×

জাতীয়

কালিগঙ্গার ভাঙনের কবলে বাজারসহ ফসলি জমি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০১৮, ১২:৫৭ পিএম

কালিগঙ্গার ভাঙনের কবলে বাজারসহ ফসলি জমি
সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ চারিগ্রাম দিয়ে বয়ে যাওয়া কালিগঙ্গা নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে শত বর্ষের পুরনো দক্ষিণ চারিগ্রাম (বড়াটিয়া) বাজার ও সিংগাইর নবাবগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কসহ বেশকিছু বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি। প্রতি বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকায় প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র ভাঙন হয়। এতে আতঙ্কে রয়েছে বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আশপাশের শতাধিক পরিবার। ভাঙন রোধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিত আবেদন করলেও এ পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সরেজমিনে দেখা গেছে, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ চারিগ্রাম বড়াটিয়া বাজারের পশ্চিম প্রান্ত থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকায় নদী ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত ১০-১২ বছর ধরে অব্যাহতভাবেই ফসলি জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়িসহ গাছপালা নদীতে বিলীন হচ্ছে। দক্ষিণ চারিগ্রাম বাজারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা ঘাটলাসহ ৫০-৬০টি দোকানঘর নদীতে চলে গেছে। তীরবর্তী কয়েকশ বিঘা জমিসহ ৬০-৭০টি বাড়ি ইতোমধ্যেই বিলীন হয়ে গেছে। বাজারে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটিও ভেঙে পড়েছে কয়েকদিন আগে। যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতিসহ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন। ভাঙনের খুব কাছাকাছি বাড়ির বাসিন্দা ৮৫ বছরের বৃদ্ধা জবেদা খাতুন বলেন, এটা আমার শ্বশুর বাড়ি। ৭০ বছর আগে আমি এই গ্রামে বৌ হয়ে এসেছি। তখন আমাদের বাড়ির দক্ষিণে প্রায় ৭০-৮০টি পরিবারের একটি গ্রাম ছিল। পাশেই ছিল অনেক ফসলি জমি। প্রতি বছরই নিজের চোখে দেখলাম ওইসব বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি নদীর বুকে চলে যেতে। এখানে মাত্র ৩টি বাড়ি অবশিষ্ট আছে। ভাঙনের ফলে নদীও প্রায় বাড়ির কাছে চলে এসেছে। কখন যেন তাদের বাড়িটি নদীতে চলে যায় এমনটি আশঙ্কা করেন বৃদ্ধা। দক্ষিণ চারিগ্রাম (বড়াটিয়া) বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বলেন, আমাদের শত বছরের পুরনো বাজারের অবশিষ্ট অংশ, ভাঙন কবলিত জনপদ ও পাকা সড়ক রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন সময় মানববন্ধনসহ জেলা উপজেলা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিত আবেদন করেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে ৩-৪ মাস আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম সরেজমিনে এসে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে গেছেন। এবারের বর্ষায় ভাঙন শুরু হলেও এখনো পর্যন্ত প্রতিরোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড মানিকগঞ্জ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, কালিগঙ্গা নদীর দক্ষিণ চারিগ্রাম এলাকার ভাঙনের বিষয়টি আমরা অবগত। এমপি মহোদয় ডিও লেটার দিলে ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা ফরমেট তৈরি করে দিলে আমি ডিও লেটার দিয়ে দেব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App