×

জাতীয়

খুশির ঈদে ঘরে ফেরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১১:৩৬ এএম

খুশির ঈদে ঘরে ফেরা

সড়ক পথ

ফেরিতে বিড়ম্বনা সড়কেও যানজট

  কাগজ প্রতিবেদক : ঈদযাত্রায় সব সড়ক পথেই ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। হাজার হাজার যানবাহন ও যাত্রীর চলাচলে মহাসড়কগুলো এখন মুখরিত। চাপ বাড়ায় গতকাল বিকাল পর্যন্ত সব মহাসড়কেই কিছুটা যানজট ছিল। তবে আগের ঈদের তুলনায় যানজট অনেক কম বলে পরিবহন কোম্পানি এবং সওজ সূত্রে জানা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোতে যানজট সহনশীল পর্যায়ে থাকলেও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের ফেরিঘাটের চিত্র কিছুটা ভিন্ন ছিল। এখানে ফেরি পারাপারের বিড়ম্বনার কারণে ঘরমুখো মানুষ ও পরিবহন চালকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গতকাল যানবাহনের চাপ থাকলেও তীব্র যানজট দেখা যায়নি। জানা গেছে, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের উভয় দিকে গতকাল যানজটের সৃষ্টি হয়। পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণেই উভয় দিকে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কে শত শত পশু বোঝাই ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়িচালক ও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের অপেক্ষার প্রহর গুণতে দেখা যায়। বাস চালকরা জানান, অনেকেই শনিবার মধ্যরাত এবং ভোরের দিকে দৌলতদিয়ায় এসে পৌঁছেন। কিন্তু ফেরি না পাওয়ায় আটক পড়েছেন। তারা গাড়ি নিয়ে সময়মতো ঢাকায় পৌঁছতে না পারায় ঢাকা থেকেও ঘরমুখো যাত্রীদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। এই ঘাটে কোরবানির পশু বোঝাই শতাধিক ট্রাকও আটকা পড়েছে। কয়েকটি গরু মারা গেছে বলেও জানা গেছে। বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ছোট বড় ২০টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া অংশে ৬টি ঘাটের মধ্যে ৫টি সচল রয়েছে। তবে নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি ধীর গতিতে চলছে। এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে যেতে দ্বিগুণ সময় লাগছে। এদিকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটেও ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। নৌকর্তৃপক্ষ আগেভাগেই চালকদের সতর্ক করে দেয়ায় যানবাহনের চাপ কম। অন্যপথ ব্যবহার করেই বেশিরভাগ যানবাহন চলাচল করছে। যে সব যানবাহন রয়েছে তা পারাপারে বেশ সময় লাগছে। এ কারণে এই রুটের উভয় দিকেই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দুপুর ১টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটে অর্ধশতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। বিআইডবিøউটিসির শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, গাড়ির তেমন চাপ নেই। চ্যানেলে ড্রেজিং চলায় ওয়ানওয়ের মাধ্যমে ফেরিগুলো চলাচল করছে। একটি ফেরি শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ী পৌঁছতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লাগছে। এদিকে দেশের অন্যসব মহাসড়কগুলোতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজটের তেমন ভোগান্তি নেই। সড়ক ও জনপথ এর ঢাকা সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. সবুজ উদ্দিন খান জানান, সব মহাসড়কেই যানজট সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। ঢাকা-সাভার-নবীনগর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কের গাবতলী হতে চন্দ্রা পর্যন্ত ৪ লেন হয়েছে। কোথাও গর্ত, খানাখন্দ নেই। তবে বিভিন্ন বাজার, ইন্টার সেকশনে অতিরিক্ত চাপে গাড়ি ধীর গতিতে চলছে। চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৪ লেন উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। তবে কোনাবাড়ী, চন্দ্রা, লতিফপুর এলাকায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ও ধেরুয়া রেলক্রসিংয়ের কারণে চাপ বাড়লে কিছুটা ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে। পশুবাহী ট্রাক কিংবা অন্য কোনো যানবাহন রাস্তায় বিকল অথবা দুর্ঘটনা না ঘটলে তেমন কোনো সমস্যার সম্ভাবনা নেই। তিনি আরো জানান, ঢাকা-টঙ্গী-গাজীপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার অংশ বিআরটি প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। তারপরও যানচলাচলের উপযুক্ত রয়েছে। সড়কের ৪ লেন চালু রয়েছে। ঢাকা-কাঁচপুর-ভুলতা-নরসিংদী-সিলেট মহাসড়কে ভৈরব পর্যন্ত কোনো খানাখন্দ নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সিলেট অংশে যানজট বা দুর্ভোগের আশঙ্কা নেই। ঢাকা-কাঁচপুর-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোথাও কোনো খানাখন্দ বা গর্ত নেই। তবে ২ লেন বিশিষ্ট মেঘনা ও গোমতি সেতু যানজটের অন্যতম কারণ। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে চারলেনের উন্নীত করার কাজ চলছে। বিকল্প সড়ক দিয়ে যানবাহন যাতায়াতের ফলে ধীর গতিতে চলছে। এই সড়কে গাড়ির চাপ বাড়লে ফেরিঘাটে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

