×

জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০১৮, ১২:৫০ পিএম

লক্ষ্মীপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ শতাধিক রোগী। ১০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডের পাশে আরেকটি নতুন ওয়ার্ড চালু করে চালানো হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আবহাওয়া পরবির্তনের কারণে বৃষ্টি ও প্রচন্ড গরমে ভাইরাস ইনফেকশনের জন্য ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে কলেরার স্যালাইন সরবরাহ না থাকায় স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ দোকান থেকে কিনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। তবে আবাসিক চিকিৎসক জানালেন সরবরাহ কম থাকায় শুধু গরিব রোগীদের বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে কলেরার স্যালাইন। নামে ১০০ শয্যার লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতাল। কিন্তু জনবল আছে ৫০ শয্যার। এর মধ্যেও ডাক্তার, নার্স, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ খালি রয়েছে প্রায় অর্ধেক। এর মধ্যে অতিরিক্ত রোগীর চাপ। সেবা চালু রাখতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। বৃষ্টি ও প্রচন্ড গরমে ভাইরাস ইনফেকশনের জন্য ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ শতাধিক রোগী। গত এক সপ্তাহে সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে ডায়রিয়া আক্রান্ত ৩ শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। আন্তঃবিভাগে ২ শতাধিক শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রতিটি বেডে ২-৩ জন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। একই অবস্থা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে সরকারি ওষুধ সরবরাহ নেই, দোকান থেকে স্যালাইন কিনে আনার পর পুস করার জন্য ক্যানোলা লাগাতে ফি দিতে হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। হাসপাতালে ভাত ও নাস্তার সরবরাহ নেই, বাথরুম ব্যবহার অনুপযোগী এবং টয়লেটগুলোর দরজা নেই বলে অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা। আবহাওয়া পরবির্তনের কারণে বৃষ্টি ও প্রচন্ড গরমে ভাইরাস ইনফেকশনের জন্য ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরিব রোগীদের হাসপাতাল থেকে স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে। বাথরুম রিপেয়ারিংয়ের কাজ চলছে। ১০০ শয্যার হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল দিয়ে সরকার ১৮ লাখ জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে এমনই প্রত্যাশা জেলাবাসীর।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App