×

জাতীয়

শেষ দিনেও পাল্টাপাল্টি দোষারোপ, হুঁশিয়ারি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০১৮, ০১:৩১ পিএম

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারণাতেও চলেছে বাকযুদ্ধ ও পাল্টাপাল্টি দোষারোপ। এর মাঝেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তিনি বলেছেন, ৩০ তারিখের আগে কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হবে। ভোটকেন্দ্র দখল, থানা ঘেরাও এমনকি নির্বাচন কমিশন অফিসের ইট খুলে নেয়ারও হুমকি দিয়েছেন বুলবুল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন অভিযোগ করেছেন, খেলতে নেমেই বিএনপি বলছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই। এটি বলা তাদের মুদ্রাদোষে পরিণত হয়েছে। তা ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নদীর ধার ও রেললাইনের বস্তি উচ্ছেদ নিয়ে মিথ্যাচারেরও অভিযোগ তুলেছেন লিটন। প্রচারণার শেষ দিনে গতকাল সকালে নগরীর জেলগেট থেকে গণসংযোগ শুরু করেন মেয়রপ্রার্থী বুলবুল। পরে সিপাইপাড়া, ফায়ার সার্ভিসের মোড়, সাহেব বাজার এলাকার মনিচত্বর, মাছ বাজার, মাস্টারপাড়া পাইকারি বাজার ও সোনাদীঘির মোড়ে গণসংযোগ করেন তিনি। সাহেববাজার এলাকায় গণসংযোগকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে। ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা আমাদের মহিলা কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে। এ ছাড়াও ১০, ১৮, ১৯ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির নেতাকর্মীদের হুমকি দেয়া হয়েছে। এত সাহস তারা কোথায় পেল? আগামী ৩০ তারিখের আগে যদি বিএনপি বা জোটের নেতাকর্মীদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে ওই থানা ঘেরাও করা হবে। নির্বাচনে কোনো অনিয়ম করার চেষ্টা করলে আমরাও ভোটকেন্দ্র দখল করব। নির্বাচন কমিশনকে সেদিন কৈফিয়ত দিতে হবে। ঢাকা থেকে সিল দিয়ে ব্যালট পেপার রাজশাহীতে আনা হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে বুলবুল বলেন, তিন লাখ ১৮ হাজারের বেশি ব্যালট যদি এখানে পাওয়া যায় তবে নির্বাচন অফিসের ইট থাকবে কিনা আমরা বলতে পারব না। এদিকে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন গতকাল দুপুরে রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন। এ ছাড়া নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত বরিশাল বিভাগীয় সমিতির মতবিনিময় সভায়ও অংশ নেন তিনি। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, আমি অতীতেও বলেছি, এখনো বলছি, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, আমি মেনে নেব। প্রতিপক্ষ প্রার্থীরও জনগণের রায় মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই বিএনপি বলে আসছে, নির্বাচন স্বচ্ছ হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের স্বদিচ্ছা নেই। এটি বিএনপি বাংলাদেশের সবখানে বলে, যে কোনো নির্বাচন এলেই তারা এসব বলে। গত ১০ বছর ধরে শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। তাদের এসব কথায় রাজশাহীর মানুষও বিরক্ত হয়ে গেছে। খেলতে নেমেই তারা বলছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। এটি বলা তাদের মুদ্রাদোষে পরিণত হয়েছে। লিটন আরো বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে নাকি নদীর ধার ও রেললাইনের বস্তি উচ্ছেদ করব- এমন মিথ্যাচার করছে বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকরা। যেখানে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ছিন্নমূল-ভ‚মিহীন মানুষের জন্যে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন, সেখানে আমরা কেন বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করব? অতীতেও এমন কিছু করিনি, আগামীতেও করব না বরং আমরা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করব। জনগণের কল্যাণে কাজ করব। আগামীতে রাজশাহীর আয়তন বাড়ানো হবে। বর্ধিত অংশে যে গ্রামগুলো থাকবে, সেখানকার মানুষও নগর জীবনের সুযোগ-সুবিধা পাবে। বুলবুলের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে পুলিশকে ব্যবহারের আমাদের প্রয়োজন নেই। কারণ ইতোমধ্যে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি নৌকার বিজয় হবে। গাজীপুর ও খুলনা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট সংকট ছিল। রাজশাহীতেও এজেন্ট সংকট আছে। তাদের এজেন্ট সংকটের ফলে তারা বিভিন্নভাবে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App