাকিস্তান) সঙ্গে বিশাল সংখ্যা (আমেরিকা) যোগ করতে গিয়ে আসলে খাল কেটে কুমির নিয়ে আসা হয়েছিল। যে কুমির ক্রমাগত বাঙালি জাতিসত্তাকে করেছে ক্ষতবিক্ষত। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট এখন বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতায় গণতন্ত্র ডিফাইন করা কঠিন।’ কিন্তু বলুন তো রাষ্ট্রদূত! আমাদের রাষ্ট্র জন্মের উষাকালে হত্যা-খুন-ক্যুয়ের ভেতর দিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য প্রধান ইন্ধনদাতা ও প্রশ্রয়কারী ছিল কোন দেশ? জানি উত্তর তিনি দিতে পারবেন না। তবে যদি ড. কামাল ও ডা. বদরুদ্দোজা নিজেদের জিরোর সঙ্গে বড় কিছু যোগ করতে বিএনপির সঙ্গে গিয়ে ক্ষমতার অংশীদার হন, তবে খাল কেটে নিজেদের জন্যই কুমির সামনে আনবেন। ইতিহাসের একটা স্বতঃসিদ্ধ কথা আছে যে, ইতিহাসের রঙ্গমঞ্চে প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় বিয়োগান্তক নাটক আর দ্বিতীয়বার প্রহসন নাটক। বিয়োগান্তক নাটকে রেললাইন দিয়ে দৌড়ে পালানো সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু প্রহসন নাটকে দৌড় কাজে লাগবে বলে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।

শেখর দত্ত : রাজনীতিক ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App