×

জাতীয়

ভোট ছাড়াই কাউন্সিলর আজাদ!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০১৮, ০২:০১ পিএম

ভোট ছাড়াই কাউন্সিলর আজাদ!
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিঠু তালুকদার। ফলে এই ওয়ার্ডে এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা আজাদুর রহমান আজাদ। আজাদ এর আগেও তিনবার এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনজন প্রার্থী। তারা হচ্ছেন বর্তমান কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, মিঠু তালুকদার ও বিএনপি নেতা আবদুল গফফার। এদের মধ্যে বিএনপি নেতা আবদুল গফফারের মনোনয়ন বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকেন আজাদ এবং মিঠু। জানা যায়, আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে আজাদকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন মিঠু। সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। রোববার রাতে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামানের বাসায় এক বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত নেন মিঠু। গত তিন সিটি নির্বাচনেই এ ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর বিজয়ী হন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ। এবার তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিঠু তালুকদার। মিঠু সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এডভোকেট রণজিত সরকারের ভাগনে। সিলেটের আওয়ামী রাজনীতিতে আজাদ-রণজিতের বিরোধ অন্যতম আলোচিত ইস্যু। এক সময় তারা ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কিন্তু টিলাগড় এলাকার ছাত্র রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে তারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এ দ্বন্দ্ব বেশ কয়েকবার সংঘাতেও রূপ নেয়, প্রাণও হারান কয়েকজন ছাত্রনেতা। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, আজাদুর রহমান আজাদকে টেক্কা দিতেই এবার মামা রণজিতের পরামর্শে প্রার্থী হন মিঠু। এতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েন আজাদ। আজাদ-মিঠু দু’জনই প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে ওই এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। দেখা দেয় সংঘাতের শঙ্কাও। এদিকে মিঠু তালুকদার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত আইডি থেকে মিঠুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনবারের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। একই সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও মিঠুর মামা জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রণজিত সরকারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আজাদ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App