×

জাতীয়

ধুনটে প্রকাশ্যে অবৈধ বালু উত্তোলন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:১০ পিএম

ধুনটে প্রকাশ্যে অবৈধ বালু উত্তোলন
ধুনট উপজেলায় ইছামতি নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের স্থায়ী ব্যবসা খুলে বসেছেন দুই ব্যবসায়ী। সরেজমিন জানা যায়, উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের দেউড়িয়া গ্রাম সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সীমান্তে। দুই উপজেলার বুক চিরে প্রবাহিত ইছামতি নদী। ধুনট উপজেলার সীমান্তে দেউড়িয়া ও কাজিপুর উপজেলার সীমান্তের গ্রাম চকদানপুর। সীমান্তের এই দুই গ্রামে ইছামতি নদীর তীরে মাত্র ২০০ ফুট দূরত্বে ব্যবসার জন্য বালু উত্তোলনের স্থায়ী ব্যবসা খুলেছেন দুই ব্যবসায়ী। বালু উত্তোলনের স্থানটি উপজেলার সীমান্ত এবং চলাচলের পথ না থাকায় প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িয়ে অবাধে চলছে এই ব্যবসা। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ধুনট সদরের বেলকুচি গ্রামের বালু ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান সনি দেউড়িয়া গ্রামে ইছামতি নদীর তীর থেকে প্রায় ৪ মাস ধরে বালু উত্তোলন করছেন। ওই গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলামকে নামমাত্র টাকা দিয়ে তার জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে কৃষক জাহিদুল ইসলাম, মোজাম উদ্দিন ও আব্দুল মজিদের আবাদি জমিতে ধস দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ইছামতি নদীর তীর ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বালু ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান সনি প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্বে মহিশুড়া গ্রামে পাইপ দিয়ে বালু নিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে কাজিপুর উপজেলার চকদানপুর গ্রামের বালু ব্যবসায়ী হাবিবর রহমান অবৈধ বালু উত্তোলনের ব্যবসা করছেন ১ বছর ধরে। চকদানপুর গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদিনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে নদী তীরের জমি বালু উত্তোলনের জন্য ভাড়া নিয়েছেন। সেখানে স্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে ড্রেজার মেশিন। যখন বালু উত্তোলনের কন্ট্রাক্ট পায়, তখন সেখান থেকে বালু তুলে পাইপ দিয়ে ক্রেতার নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছান হাবিবর রহমান। এর ফলে কৃষক জয়নাল আবেদিনের জমিতে এখন খাল তৈরি হয়েছে। ধস দেখা দিয়েছে পাশের কৃষক মোহাম্মদ আলীর জমিতেও। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ করেন, বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করেন। যার কারণে তারা বালু উত্তোলন বন্ধের বিষয়ে তারা কথা বলেন না। তারা বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন। গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকার বলেন, গ্রামবাসী বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য মৌখিকভাবে সহযোগিতা কামনা করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা জানান, গোপালনগর ইউনিয়নে ইছামতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে খোঁজ নিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App