এখানে আ.লীগ ও বিএনপির চেয়ে শরিকদের প্রাধান্য বেশি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০১৮, ০১:৫৬ পিএম
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানী উপজেলা নিয়ে গঠিত পিরোজপুর-২ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রার্থীর তেমন উত্তাপ না থাকলেও রয়েছে মহাজোটের শরিক জেপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান পানি সম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর। একচেটিয়া প্রভাবের ফলে এক রকম ধরে নেয়া যায়, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি হচ্ছেন মহাজোটের প্রার্থী। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা নির্ভীক সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার সন্তান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এরশাদ আমলে প্রায় এক যুগ যোগাযোগমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি এলাকায় অনেক রাস্তাঘাট, পুল, কালভার্ট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে এক রকম পাকাপোক্ত করেছেন এ আসনটি। এ কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা খুব একটা মাথা ঘামান না এ আসনটি নিয়ে। তারপরও যারা সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ইসাহাক আলী খান পান্না। তিনি বিগত দশম সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকেট পেয়েও মহাজোটের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর কারণে শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা টিকিয়ে রাখতে পারেননি। আওয়ামী লীগের অপর সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদার। তিনি আগে দুটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে যান।
অপরদিকে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাবেক মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ছেলে ও ভান্ডারিয়া থানা বিএনপির সভাপতি আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন। তিনি বিগত দশম সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেও বিএনপির বয়কটের কারণে শেষমেশ তার আর নির্বাচন করা হয়নি। এ ছাড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা গাজী নুরুজ্জামান বাবুলের পৈতৃক বাড়ি পিরোজপুর-২ আসনের ধানের শীষের ভান্ডারিয়া উপজেলা হওয়ায় তিনিও হতে পারেন এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী। এ ছাড়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের বাড়িও এ আসনের ভান্ডারিয়া উপজেলায়। এ কারণে তিনিও দৌড়ঝাঁপ দিচ্ছেন এ আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হওয়ার জন্য। অপরদিকে বিএনপির আরেক শরিক সদ্য নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর সাবেক এমপি যুদ্ধাপরাধ মামলায় আমৃত্য কারাদন্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ও ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদীও প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টির (কেএসপি) কেন্দ্রীয় কো-চেয়ারম্যান মো. মিনহাজউদ্দিন এম. কামালও প্রার্থী হচ্ছেন আগামী নির্বাচনে।