রেলপথ

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে দুর্ভোগ

  কাগজ প্রতিবেদক : ট্রেনে ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন গতকাল রবিবারও শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেন। এক থেকে ১০ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে কয়েকটি ট্রেন। লালমনি স্পেশাল ট্রেনটি সকাল ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও বিকেল ৬টার পর, প্রায় ১০ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যায় বলে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে। শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তি বহুগুণ বেড়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। গতকাল সরেজমিন কমলাপুর গিয়ে দেখা যায়, স্টেশন চত্বরে হাজারো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তিল ধারণের জায়গা নেই কোথাও। একেকটি ট্রেন আসছে তো হুড়মুড় করে যাত্রী উঠছে। কে আগে উঠবে তার তীব্র ও আপ্রাণ প্রতিযোগিতা। এদিকে ট্রেনের ভেতরে স্থান না হওয়ায় যাত্রীদের অনেকেই ট্রেনের ছাদে চড়েছেন। ইঞ্জিনের সামনে, দরজার হাতলে ঝুলেও বাড়ির পথ ধরেছেন কেউ কেউ। এই ভিড়ের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা মিলিয়ে বিড়ম্বনা মেনে নিয়েই চলছে ঈদযাত্রা। ট্রেনের সূচি অনুযায়ী গতকাল কমলাপুর থেকে দিনের প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সকাল ৬টায়। কিন্তু সেটি ছেড়ে যায় এক ঘণ্টা দেরিতে, সকাল ৭টার পর। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে স্টেশন ছাড়ে। চিলাহাটির নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা, তবে ট্রেনটি স্টেশনেই আসে বেলা ১০টা ৫ মিনিটে, ছেড়ে যায় ১০টা ৫৫ মিনিটে। বেলা ৯টার রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন বেলা ১২টা নাগাদ স্টেশনে প্রবেশ করে। ছেড়ে যায় ১টা ১০ মিনিটে। দিনাজপুরের এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি পৌনে ১১টায় কমলাপুরে এসে বেলা ১২টার পরে স্টেশন ছেড়ে যায়। লালমনিরহাট ঈদ স্পেশাল ট্রেন ছাড়ার কথা বেলা ৯টা ১৫ মিনিটে। তবে সেটি বিকলে ৬টার পরে স্টেশন ছেড়ে যায়। ঢাকা-চিলাহাটি নীলসাগর ট্রেনের কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৮টায়। দুই ঘণ্টা ৫ মিনিট দেরি করে বেলা ১০টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি কমলাপুরের প্ল্যাটফর্মে আসে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়াহুড়ি শুরু করেন। যাত্রীদের ভিড়ে ট্রেনের দরজা দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঢুকতে পারছিলেন না রামপুরার স্কুলশিক্ষক সাগর আহমদ। উপায় না দেখে, স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ট্রেনে উঠিয়ে দেন তিনি, পরে মেয়েকে। অনেক কসরত করে পরে নিজে ওঠেন। তিনি বলেন, দরজায় যে ভিড়, ধাক্কাধাক্কি করে উঠতেই পারতাম না। কী আর করা, ট্রেন ঠিক সময়ে এলে এই ঝামেলাটা হতো না। রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২টার পর সেটি স্টেশন ত্যাগ করে। এই ট্রেনের যাত্রী রুনু জামান জানান, ট্রেন ধরার জন্য ২ সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে স্টেশনে আসেন সকাল ৮টা নাগাদ। সেই থেকে বসেছিলেন। কিন্তু ট্রেনটি কখন ছাড়বে তার কোনো সদুত্তর কেউ দেননি। অবশেষে বেলা ১২টার কিছু পর ট্রেনটি ছেড়ে যায়। তিনি স্টেশন কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন। তবে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে এমন কথা মানতে নারাজ কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্ত্তী। গতকাল বিকেলে তিনি ভোরের কাগজকে মুঠোফোনে জানান, গত শনিবার তেজগাঁওয়ে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় এক ঘণ্টা আটকে থাকায় অন্য ট্রেনগুলো দেরি করেছিল। গত শনিবার সে কারণে কমলাপুর থেকে অনেকগুলো ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়। সেগুলো ফিরতেও দেরি হয়েছে। যার ফলে আজ ৮-১০টি ট্রেন ছেড়ে যেতে কিছু বিলম্ব হয়েছে। তবে বিকেলের দিকে শিডিউল ঠিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। কারণ হিসেবে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকে। প্রতিটি স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামার সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লাগে। তা ছাড়া কিছু ট্রেন যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য গতি কমিয়ে চলাচল করছে। যে কারণে ট্রেনগুলো গন্তব্যে দেরি করে পৌঁছাচ্ছে। সেখান থেকে ফিরতেও দেরি হয়েছে। আর কমলাপুরে দেরিতে আসার পরে আমরা যথাসম্ভব দ্রæত সেটা ছাড়ার ব্যবস্থা করছি। তবে যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার পর জানিয়েছেন, কষ্ট যাই হোক, ট্রেনে করে ঈদে বাড়ি যেতে পারছি এটাই যথেষ্ট।

