×

মুক্তচিন্তা

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ এবং নেতাদের পুরাতন কথা

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:০৪ পিএম

বিএনপির নেতারা বুকের রক্ত দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার যে আহ্বান নেতাকর্মীদের কাছে রেখেছেন তা বাস্তবে কতটা হবে- সেটি দেখার বিষয়। অন্যদিকে নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ করার যে দাবি বিএনপি থেকে করা হয়েছে- তা সরকার সাংবিধানিকভাবেই করার অবস্থানে নেই।

বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নয়া পল্টনের সম্মুখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এক সমাবেশের আয়োজন করে। প্রায় চার বছর পর বিএনপি এ ধরনের সমাবেশ করেছে, সমাবেশটি শান্তিপূর্ণ উপায়ে শেষ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সংবাদ ২ তারিখের পত্রিকায় দেখা যায়নি। অবশ্য রাজধানী ঢাকা শহরে এ ধরনের একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে সে ধরনের আলোচনা খুব একটা প্রচারিত ছিল না। তাই অনেকের কাছেই তা জানা ছিল না। অবশ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশের খবর জানতেন তাই তাদের অনেকেই ঢাকা এবং আশপাশের শহরগুলো থেকে গাড়ি চেপে চলে এসেছেন। দলের একনিষ্ঠ নেতাকর্মীদের কাছে সুযোগটি ছিল বড় ধরনের। বেশ ক’বছর পর একসঙ্গে নেতাদের বক্তৃতা শুনতে পারার, হাত তালি দিয়ে সংহতি প্রকাশ করার, নিজেদের মধ্যে দেখা সাক্ষাতেরও। বিএনপি সচরাচর এমন অবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করে থাকে, তাদের কথা বলতে না দিয়ে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করার দাবি করে থাকে। কিন্তু তারা এমন পরিস্থিতি হওয়ার কারণসমূহ বিশ্লেষণের দৃষ্টিতে দেখার প্রয়োজন অনুভব করবেন না- সেটি সঙ্গত বলে ধরে নিচ্ছি। তবে দেশে সুশীল সমাজ বলে একটি গোষ্ঠী আছে- তারাও খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে করেন- তা কিন্তু চোখে পড়েনি। কিছু কিছু গণমাধ্যমে যেসব লেখালেখি হয়- তাতেও চোখে পড়ে না। রাজনৈতিক অঙ্গনে যাদের আমরা একটু বেশি লেখাপড়া করেন বলে জানি- সেই বামরাও করেন বলে চোখে পড়ে না। তাহলে কি বলব যে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা হচ্ছে না- সেটিরই প্রমাণ এটি বহন করে? আমরা প্রায়শ অনেককে দেখি এসব গোষ্ঠী গণতন্ত্র নিয়ে মায়াকান্না করতে। তাদের কান্নাকাটি দেখে মনে হয় বাংলাদেশেই কেবল গণতন্ত্র নেই। অথচ কথা বলতে তাদের কেউ বাধা দিচ্ছে না, লেখালেখি করতে কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে- তাও শুনিনি। টিভি টকশোতে এসে অনেকেই যা খুশি তা বলছেন, তথ্য-প্রমাণ আছে কি নেই- তাও মনে হয় তাদের কাছে প্রাসঙ্গিক নয়। তারপরও বলছে দেশে গণতন্ত্রের স্পেস সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে, বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না ইত্যাদি। সবই প্রতিনিয়ত শুনছি। কিন্তু যারা এসব ভাষা ব্যবহার করেন, তাদের অনেককেই আসল জায়গায় কথা বলতে দেখছি না। কেন বিএনপির সভা-সমাবেশ নিয়ে এমন পরিস্থিতি দেশে তৈরি হলো? ২০১৩ সাল পর্যন্ত তো বিএনপি-জামায়াত সভা করেছে, মিছিল করেছে। কখনো কখনো সেসব মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালের শেষ দিকে দেশে যেসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে, নির্বাচন প্রতিহত করার নামে যেসব পোড়াপুড়ি সংঘটিত হয়েছিল, রেলপথ, সড়কপথ, নদীপথ অবরোধের মুখে পড়েছে, দেশের অনেক অঞ্চল দুই মাসের মতো সময় ধরে অবরোধ, হরতাল, পোড়াপুড়ির কবলে পড়েছিল তাতে যারা যুক্ত হয়েছিল, মামলা খেয়েছিল, তাদের আর স্বাভাবিক রাজনীতি করার সুযোগ থাকে কি? এক বছর বিরতি দিয়ে ২০১৫ সালে আবার যখন ৯২ দিন হরতাল-অবরোধ ও পোড়াপুড়ির পুনরাবৃত্তি ঘটেছে, সেটি যখন সম্পূর্ণরূপে সেই সব কর্মসূচি ব্যর্থ হয়েছে- তখন এই আন্দোলনকারীরা নৈতিক এবং সাংবিধানিকভাবে তাদের অবস্থান কতখানি সঙ্কুচিত হয় সেটি রাষ্ট্রের কাছে একটি মৌলিক প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। বিএনপি-জামায়াত ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন প্রতিহতের নামে করেছিল। এ কাজগুলো জামায়াত বা বিএনপি করলেই অন্যায় হবে, অন্যরা করলে হবে না- এমনটি ভাবা যায় না। আওয়ামী লীগও যদি এমন ভয়ঙ্কর পন্থায় নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলন করে ব্যর্থ হওয়ার পর আওয়ামী লীগেরও আর সোজা হয়ে দাঁড়ানোর কোনো কারণ থাকতো না। এটি রাষ্ট্র, রাজনীতির বিষয়। ব্রিটেনেও সন্ত্রাসবাদী ধারায় সরকার হটানোর জন্য মানুষ পুড়িয়ে মারলে রাষ্ট্র এটিকে আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করবে না, যারা অপরাধ সংঘটিত করেছে- তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও বিচারের ব্যবস্থা না করে থাকবে না। সহিংস আন্দোলনকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়। বিএনপি-জামায়াত ২০১২ সালে যে ধারার আন্দোলন করেছিল- সেটি নিয়মতান্ত্রিকতা থেকে একেবারেই ভিন্ন ছিল। সেই ‘আন্দোলনে’ ব্যর্থ হওয়ার পর জোটগতভাবেই দলগুলো সংকটে পড়ে, নেতাকর্মীদের অনেকেই বিচারের সম্মুখীন হয়, নানা মামলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নিজেদের সামলাতেই তারা ব্যস্ত ছিল। সেই অবস্থায় আন্দোলন করা, রাস্তায় নতুন উদ্যমে নামা সম্ভব ছিল না। অনেকেই দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। দল বা জোট তাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল সেটির পরিণতি এমন হবে এটি অনেক নেতাকর্মীই ভাবতে পারেনি। ফলে অনেক নেতাকর্মীই থমকে গেছে। তারা রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছে- এমনটি হয়তো বলা যাবে না। তবে এটি অনেকের কাছেই মস্ত বড় আঘাত ছিল। এ ধরনের পরিস্থিতিতে জামায়াত বা বিএনপি সংঘটিত হতে পারেনি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও দলকে ঘুচিয়ে উঠতে পারেনি। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব ঢাকা ও লন্ডনে বিভক্ত ছিল। খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবও কম ছিল না। খালেদা জিয়া একবার প্রায় তিন মাস পারিবারিক সফরে লন্ডনে কাটিয়ে এসেছেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রের স্পেস বিরোধী দলের জন্য সঙ্কুচিত হওয়ার তত্ত্ব কতটা বাস্তবসম্মত শোনায়- সেটি ভেবে দেখার বিষয়। এ ছাড়া খালেদা জিয়া অর্থ কেলেঙ্কারির মামলায় দণ্ডিত হয়ে জেলে গেলেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারেনি। অথচ ২০১২-১৫ সালে এই কর্মীরাই যানবাহন পুড়িয়েছে, সরকারকে উৎখাতে নানা ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যস্ত থেকেছে, কিন্তু তারাই খালেদা জিয়ার জেলে যাওয়ার বিষয়টিকে প্রতিহত করতে রাস্তায় সেভাবে নামেনি। বিএনপির মতো এত বড় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এমন নিষ্ক্রিয়তাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন? এটা কি শুধুই সরকারের ‘স্বৈরাচারী আচরণের’ কারণেই স্তব্ধ করা সম্ভব? রাজনীতিকে যারা পান্তাভাত মনে করেন তারা এমন মতামতই দেবেন, ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। সে কারণেই বলছি, আমাদের দেশে ক্রীড়া বিশ্লেষকরা যত চমৎকারভাবে খেলাধুলার গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করতে পারেন না, রাজনীতিবিদ, পত্রপত্রিকায় কলাম লেখক বলে ‘খ্যাত’ বা টিভি-টকশোর আলোচক বা সুশীল বাবুরা পারেন না। কেন পারেন না- তা তারাই ভালো বলতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা এক কথায় আনাড়ি বললেও কম বলা হবে। গত চার বছর জামায়াত-বিএনপির নিষ্ক্রিয়তা সরকারের দমন-নিপীড়নের কারণেই হচ্ছে- তা যারা ভাবেন তাদের বিষয়গুলো ভেবে দেখতে অনুরোধ করব। গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না যারা করেন- তাদের আরো দেশীয় বাস্তবতা নিয়ে গবেষণা করতে অনুরোধ করছি। অসাম্প্রদায়িকতা ছাড়া গণতন্ত্র হয় না। এটি যারা বিশ্বাস করেন- তারা ভেবে দেখতে পারেন সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হাতে গণতন্ত্র, আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, নাগরিক সমাজ এবং তাদের জীবন আদৌ নিরাপদ কিনা?

