×

জাতীয়

চিকিৎসক সংকটে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০১৮, ০২:৪৬ পিএম

চিকিৎসক সংকটে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা
চিকিৎসক সংকট ও লোকবলের অভাবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। ফলে এ উপজেলার ২ লাখ জনগণ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার আশায় প্রতিদিন শত শত রোগী ভিড় করেন। কিন্তু ওষুধপত্র তো দূরের কথা চিকিৎসকের দেখাও মিলে না রোগীদের ভাগ্যে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের। বেশির ভাগ সময় উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের ব্যবস্থাপত্র নিয়েই বাড়ি ফিরছেন রোগীরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৩১ শয্যা বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক থাকার কথা ১৭ জন। তন্মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ চিকিৎসক আছেন ৬ জন। উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু হাসান শাহীনের বাড়ি জামালপুরে। নিয়মানুযায়ী তাকে কর্মস্থলে থাকার কথা থাকলেও তিনি নিজ বাড়ি জামালপুর থেকে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন কর্মস্থলে আসেন। অপর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল মোন্নাফের বাড়ি ময়মনসিংহে। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে একই অভিযোগ। এ ছাড়া জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি মিজানুর রহমান গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. মায়া হুড়, ডা. রাজীব সাহার বাড়ি শেরপুরে। তারাও অনিয়মিতভাবে আসেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। একমাত্র ডেন্টাল সার্জন ডা. তাকসিনা ফেরদৌসির বাড়ি ঝিনাইগাতী উপজেলায়। এ কারণে তাকে নিয়মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাওয়া যায় বলে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার থাকার কথা ৯ জন। কিন্তু এখানে আছেন ৪ জন। নার্স থাকার কথা ১২ জন, আছেন ৬ জন। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্টোরকিপার নেই। নেই কোনো নৈশ্যপ্রহরী, কুক মশালচি ও জুনিয়র মেকানিক্স। ওয়ার্ড বয় থাকার কথা ৩ জন, আছে ২ জন। মেডিকেল টেকনোলজি ২ জন এর মধ্যে আছে ১ জন। মাঠ পর্যায়ে কর্মী থাকার কথা ৩০ জন, আছে ২২ জন। এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন থেকে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। ইসিজি মেশিন ও আল্ট্রাসোনোগ্রাম মেশিন থাকলেও ডাক্তার না থাকায় তা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। অ্যাম্বুলেন্স আছে, কিন্তু চালক নেই বিগত ২ বছর ধরে। সবমিলে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু হাসানের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিভিন্ন কাজের কারণে আমাকে নিয়মিত আসা সম্ভব হয় না। এ ছাড়া অন্য চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের জন্য পত্রের মাধ্যমে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App