বিমসটেক অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ গ্রিড চালুর প্রস্তাব বাংলাদেশের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০১৮, ০৬:৩৬ পিএম
পরে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সদস্য দেশের নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে।
“দেশসমূহের মধ্যে ব্যবসা, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ উৎপাদন-বিতরণ এবং বিদ্যুৎ এক দেশ থেকে সদস্য অন্য দেশে কেনাবেচাসহ সার্বিক বিষয়ে নেতারা বিস্তারিত আলোচনা করেন।”
এ সব বিষয়ে পর্যালোচনা করতে এবং কোন দেশের কি পরিমাণ বিনিয়োগ হবে অথবা কোন দেশ কি পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও রপ্তানি করতে পারবে তা ঠিক করতে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনেও সম্মত হয়েছেন নেতারা।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, “আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী সমুদ্রপথে বিমসটেক ক্রুজ চালু করার প্রস্তাব করেন এবং নেপাল ও ভুটান তাদের প্রয়োজনে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারে বলেও জানান।”
এছাড়া নবায়নযোগ্য জালানি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে শহীদুল হক জানান।
“সৌর বিদ্যুতের জন্যও আঞ্চলিক গ্রিড করার প্রস্তাব করেন শেখ হাসিনা। কারণ এ অঞ্চলের অনেক দেশেই দিনে দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যালোক পাওয়া যায়।
“নেপাল ও ভুটানের যথেষ্ট পরিমাণ জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে, যা তারা প্রতিবেশী দেশগুলোতে রপ্তানি করতে পারে।”
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বিদ্যুৎ কেনাবেচার মত বিষয়ে বিমসটেক দেশগুলো এর আগে পদক্ষেপ নেয়নি, তবে এবারের রিট্রিট সেশনে নেতাদের আলোচনার প্রেক্ষিতে এ খাতে বড় ধরনের সহযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ কিছুটা কমে যাওয়া প্রসঙ্গে শহীদুল হক বলেন, মুক্তবাণিজ্য ক্ষেত্র বাড়াতে নেতারা আলোচনা করেছেন।
বিমসটেকের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে শুক্রবার দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডু যান তিনি।
নেপাল পৌঁছার পরই দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং ভুটানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দাশো শেরিং ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
ওইদিনই বিকালে সোয়ালটি ক্রাউনি প্লাজা হোটেলে সম্মেলনের উদ্বোধীন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।
ওইদিন সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।