×

জাতীয়

দাম না থাকায় লোকসানের মুখে রানীনগরের কৃষকরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:১৪ পিএম

দাম না থাকায় লোকসানের মুখে রানীনগরের কৃষকরা
উপজেলায় আউশ (বর্ষালী) ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষের দিকে। আউশ ধান চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা। এবার ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বিঘাপ্রতি প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। এতে করে আগামী আউশ ধান আবাদে আগ্রহ হারাতে পারেন কৃষকরা। জানা গেছে, এ বছর উপজেলার প্রায় ৩ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ করা হয়। ধান রোপণের শুরু থেকেই বৈরী আবহাওয়া এবং বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ধানের গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। এ বছর আউশ ধান বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৪ মণ ফলন হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করতে খরচ হয়ে থাকে ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। গত বছরের চেয়ে এ বছর ২ থেকে ৩০০ টাকা কম দামে ধান বিক্রি হচ্ছে বাজারে। প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। ফলে উৎপাদন খরচ এবং ধানের ফলন বিপর্যয়ের কারণে বিঘাপ্রতি প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। উপজেলার বেলাঘড়িযা গ্রামের কৃষক মো. হাসান আলী ও এরশাদসহ অনেকেই জানান, এ বছর আউশ ধানের ফলন প্রতি বিঘায় প্রায় ১২ থেকে ১৩ মণ হারে হচ্ছে। ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষের দিকে। ধানের দাম না থাকার কারণে বাজারে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে ধান বিক্রি করে বিঘাপ্রতি প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা লোকসান হবে। এ ব্যাপারে রানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, এ বছর আউশ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চল ভারি বর্ষণের কারণে প্লাবিত হওয়ায় ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও ফলনের তেমন কোনো তারতম্য হয়নি। কিন্তু ধানের দাম না থাকায় কৃষকরা কিছুটা লোকসানের মুখে পড়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App