×

জাতীয়

রোয়াংছড়িতে ছালাওয়া ঝর্ণাকে পর্যটন করা উদ্যোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:৫৭ পিএম

রোয়াংছড়িতে ছালাওয়া ঝর্ণাকে পর্যটন করা উদ্যোগ
রোয়াংছড়িতে ছালাওয়া ঝর্ণাকে পর্যটন করা উদ্যোগ
পার্বত্য এলাকার পাদ দেশে পাহাড় ঘেড়া রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি উপজেলা সীমান ঘেঁষে বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ির উপজেলা অবস্থান। এই উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে শঙ্খ নদী (সাঙ্গুঁ নদী)। এখানেও রয়েছে পাহাড়ের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির (আদিবাসী) মানুষের বসবাস। তাঁদের জীবনাচার যেমন পর্যটকদের আকর্ষণ করে, তেমনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও মোহিত করে তাঁদের। বিশেষ করে পর্যটকদের মনকাড়ে রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নে ছালাওয়া (শীলবান্দা) পাড়ার অদূরে প্রাকৃতিক ঝিরি ঝর্ণার ও দেবকুম নামে অপার সৌন্দর্য। বান্দরবান সদর থেকে ১৯ কি.মি. দূরে অবস্থিত রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরে যেতে পারবেন বাসে করে। রোয়াংছড়ি সদর থেকে প্রায় ১০ কি.মি. পদ ঘণ্টা খানেকের দূরত্বেই ছালাওয়া (শীলবান্দা) ঝর্ণার অবস্থান। প্রায় ৪০ ফুট উঁচু থেকে ঝরে পড়া জলের উচ্ছ¡বাস দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। ঝোঁপ জঙ্গলে বেষ্টিত এই ঝর্ণায় যেতে হয় দেড় কিলোমিটার পাহাড়ি পথ হেঁটে। বান্দরবান থেকে বাসে রোয়াংছড়ি, এরপর রোয়াংছড়ি বাজার থেকে সিএনজি, চাঁদের গাড়ি ও মটরবাইক দিয়ে পৌঁছাতে হবে কচ্ছপতলী বাজারের। কচ্ছপতলী বাজার থেকে ৪০-৪৫ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছানো যাবে ঝর্ণায়। যাত্রা পথে চোখে পড়বে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য; সবুজ পাহাড় গ্রাম, ঝোঁপ জঙ্গলের ভেতর দিয়ে গ্রামীণ পথ চলার, পথ আসলেই মোহনীয়। শীতের সময় হেঁটে যাওয়া রাস্তা ও ভালো থাকে। সেখানে যাওয়ার পথে উঁচু নিচু পাহাড় বেয়ে উঠলে দেখা যায় রঙ বে-রঙের জলের রেখা। আর জল পড়ার শব্দও বিচিত্র ছল ছল, ফুট ফুট, টপ টপ অপূর্ব শব্দই শুনা যায়। প্রায় ৪০ ফুট উপর থেকে আছড়ে পড়া ঝর্ণা পানির প্রচন্ড আঘাতে চার পাশে প্রচুর স্থানজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ঘন কুয়াশা ঢাকা রহস্যময় রূপ। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অজস্র পাথর। এমন দৃশ্য কার না ভালো লাগে? চাইলে দেখতে যেতে পারেন আপনিও। ছালাওয়া পাড়া উন্নয়ন কমিটি পাইচিংপ্রæ মারমা ও আলেক্ষ্যং ইউপি ৪নং ওয়ার্ডে মেম্বার থুইক্যনু মারমা জানায় এ ঝর্ণাটি খুব ঐতিহ্যবাহিক স্থান হিসেবে সুপরিচিত। বর্তমানের এই ঝর্ণাটি নামকরণ করা হয়েছে “শীলবান্দা”। শতবছর পূর্বে নাম ছিল “য়ালাওয়া” এ ঝিরিতে বয়ে যাওয়ার জল রাশি সাথে মারমা ভাষায় ‘ছা’ (লবন) বের হয়ে আসত। তাই এ ঝিরি স্থানের নাম করণ করা হয়ে ছিল ছালাওয়া। ছালাওয়া ঝর্ণা পরিচিত হওয়ার পর হতে দূর দুরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুর ও পর্যটকদের দৈন্দিন ভীর থাকে। পর্যটন স্পট এলাকার হিসেবে রূপান্তর গড়ে তোললে পর্যটকদের চলাচলের পাশাপাশি রাস্তাঘাট হলে ওইখানে বসবাসরত মানুষেরও ব্যবসায়ের সুবিধা পাবে এবং অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল হবে। রোয়াংছড়ি উপজেলঅ নির্বাহী অফিসার মো: দিদারু আলাম বলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা অভ্যন্তরে প্রায় উপজেলায় মধ্যে অবকাশকালীন সময়ের ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সময় কাটাতে পর্যটন স্পটে আসলে স্থানীয় মানুষের আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারে। কিন্তু এই রোয়াংছড়ি উপজেলাতে কোন পর্যটন স্পট নেই। তাই রোয়াংছড়ি উপজেলা আলেক্ষ্যং ইউনিয়নে নিকটতম মনোরম পরিবেশের একটি ঝর্ণা আছে। এ ঝর্ণাকে উন্নয়নে একটি অংশ হিসেবে রোয়াংছড়ি উপজেলাতে প্রথম পর্যটন স্পট গড়ে তোলতে উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃক পক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এ পর্যটন স্পট স্থাপন হয়ে গেলে এলাকার বাসবাসরত মানুষের আর্থসামাজিক উয়ন্ননের স্বচ্ছলতা ও বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি প্রশাসনের সাথে কাছে থাকায় নিরাপত্তা থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App