×

জাতীয়

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, দেড় লাখ টাকায় মীমাংসার চাপ মাতবরের

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:০২ পিএম

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, দেড় লাখ টাকায় মীমাংসার চাপ মাতবরের

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে গ্রাম্য মাতবররা বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে মীমাংসা করে দেয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আকচা ইউনিয়নের বৈকণ্ঠপুর গ্রামের মাতবর সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন স্কুলছাত্রীর বাবা ও এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে সফিকুল বলেন, একই গ্রামের কাইয়ুম ইসলামের ছেলে মমতাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে রবিবরা বিকালে তা মীমাংসা করে দেন তিনি। তিনি বলেন, 'মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা বিষয়টি সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করেছি। এতে আমাদের কোনো ভুল হয়নি।'

সাংবাদিকরা সোমবার বিকালে ওই গ্রামে গেলে আলতাফুর রহমানসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বিএ (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মমতাজুল নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। কিন্তু মাতবররা মামলা করতে দেয়নি।

আলতাফুর রহমান বলেন, 'মাতবর সফিকুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, ইয়াজ উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন মেয়েপক্ষ ও ছেলেপক্ষকে নিয়ে মেয়ের বাড়িতেই সলিশ-বৈঠক বসায়। মাতবররা দেড় লাখ টাকায় ঘটনা মীমাংসা করেন।'

শিশুটির বাবার অভিযোগ, তাকে মামলা করতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, 'আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু গ্রাম্য মাতবররা আমাকে মামলা করতে দেননি। তারা সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকায় বিষয়টি মীমাংসা করতে বাধ্য করেছেন। কিন্তু আমি কোনো টাকা পাইনি।'

এ বিষয়ে আকচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ বলেন, গত বুধবার আমার ইউনিয়নের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে বৈকণ্ঠপুর গ্রামের মমতাজুল ইসলাম। মেয়ের পরিবার থেকে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি তাদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম।

মমতাজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে বন্ধ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকালে তাদের বাড়ি গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App