বিএনপি নেতারা ১ সেপ্টেম্বরের সমাবেশে নতুন কিছু বলেছেন কি? আমাদের তো মনে হয়, তেমন কিছু বলেননি। সবাই জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়ে কর্মীদের উত্তেজিত করতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যে আইনি প্রক্রিয়াতেও সম্ভব নয়- সে কথা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তো সমাবেশেই বলেছেন। আইনি প্রক্রিয়ায় যা সম্ভব নয়- তা রাজনৈতিকভাবে সম্ভব কীভাবে? খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির মামলা হয়েছে। মামলার কোথাও প্রক্রিয়াগত কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি, সরকারের দিক থেকে হস্তক্ষেপ করা হয়নি। ১০ বছর শুনানি শেষে বিচারের রায় হয়েছে। রায়ে তিনি জেলে গেছেন। এখন উচ্চ আদালত রায় পর্যালোচনা করে দেখবেন- তাকে খালাস দেয়া যায় কিনা। যদি তিনি খালাস পান তাহলে এক অবস্থা, না হলে ভিন্ন অবস্থা। সুতরাং বিএনপি ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সরকারের কাছে যে দাবি করে আসছে, তাতো আদালতের বিষয়। সরকার কিছু করার অধিকার রাখে কিনা আমি জানি না। তবে বিএনপির নেতারা বুকের রক্ত দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার যে আহ্বান নেতাকর্মীদের কাছে রেখেছেন তা বাস্তবে কতটা হবে- সেটি দেখার বিষয়। অন্যদিকে নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ করার যে দাবি বিএনপি থেকে করা হয়েছে- তা সরকার সাংবিধানিকভাবেই করার অবস্থানে নেই। সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী একটি ছোট মন্ত্রিপরিষদ তৈরি করবেন, এই সরকার তখন থাকবে না। এটি তো সংবিধান মতোই হবে। তা ছাড়া নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে সরকার গঠনেরও সুযোগ নেই। সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিও বর্তমান সংবিধান মোতাবেক সম্মত নয়। তবে সংসদের কোনো কার্যকারিতা থাকবে না, অধিবেশন বসবে না। এটি নির্বাচনকালীন বাস্তবতা। বিষয়গুলো নির্বাচনের ৪ মাস আগে তেমন কিছু করা সম্ভব নয় বলেই মনে হয়। বিএনপি গত সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকার গঠন করলে বিষয়টি এক রকম হতো, প্রধান বিরোধী দলে থাকলে সংসদে বিষয়টি নিয়ে একটি অবস্থান নিতে পারত। সেটি দেশে আলোচনা-সমালোচনা শেষে একটি রূপ দেয়া যেত, জনমতের প্রতিফলন ঘটার সুযোগ ছিল। কিন্তু গত নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পরিণুিুুত যা হওয়ার তাই হয়েছে।

২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গে যে আলোচনার প্রস্তাব দিতে চেয়েছিলেন তাতে বিরোধীদলীয় প্রধান যদি অংশগ্রহণ করতেন তাহলে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী নির্বাচনী সরকার ব্যবস্থায় একটি ফর্মুলা দাঁড় করানো যেত, তার ভিত্তিতে বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার একটি প্রচলন হতে পারত- যা সবাই একইভাবে ব্যবহার করতে পারত। তখন খালেদা জিয়ার পরিকল্পনা ছিল নির্বাচন প্রতিহত করা, তা ছাড়া ইগো প্রবলেম তো ছিলই। সব মিলিয়ে ২০১৩ সালে একটি ভালো সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়েছে। এখন দেখা যাক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেন, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনসহ সব সংশ্লিষ্ট সংস্থা কীভাবে কাজ করে কেমন নির্বাচন দেশে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি তো বারবারই বলছেন যে, জনগণ ভোট দিলে তিনি আছেন, না দিলে নেই। তিনি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করতে চান না। এখন বিএনপি কি করবে? তারা খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না, নির্বাচন হতে দেবেন না- এই দাবিতে তারা অনড় থাকবেন, নাকি নির্বাচনে অংশ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করবেন। বিএনপির সংকট খুব কম নয়। লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কি সিদ্ধান্ত দেন, আবার জেলের অভ্যন্তরে থাকা খালেদা জিয়া কী সিদ্ধান্ত দেন- তা দেখার বিষয়। অন্যদিকে বর্তমানে যারা প্রতিদিন বক্তৃতা করেন- তা কী সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা রাখেন, দল কতটা মানবে, গ্রহণ করবে- সবই দেখার বিষয়। বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন প্রতিহত করার শেষ যুদ্ধে নামে কিনা- তাও দেখার বিষয়। আসলে বিএনপি এখন আবেগ কুড়ানোর বক্তৃতা শেষে ঝুড়ির অবস্থা দেখবে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেবে- তারা কোন পথে হাঁটবে? সেটি দেখতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App