×

জাতীয়

মধ্যপাড়ায় একদিনে ৫ হাজার ৩২৭ টন পাথর উত্তোলন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৪৭ এএম

মধ্যপাড়ায় একদিনে ৫ হাজার ৩২৭ টন পাথর উত্তোলন
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া খনিতে দীর্ঘ এক যুগের মধ্যে একদিনে ৫ হাজার ৩২৭ টন পাথর উত্তোলন করে রেকর্ড সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশের একমাত্র পাথর খনি মধ্যপাড়ায় ১ দিনের ৩ শিফটে এই রেকর্ড পরিমাণ পাথর উত্তোলন করেছে খনিটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। গত সোমবার সকাল ৭টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ৩ শিফটে এই পাথর উত্তোলন করা হয়। এর আগে ১ দিনে এত বিপুল পরিমাণ পাথর উত্তোলিত হয়নি। জিটিসি সূত্রে জানা যায়, বেলারুশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি থেকে পাথর উৎপাদন শুরু করে। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ৭ মাসের মাথায় খনি থেকে তিন শিফটে পাথর উত্তোলন শুরু করা হয়। পাথর খনিতে তিন শিফট চালু করে প্রতিদিন পাথর উৎপাদন গড়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টন ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু খনির স্টোপ নির্মাণ এবং উন্নয়নের জন্য বিদেশি যন্ত্রপাতি এবং যন্ত্রাংশের অভাবে জিটিসিকে প্রায় ২ বছর খনির উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখতে হয়। জিটিসি পাথর খনির দায়িত্বভার গ্রহণের আগে পাথর খনিতে তিন শিফটে উৎপাদনের কোনো রেকর্ড ছিল না। খনির একটি সূত্র জানায়, বিশ্বমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি এবং যন্ত্রাংশ আমদানির পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি খনির নতুন স্টোপ নির্মাণ, উন্নয়ন ও পাথর উৎপাদনের কাজ একই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতি মাসে ১ লাখ ২০ হাজার টন পাথর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জিটিসির বিদেশি খনি বিশেষজ্ঞ, দেশি প্রকৌশলী এবং প্রায় ৭০০ খনি কর্মী কাজ করে যাচ্ছেন। যারই চলমান উৎপাদন প্রক্রিয়ায় তিন শিফটে একদিনে ৫ হাজার ৩২৭ টন পাথর উৎপাদন খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে জিটিসি আশার আলো দেখিয়েছে। ২০০৭ সালের ২০ মে মধ্যপাড়া পাথর খনি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। তিন শিফটে প্রতিদিন সাড়ে ৫ হাজার টন পাথর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উৎপাদন শুরু করা হলেও প্রতিদিন মাত্র এক শিফটে পাথর উৎপাদন সীমাবদ্ধ ছিল ৭০০ থেকে ৮০০ টনের মধ্যে। ফলে খনিটি প্রায় শত কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়ে। তবু জিটিসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য পাথর উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App