×

জাতীয়

ক্ষেতলালে বন বিভাগের অফিসের বেহাল দশা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:২৩ পিএম

ক্ষেতলালে বন বিভাগের অফিসের বেহাল দশা
ক্ষেতলাল উপজেলা সদরের বন বিভাগ অফিসটির বেহাল দশা। দীর্ঘদিন সংস্কার ও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অফিসসহ কর্মকর্তাদের বাস ভবনগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থা। জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ চত্বরের ভেতরে প্রায় ৩ একর জায়গার ওপর ১৯৮০ সালে ওই বন বিভাগ অফিস নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সংস্কারের অভাবে মূল অফিসসহ অন্যান্য ভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সরজমিনে দেখা যায়, প্রবেশ পথের মূল ফটকের সামনে আগাছায় আবৃত। বন বিভাগের ভেতরে প্রবেশ করলেও সেখানে দু-চার প্রজাতির ছোট ছোট পরিত্যক্ত চারা ও আগাছা ছাড়া আর কিছুই নেই। অথচ উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা গজেধর রায় (ভারপ্রাপ্ত) দাবি করেন, বন বিভাগ বছরে প্রায় ৪০ হাজার বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধী চারা সরকারি নির্দেশে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দাতব্য প্রতিষ্ঠানসহ বেড়িবাঁধের পাশে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিতরণ করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের বনায়নের জন্য যে চারার চাহিদা, তা পূরণে ওই বন বিভাগে নিজস্ব চারা উৎপাদনের কথা থাকলেও বন বিভাগ কর্মকর্তা বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি থেকে স্বল্পমূল্যের চারা সরবরাহ করে চাহিদা পূরণ করে। সম্প্রতি ৩০ লাখ বৃক্ষরোপণের অংশ হিসেবে ক্ষেতলাল উপজেলা বন বিভাগ ৪ হাজর ৫শটি বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ বিতরণ করলেও তার গুণগত মান নিয়ে জনমনে ক্ষোভ দেখা রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা বন বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা গজেধর রায় জানান, এখানে তিনিসহ আরো দুজন কর্মকর্তা পরিবারসহ বসবাসের কথা থাকলেও বাসভবনগুলো বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় কেউ বসবাস করতে পারছেন না। তারপরও বন বিভাগের মালী মোস্তাফিজার রহমান ও অফিস সহায়ক বেলাল হোসেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবস্থান করছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কোনো অফিস না থাকায় মালীদের ভূতুড়ে ব্যারাকে বসেই তাদের নিয়মিত আফিস করতে হয়। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ক্ষেতলাল উপজেলার সব দপ্তর স্পর্শ করলেও বন বিভাগ সব ক্ষেত্রে বঞ্চিত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App