×

জাতীয়

তিন সিটির পর আর কোনো ভোট নয়: গয়েশ্বর

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০১৮, ০৭:২৭ পিএম

তিন সিটির পর আর কোনো ভোট নয়: গয়েশ্বর
রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির ‘প্রি-টেস্ট’ বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে যদি অনিয়ম হয় তবে সরকারের অধীনে হলে ‘প্রহসনের’ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না। মঙ্গলবার বিকালে রাজশাহী নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির এক সংবাদ সম্মেলনে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন। রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষে এর আয়োজন করা হয়। সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতা চন্দ্র রায় বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হয় না ভালোই জানেন। সেই নির্বাচনে যদি জনগণের ভোটের প্রতি আপনাদের ধৈর্য, সহ্য বা গ্রহণ করার মানসিকতা না থাকে, তাহলে সরকার পরিবর্তনের যে নির্বাচন, সেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না।’ গত ১৫ মে এবং ২৬ জুন খুলনা ও গাজীপুরে বড় ব্যবধানে হারার পর ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, তাদের নেতা-কর্মী ও ভোটাররা যেন কেন্দ্রে না আসে সে জন্য ভয় ভীতি দেখানো হয় পাশাপাশি কেন্দ্র দখল করে সিল মেরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জয়ী করা হয়েছে। অবশ্য নির্বাচন কমিশন এসব অভিযোগকে ঢালাও উল্লেখ করে বলেছে যেসব কেন্দ্রে গোলযোগ হয়েছে তার প্রতিটিতেই তারা ব্যবস্থা নিয়েছে। খুলনায় তিনটি এবং গাজীপুরে নয়টি কেন্দ্র সিল মারার অভিযোগে বন্ধ করা হয়েছে। এর বাইরে বাকি কেন্দ্রগুলোতে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে ২০১২ সাল থেকেই। আর এই দাবি পূরণ না হওয়ায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোট তারা বর্জন করেছে। আগামী নির্বাচনেও বিএনপির অংশগ্রহণ বিষয়ে এখনও কোনো নিশ্চয়তা দেয়া হয়নি। এর মধ্যে ৩০ জুলাই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্তমান সরকারের আমলে আলোচিত শেষ ভোট। এরপর কিছু ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় ভোট হতে পরে। তবে সেগুলো নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না কখনও। গয়েশ্বর বলেন, ‘আর মাত্র তিনটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আছে। প্রি-টেস্ট হিসেবে আমরা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। সরকারের অধীনে এটাই আমাদের শেষ নির্বাচন। এই বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। ফেয়ার নির্বাচনের পূর্বশর্ত নিরপেক্ষ সরকার, সেটা নিশ্চিত করেই আমরা আগামীতে জাতীয় নির্বাচনের কথা ভাবব।’ বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বন্দীদশায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নির্জনতা এবং একাকিত্বটাও এক ধরনের শাস্তি। তাই আমরা এই নির্বাচনকে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন হিসেবেই দেখছি। আমরা এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করতে চাই।’ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, মাহমুদুল ইসলাম টুকু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও গয়েশ্বরের পূত্রবধূ নিপুন রায় চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, তার প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট ও জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App