×

জাতীয়

বাসের কাগজ পরীক্ষায় এবার মাঠে মালিকপক্ষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০১৮, ০৩:০১ পিএম

বাসের কাগজ পরীক্ষায় এবার মাঠে মালিকপক্ষ
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। টানা ৯ দিনের আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে চালকদের লাইসেন্স চেক করেন। আন্দোলনের মধ্যে ট্রাফিক সপ্তাহ ঘোষণা করলে কাগজপত্রহীন অনেক গাড়ি আটক করা হয়। শিক্ষার্থী ও পুলিশের পথ ধরে এবার গণপরিবহনের কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা তা চেক করা শুরু করেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ইউনিয়ন ও কমিটিগুলো। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গুলিস্তানে গাড়ির কাগজপত্র চেক করতে দেখা গেছে। চালক ও হেলপাররা মালিক ও শ্রমিক সমিতিগুলোর চেকারদের কাগজপত্র দেখিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন। সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও শ্রমিক কমিটির নেতা রাজু আহমেদ জানান, ‘আমরা সকাল থেকেই সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে কাজ শুরু করি এবং বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৪০০ গাড়ি চেক করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশের কাগজপত্র ঠিক আছে। ৩০-৪০টি গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই, সেগুলো টার্মিনাল থেকে বের হচ্ছে না। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানান, সকাল থেকে মহাখালী টার্মিনালে আমাদের প্রতিনিধিরা চেক শুরু করেন। দুপুরের দিকে শুরু হয় সায়েদাবাদ ও গুলিস্তানে। যেসব গাড়ির কাগজপত্র নেই, সেসব মালিক তা আপডেট করে নিচ্ছেন। মহাখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম জানান, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমাদের যা যা করণীয় তাই করছি। সকাল থেকে আমরা কাগজপত্র ছাড়া কোনো গাড়ি ছাড়তে দিচ্ছি না।’ এদিকে নগরীর টার্মিনালগুলোতে মালিকদের এ অভিযান ও ট্রাফিক সপ্তাহ চলার কারণে কাগজপত্রহীন গাড়ি গায়েব হয়ে গেছে। ফলে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরে এখনো স্বাভাবিক হয়নি গণপরিবহন ব্যবস্থা। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবে আন্দোলন থামার পরে ধীরে ধীরে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিরচেনারূপে দেখা দিয়েছে যানজট। গতকাল রাজধানীর সদরঘাট, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, বাড্ডা, উত্তরা, মহাখালী ও মিরপুর রোডে সব ধরনের যান চলাচল করতে দেখা গেছে। ফলে সকাল থেকেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যালগুলোতে যানজট দেখা দেয়। কিন্তু গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত মানুষ। ধোলাইপাড় থেকে রাইদা পরিবহনে উত্তরাগামী রামিমুর রহমান নামে এক চাকরিজীবী বলেন, সায়েদাবাদ পার হয়ে গোলাপবাগ, মুগদা ও মালিবাগের যানজট ছিল অসহনীয়। গত ২-৩ দিনের মধ্যে গতকালই ছিল সর্বাবিক যানজট। গণপরিবহন সংকটে মালিবাগ থেকে অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়। সাব্বির আহম্মেদ নামে এক শিক্ষার্থী জানান, শনির আখড়া থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী বাসের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম হলেও গত ২ দিনের চেয়ে বেড়েছে। অন্যদিকে আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে যে আলোড়ন গড়ে তুলেছিল বর্তমানে সেটি আবার সাবেক বিশৃঙ্খলায় রূপ নিয়েছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সড়কে বেপরোয়াভাবে যান চলাচল করতে দেখা গেছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App