বনের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:২১ পিএম
কালিয়াকৈরে বন বিভাগের জমি দখল করে অবৈধভাবে ঘর, বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। এভাবে বনের জমি জবর দখল করায় উজাড় হয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল। অপরদিকে টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে বিক্রি করায় লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত এক মাসে উপজেলার কাঁচিঘাটা রেঞ্জের সদর বিটের মুথাঝুরি মৌজায় পাবুরিয়া চালা এলাকায় আব্দুল লতিফ শিকদার, মো. আলমগীর মেম্বার, ফুলবাড়িয়া গ্রামের মো. মহি উদ্দিন, করইচালা গ্রামের ইসমাইল হোসেন, করইচালা গ্রামের মো. কাশেম, করইচালা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, করইচালা গ্রামের হান্নান মুন্সী, তালতলা গ্রামের শাহজাহান, মোথাপাড়া গ্রামের আলতু মিয়া, ফুলবাড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের বেলাল মিয়া, ফুলবাড়িয়া গ্রামের বাতেন ডাক্তার, মনতলা গ্রামের বিল্লাল, মনতলা গ্রামের তোতা মিয়া, নাগের চালা গ্রামের সমেজ আলী, কাঁচিঘাটা উত্তরপাড়া গ্রামের তাজেল, তালতলা গ্রামের জহুরা বেগম বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেন। এ ছাড়া ফুলবাড়িয়া উত্তর পাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিম শালদহ পাড়া এলাকায় স’মিল নির্মাণ করেন।
এদিকে পাবুরিয়া চালা গ্রামের সিদ্দিক মিয়া একই গ্রামের রহিজ উদ্দিনের প্লট থেকে সামাজিক বনায়নের দেড় লক্ষাধিক টাকার আকাশ মনি গাছ কর্তন করে বিক্রি করে। সরকারি বনের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনা নির্মাণকারীদের কাছ থেকে কাঁচিঘাটা বিট কর্মকর্তা মো. আব্দুল আওয়ালের নির্দেশে ফরেস্ট গার্ড রফিকুল ইসলাম ও ফরেস্ট গার্ড আলিম খান লাখ লাখ টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এভাবে বনের জমি দখল করে গজারীগাছসহ সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে অবৈধভাবে ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করায় উজাড় হয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল। অপরদিকে টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে বিক্রি করায় লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
এ ব্যাপারে কাঁচিঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মহসিন উজ্জামান বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে সরকারি বন রক্ষা ও জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।