×

জাতীয়

শ্রীনগরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ইট বালুর ব্যবসা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:১৪ পিএম

শ্রীনগরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ইট বালুর ব্যবসা
শ্রীনগরে আবাসিক এলাকায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গড়ে তোলা হয়েছে ইট বালুর একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশত কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ ও এলাকাবাসী। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ভাগ্যকুল ইউনিয়নের মান্দ্রা এলাকার ভাগ্যকুল মান্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তার দক্ষিণ পাশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ইট-বালু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের সামনে বিশাল স্ত‚প করে রাখা হয়েছে বালু, থরে থরে সাজানো রয়েছে ইট। দক্ষিণমুখী মান্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করছে বাতাসের সঙ্গে সেই স্ত‚প করা বালু ও ইটের ধুলো। এতে করে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন স্কুলে উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ ধরণের ভোগান্তির কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও কম হয়। এতে করে বিঘিœত হচ্ছে স্কুলের পাঠদান। মসজিদের মুসল্লিরা আক্ষেপ করে বলেন, আমরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। তবুও এ বালু ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। একাধিকবার আমরা মৌখিকভাবে তাদের বলেছিলাম স্কুল ও মসজিদের সামনে এ ধরনের ব্যবসা করার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাসহ আমরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি। এতে কোনো কাজ তো হয়নি বরং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরো বেড়েছে। এ বিষয়ে ইট বালু ব্যবসায়ী সামসুজ্জামান মুন্সী বলেন, আমার নিজস্ব জায়গায় ইট বালু ব্যবসা করছি এতে করে কারো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ভাগ্যকুল মান্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান জানান, গত তিন বছর পূর্বে ইট বালুর ব্যবসায় কারণে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে তদন্তও হয়েছিল এতে করেও ব্যবসা বন্ধ হয়নি। ধুলোবালি ময়লাযুক্ত বাতাসে আমাদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App