নৌপথ

যাত্রীর চাপ আছে তবু নৌপথে স্বস্তি

  কাগজ প্রতিবেদক : এবারো ঈদে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ বেশ স্বস্তিতেই নৌপথে রাজধানী ছাড়তে পারছেন। দেশের প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটে গতকাল রবিবার যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় থাকলেও পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। টার্মিনালের পরিধি আগের চেয়ে অনেক বিস্তৃত হওয়া, পন্টুন ও লঞ্চের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, রোটেশন প্রথা তুলে দেয়াসহ বিভিন্ন ব্যবস্থাপনার কারণে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল সন্ধ্যার পর যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যায় অনেক। এ সময় পল্টুনে প্রবেশের গেট নিয়ন্ত্রণ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখা যায় কর্তব্যরতদের। টার্মিনাল ভবন থেকে পল্টুনে প্রবেশের প্রতিটি গেটে বিআইডবিøউটিএ, পুলিশ, আনসার ও রোভার স্কাউট সদস্যরা অবস্থান নেন। পল্টুনে লঞ্চের অবস্থানের সঙ্গে সমন্বয় করে যাত্রীদের ভেতরে যেতে দেয়া হয়। বাকিদের অপেক্ষা করতে হয় টার্মিনাল ভবনে। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের আগেই লঞ্চগুলোকে ঘাট ছেড়ে যেতে বাধ্য করতে দেখা যায় দায়িত্বরতদের। বিআইডবিøউটিএর যুগ্ম পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, এক সঙ্গে অনেক যাত্রী পল্টুনে প্রবেশ করলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। তাই রেশনিং করে যাত্রীদের পল্টুনে যেতে দেয়া হচ্ছে। বাকি যাত্রীরা যেন লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন, সেজন্য নতুন টার্মিনাল ভবনের দ্বিতীয় তলা ও পুরাতন টার্মিনাল ভবনে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া টার্মিনাল এলাকা যানজট ও হকারমুক্ত রাখার অভিযানও চলছে বলে জানান তিনি। গতকাল ৪২টি রুটে শতাধিক লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। সাধারণ সময়ে প্রতিদিন ৭০-৮০টি লঞ্চ ঢাকা থেকে ছাড়ে। ঈদের সময় প্রতিদিন গড়ে ৬-৭ লাখ যাত্রী সদরঘাট নদীবন্দর দিয়ে পাড়ি জমান বলে বিআইডবিøউটিএ জানায়। এদিকে গতকাল সকালে সদরঘাট টার্মিনাল পরিদর্শন করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। বিআইডবিøউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন। এ সময় নৌমন্ত্রী বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে গত ৪ বছরে বড় ধরনের কোনো লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, সদরঘাটে হকারমুক্ত সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। এখানে মলম পার্টি বা অজ্ঞান পার্টির উৎপাত নেই। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে সরকারের আন্তরিকতার কারণে। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে না উঠতে যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। পরে মন্ত্রী টার্মিনাল ভবন-২ এ নবনির্মিত মসজিদ এবং ঢাকা নদীবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার কার্যালয় উদ্বোধন করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App