×

খেলা

মেসির কান্না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:৩৯ পিএম

মেসির কান্না
ক্লাবের হয়ে তার অর্জন বলে শেষ করার মতো নয়। একজন ফুটবলারের পক্ষে যত সাফল্য পাওয়া সম্ভব আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার হয়ে সবই পেয়েছেন। তবে জাতীয় দলের জার্সিতে মেসির ভাগ্য যেন বরারবই খারাপ। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে খুব কাছে গিয়ে জেতা হয়নি শিরোপা। সেবার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল মেসিদের। এর ২ বছর পর আরো একটি বড় টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল মেসির আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেবারও ভাগ্য মেসির পক্ষে কথা বলেনি। ভাগ্য মেসির সঙ্গে প্রতারণা করেছে বললেও ভুল বলা হয় না। কেননা, সেবার টাইব্রেকারে মেসি গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বলেই কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচটিতে চিলির বিপক্ষে হারতে হয়েছিল দিয়েগো ম্যারাডোনার উত্তরসূরিদের। সেদিন মেসি খুব কেঁদেছিলেন। ম্যাচ শেষে মেসির কান্নার দৃশ্য ফুটবলপ্রেমীরা নিশ্চয়ই কখনো ভুলতে পারবেন না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ওই মুহূর্তগুলো নিয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টিনার সাবেক ও বার্সেলোনার বর্তমান ফিটনেস কোচ এলভিও পাওলোরোসো। চিলির বিপক্ষে ওই হারের পর কতটা কষ্টে কেটেছে মেসির দিনগুলো সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফিটনেস কোচ এলভিও পাওলোরোসো জানিয়েছেন, কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচটির পর ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ছিল খুবই বেদনাদায়ক। তবে সবচেয়ে কষ্টের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন মেসি। চিলির বিপক্ষে হারের দুদিন পরে কোনো একটা কাজে আমি ড্রেসিংরুমে গিয়েছিলাম। সেখানে আমি মেসিকে সম্পূর্ণ একা বসে থাকতে দেখেছি। সে তখন এমনভাবে কাঁদছিল ঠিক যেমন একটা বাচ্চা তার মাকে হারিয়ে কাঁদে। এলভিও পাওলোরোসো আরো বলেন, মেসি ওই সময়টায় পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিল। কেউই তাকে সান্ত্বনা দিতে পারছিল না। আমি তাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলাম। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির বিপক্ষে হারের পর মেসি এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন যে শেষ পর্যন্ত অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। অবশ্য পরবর্তীতে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন ও দলটির সাবেক কয়েকজন ফুটবলারের অনুরোধে অবসর ভেঙে আবারো জাতীয় দলে ফিরে আসেন মেসি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App