আজ সাফ ফুটবলে সেরার লড়াই শুরু
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৪৫ এএম
খেলা প্রতিবেদক : সাতটি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বশেষ আসর বসেছিল ভারতে ২০১৫ সালে। নিজেদের মাটিতে অনুষ্ঠিত ওই আসরের ফাইনালে আফগানিস্তানকে হারিয়ে রেকর্ড সপ্তমবারের মতো টুর্নামেন্টটির শিরোপা জিতে নেয় ভারত। এরপর কেটে গেছে ৩ বছর। সময় এসেছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বাদশতম আসরের পর্দা ওঠার। দক্ষিণ এশিয়ার বিশ^কাপ হিসেবে খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরের আয়োজক দেশ বাংলাদেশ। সাত জাতির এ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু হচ্ছে আজ থেকে। যেখানে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে বিকেল ৪টায় নেপালের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান এবং দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা ৭টায় ভুটানের বিপক্ষে খেলবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরের সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে।
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই হিসেবে খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসর হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। সাফের প্রথম আসরের আয়োজক দেশ পাকিস্তান। ওই আসরের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। এরপর ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। পরের আসরে শিরোপা পুনরুদ্ধার করে ভারত। ১৯৯৯ সালে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে দেশটি। ২০০৩ সালের সাফের পঞ্চম আসরে স্বাগতিক হিসেবে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টটির শিরোপা জিতে বাংলাদেশ। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সাফের ষষ্ঠ আসরে রানার-আপ হয়েছিলে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত সাফের আসরের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় মালদ্বীপ। তবে পরের আসরেই শিরোপা পুনরুদ্ধার করে ভারতীয়রা। দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই হিসেবে পরিচিত হলেও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের অতীত ইতিহাস দেখলে ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্যই চোখে পড়ে। এখন পর্যন্ত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ১১ বার। যেখানে সর্বোচ্চ সাতবার শিরোপা জিতেছে ভারত। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে একবার করে। টুর্নামেন্টটির বর্তমান চ্যাম্পিয়নও ভারত।
২০০৩ সালে নিজেদের মাটিতে অনুষ্ঠিত সাফের শিরোপা জেতা বাংলাদেশ অবশ্য টুর্নামেন্টটির সর্বশেষ ৩টি আসরে মোটেই ভালো করতে পারেনি। গত তিন আসরে গ্রæপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। গত তিন আসরের ব্যর্থতা এবার কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। কোচ জেমি ডের অধীনে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ভালো খেলছেন জামাল ভূঁইয়ারা। এবারের আসরে খেলতে নামার আগে কোচ জেমি ডের শিষ্যদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা সদ্য শেষ হওয়া এশিয়ান গেমসের ফুটবলের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা। গ্রæপপর্বে কাতারের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে এ বছর প্রথমবারের মতো এশিয়াডের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে বাংলাদেশ।
অংশগ্রহণকারী সাতটি দল ২টি গ্রæপে ভাগ হয়ে খেলবে এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। যেখানে স্বাগতিক বাংলাদেশের অবস্থান ‘এ’ গ্রæপে। গ্রæপটিতে বাংলাদেশ ছাড়া অন্য ৩টি দল হলোÑ ভুটান, নেপাল ও পাকিস্তান। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রæপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ। কোচ জেমি ডের শিষ্যরা টুর্নামেন্টে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে আগামী বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে এবং ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার গ্রæপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে খেলবে।